ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মধুপুরে ফল পাকাতে হরমোন

প্রকাশিত: ০৪:০২, ২৭ জুন ২০১৬

মধুপুরে ফল পাকাতে হরমোন

নিজস্ব সংবাদদাতা, টাঙ্গাইল, ২৬ জুন ॥ মধুপুর গড় এলাকায় বাণিজ্যিক ভিত্তিতে উৎপাদিত আনারস, কলা, কাঁঠাল পাকানো ও সংরক্ষণে ক্ষতিকর হরমোন ও ফরমালিন ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। কেমিক্যাল ব্যবসায়ীদের যোগসাজশে শক্তিশালী সিন্ডিকেট অসাধু ব্যবসার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। জেলা প্রশাসন এ বিষয়ে কার্যকর কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। কৃষি সম্পসারণ অধিদফতর জানায়, পাহাড়ী গড় এলাকার মধুপুর, ধনবাড়ী, মুক্তাগাছা, ফুলবাড়িয়া, ঘাটাইল, ভালুকা, সখীপুর ও জামালপুর সদরে এবার ২৮ হাজার একরে আনারস, ২০ হাজার একরে কলা, ১৫ হাজার একরে কাঁঠাল এবং ৬ হাজার একরে পেঁপে, পেয়ারা ও হাইব্রিড আমের আবাদ হয়েছে। এসব এলাকায় এবার প্রায় ২২ হাজার একরে নানা সবজির আবাদ হয়েছে। সবজি ও ফলের বাণিজ্যিক আবাদকে পুঁজি করে কেমিক্যাল ব্যবসায়ীরা বছরের মে মাস হতে সেপ্টেম্বর মাস ফল ও সবজির ভরা মৌসুমে বিপুল পরিমাণ হরমোন ও ফরমালিন বাজারজাত করে। কৃষি সম্প্রসারণ অফিস জানায়, ঢাকার খামার বাড়ির ফিল্ড সার্ভিস উইংয়ের অনুমোদিত ২৭টি কেমিক্যাল কোম্পানির ৪৫ প্রকার হরমোন বাজারে পাওয়া যায়। এসব হরমোন শুধু উদ্ভিদের বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণের জন্য বিদেশ থেকে আমদানির অনুমোদন দেয়া হয়েছে। কিন্তু ৬টি কেমিক্যাল কোম্পানি ফল ও সবজি দ্রুত বৃদ্ধি এবং মোটাতাজাকরণের পাশাপাশি অপপ্রয়োগের মাধ্যমে ফল পাকানোর কাজে ব্যবহার করে থাকে। কেমিক্যাল ব্যবসায়ীরা ফল ব্যবসায়ী ও মহাজনদের সঙ্গে সিন্ডিকেট করে নিষিদ্ধ ও ক্ষতিকর হরমোনে ফল পাকানোর ব্যবস্থা করাচ্ছে। গারো বাজার এবং সাগরদীগির দুই কীটনাশক ও কেমিক্যাল ব্যবসায়ী জানান, ক্যালসিয়াম কার্বাইড ও ইথোফনের উপাদানে তৈরি ৬ প্রকার হরমোন যেমন অনিকা এন্টারপ্রাইজের টমটম, ন্যাশনাল এগ্রিকেয়ারের রাইপেন-১৫, হাইসিন বিডি লিমিটেডের হারভেস্ট, সার্ক বাংলাদেশের প্রমোট, মার্শাল লিমিটেডের পোলং এবং ক্লিনএগ্রো লিমিটেডের ব্রাইট ফল পাকানোর কাজে ব্যবহৃত হয়। হরমোনে পাকানো ফল দীর্ঘদিন সংরক্ষণের জন্য পাইকাররা গোপনে ফরমালিন স্প্রে করে থাকে।
×