ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

অবৈধ ব্যয় নিয়ে কোম্পানিগুলোর বক্তব্য গণমাধ্যমে তুলে ধরার সিদ্ধান্ত

প্রকাশিত: ০৪:২৯, ২৭ জুন ২০১৬

অবৈধ ব্যয় নিয়ে কোম্পানিগুলোর বক্তব্য গণমাধ্যমে তুলে  ধরার সিদ্ধান্ত

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ গণমাধ্যমে প্রকাশিত ১৭ লাইফ বীমা কোম্পানির অবৈধ ব্যবস্থাপনা ব্যয় বিষয়ে দুদকের অনুসন্ধান কমিটি গঠন ও গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের বিষয়ে কোম্পানিগুলো বক্তব্য গণমাধ্যমে তুলে ধরার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স এ্যাসোসিয়েশন (বিআইএ)। রবিবার বিআইএ সভাকক্ষে ১৭ লাইফ বীমা কোম্পানি নিয়ে সৃষ্ট সঙ্কট উত্তরণ ও সমস্যা দূরীকরণে ৩০টি লাইফ বীমা কোম্পানির চেয়ারম্যান ও মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তাদের নিয়ে জরুরী বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বৈঠক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সভায় উপস্থিত ছিলেন বিআইএ প্রেসিডেন্ট, ভাইস- প্রেসিডেন্টসহ কোম্পানিগুলোর চেয়ারম্যান, মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তাসহ ২৮ জন প্রতিনিধি। বৈঠক শেষে বিআইএ প্রেসিডেন্ট শেখ কবীর হোসেন সাংবাদিকদের জানান, কোন কোম্পানি বা কোম্পানির কোন কর্মকর্তা গ্রাহকদের কোন টাকা হাতিয়ে নেয়নি। বা কোন টাকা খেয়ে ফেলেনি। যা হয়েছে তা হলো অতিরিক্ত ব্যয়। আর এটা বীমা নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইডিআরএ অবগত আছে। ফলে পত্রিকায় ব্যবহৃত হাতিয়ে নেয়া বা খেয়ে ফেলা এ ধরনের শব্দ ব্যবহার একেবারে ঠিক হয়নি। তিনি বলেন, সরকারী-বেসরকারী সব ধরনের কোম্পানির ব্যবস্থাপনা ব্যয় অনেকগুণ বেড়েছে। ফলে আমাদের বীমা খাতের ব্যবস্থাপনা ব্যয়ও অনেক বেড়েছে। তিনি বলেন, বীমা কোম্পানিগুলোতে ১৯৫৮ সালের আইন বিদ্যমান। এতো বছর আগের আইনে বর্তমান কোন কোম্পানি চলতে পারে না। সময় উপযোগী ব্যয় আইন চালু হলে ১৭ কোম্পানির যে ব্যয় উল্লেখ করা হয়েছে তা কোনভাবেই বেশি হতো না বলে তিনি মন্তব্য করেন। তিনি আরও বলেন, বীমা নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইডিআর অনেক সচেতন। তারপরেও আইডিআরকে এসব বিষয়ে অবগত করা হয়েছে। সংস্থাটিও বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দ্রুত সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে একটা নতুন ব্যবস্থাপনা আইন তৈরি করবে বলে আমাদের নিশ্চিত করেছে। বিআইএ প্রেসিডেন্ট বলেন, দেশের সব ধরনের ব্যবসার সঙ্গে বীমা ব্যবসার সম্পর্ক রয়েছে। দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য যত ভাল হবে বীমা ব্যবসাও তত ভাল হবে। কিন্তু বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে বীমার গুরুত্ব সে রকম প্রসার ঘটেনি। তবে আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি বলে তিনি মন্তব্য করেন। প্রসঙ্গত, জুন মঙ্গলবার দুর্নীতি দমন কমিশন ১৭ লাইফ কোম্পানিতে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়ে দুই সদস্যের অনুসন্ধান দল গঠন করে। উপ-পরিচালক মোঃ জালাল উদ্দিনের নেতৃত্বে দলের অন্য সদস্য হলেন সহকারী পরিচালক মোঃ আনোয়ার হোসেন। আর পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনকে অনুসন্ধান কাজের তদারকির দায়িত্ব দেয়া হয়। কমিটি গঠনের পর দুদকের পক্ষ থেকে জানানো হয়। গণমাধ্যমে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে ওই অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
×