স্টাফ রিপোর্টার ॥ মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোন বহুল প্রতিক্ষীত দশ হাজার থ্রিজি বিটিএস স্থাপনের মাইলফলক অতিক্রম করেছে। দেশজুড়ে অবস্থিত এসব বিটিএস দেশের প্রায় ৯০ শতাংশ জনগোষ্ঠীকে থ্রিজির আওতায় নিয়ে এসেছে। রবিবার বিকেলে রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে দশ হাজারতম বিটিএসটি (মোবাইল ফোন নেটওয়ার্ক টাওয়ার) চালু করেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।
এক হাজারতম বিটিএস উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ, গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) রাজীব শেঠি এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
দেশের ৯০ ভাগ মানুষকে থ্রিজির আওতায় নিয়ে আসায় গ্রামীণফোনকে অভিনন্দন জানিয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেন, এতে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে দেশ আরও একধাপ এগিয়ে গেল। এই অর্জন শুধু গ্রামীণফোনের না। এটা সারাদেশের মানুষের অর্জন। মানুষ এর সুবিধা ভোগ করবেন। টেলিযোগাযোগ খাতকে আমরা উন্নত পর্যায়ে নিয়ে যেতে চাই। উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে এই খাতে অনেকগুলো প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। প্রকল্পগুলো যথাসময়ে বাস্তবায়ন হলে ভিশন ২০২১ বাস্তবায়ন তখন আর কোন স্বপ্ন থাকবে না। এই কাজগুলো আমরা যথা সময়ে শেষ করব।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই অঞ্চলে জনসংখ্যার বিচারে এটি অন্যতম দ্রুত এবং বৃহৎ থ্রিজি নেটওয়ার্ক বিস্তার। ফলে শুধু দেশের প্রায় সব মানুষ থ্রিজির আওতায় আসবে না, সরকার ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোও পক্ষে আরও বেশি মানুষের কাছে কার্যকরভাবে ডিজিটাল সেবা নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে।
বিটিআরসি চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ বলেন, গ্রামীণফোনকে থ্রিজি বিস্তারের সময় যে উদ্দীপনার সঙ্গে তার কাজ করেছে এর মান বজায় রাখতেও একই উদ্দীপনা প্রদর্শনের আহ্বান জানান। গ্রামীণফোনের সিটিও মেদহাত এলহোসাইনী ১০ হাজার বিটিএসকে থ্রিজিতে রূপান্তরিত করার অভিযাত্রা একটি উপস্থাপনার মাধ্যমে তুলে ধরেন। এই বিশাল কাজটি সম্পন্ন করতে ১৪ লাখ ১৪ হাজার ৮৭৭ মানব ঘণ্টা শ্রম দিতে হয়েছে। তারা ভ্রমণ করেছে ১৩ লাখ ১১ হাজার ৪০ কিলোমিটার এবং তাদের চড়তে হয়েছে ৬ লাখ ৮০ হাজার মিটার যা ৮০টি এভারেস্ট শৃঙ্গের সমান। উদ্বোধনের পর ১০ হাজারতম বিটিএসে কর্মরত গ্রামীণফোন কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভিডিও কলের মাধ্যমে কথা বলেন গ্রামীণফোনের সিইও।
গ্রামীণফোন দ্রুত দেশজুড়ে থ্রিজি বিস্তারের পরিকল্পনা গ্রহণ করে মাত্র ৬ মাসে দেশের ৬৪ জেলা শহরকে থ্রিজি সেবার আওতায় নিয়ে আসে। লাইসেন্স চুক্তির শর্ত অনুযায়ী ৩৬ মাসে হবার কথা ছিল। নতুন এলাকায় থ্রিজি সেবাদান কিংবা ২জি সাইট থ্রিজিতে রূপান্তরের মধ্যেই গ্রামীণফোনের নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ বিস্তৃত ছিল না। বিদ্যমান টুজি সাইট উন্নতিকরণ ও সাধারণ গ্রাহকদের মধ্যে টুজি সেবা বিস্তৃতিতেও কাজ করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
গ্রামীণফোন সিউও বলেন, পাঁচ মাস আগে আমরা অতি দ্রুতগতিতে থ্রিজি নেটওয়ার্ক বিস্তারের চ্যালেঞ্জ নিয়েছিলাম।