ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সাড়ে ৬০ হাজার শিক্ষকের পদ শূন্য

প্রকাশিত: ০৬:০৩, ২৮ জুন ২০১৬

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সাড়ে ৬০ হাজার শিক্ষকের পদ শূন্য

সংসদ রিপোর্টার ॥ বর্তমানে সারা দেশে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে মোট ৬০ হাজার ৬৯৮ শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। যার মধ্যে ১৬ হাজার ৬০৩ প্রধান শিক্ষক এবং ৪৪ হাজার ৯৫ সহকারী শিক্ষকের পদ। সোমবার জাতীয় সংসদে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারী দলের সংসদ সদস্য আ খ ম জাহাঙ্গীর হোসাইনের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান। মন্ত্রীর দেয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের মোট পদ ৬০ হাজার ৬৯৫ (সরকারী ৩৭ হাজার ৬৭৭টি এবং জাতীয়করণকৃত ২৩ হাজার ১৮) এবং সহকারী শিক্ষকের পদ ৩ লাখ ১৯ হাজার ৮৫১ টি ( সরকারী- ২ লাখ ২৮ হাজার ১৫১ এবং জাতীয়করণকৃত ৯১ হাজার ৭০০ টি)। মন্ত্রী জানান, প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতির লক্ষ্যে পিএসসি সংশ্লিষ্ট পদবিন্যাস ছক ও চেক লিস্ট অনুযায়ী সারা দেশের ৬৪ জেলায় শিক্ষকের গ্রেডেশন তালিকা প্রস্তুতের কাজ চলছে। এছাড়া পিএসসির মাধ্যমে ৫০ শতাংশ প্রধান শিক্ষকের সরাসরি নিয়োগের জন্য সভা হয়েছে। বিষয়টির কার্যক্রম চলমান। মন্ত্রী জানান, বিদ্যালয়বিহীন এলাকায় ১৫০০ বিদ্যালয় স্থাপন প্রকল্পের আওতায় ৬৬৭টি বিদ্যালয়ের প্রতিটিতে একজন করে প্রধান শিক্ষক এবং সহকারী শিক্ষকের ৪টি করে মোট ২ হাজার ৬৬৮টি পদ সৃজন করা হয়েছে। কিন্তু এসব পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া আদালতের আদেশে স্থগিত রাখা হয়েছে। আবার প্রাক প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ তিন ধাপ সম্পন্ন হয়েছে। তিন ধাপে মোট ৩৫ হাজার ৪৩৭ জনকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তবে যে সমস্ত শূন্য পদ রয়েছে সেগুলো মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়েছে। যদি এ কোটায় প্রার্থী না পাওয়া যায় তাহলে পদগুলো শুন্য থাকবে। এসব পদে শুধু মুক্তিযোদ্ধা কোটা প্রাপ্য প্রার্থীরা অনলাইনে আগামী ৩০ জুনের মধ্যে আবেদন করতে পারেন। এছাড়া রেজিস্টার্ড বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের (সদ্য জাতীয়করণকৃত) সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়সমূহে শূন্য পদে নিয়োগের কার্যত্রম চলমান রয়েছে। মামুনুর রশীদ কিরণের অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ২০১১ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী ও প্রাথমিক শ্রেণীর জন্য সৃষ্ট সহকারী শিক্ষক পদে মোট ৫৫ হাজার ৫৯ জনকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। গত ৬ বছরে বেসরকারি ও রেজিস্টার্ড ২৬ হাজার ১৯৩টি বিদ্যালয় জাতীয়করণের আওতায় এনে ১ লাখ ৩ হাজার শিক্ষকের চাকরি সরকারীকরণ করা হয়েছে। বেসরকারী শিক্ষকদের অবসর ভাতায় ঘাটতি হবে না, সংসদ রিপোর্টার ॥ প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ না থাকায় বেসরকারি শিক্ষকদের অবসর ভাতা খাতে প্রতিমাসেই ঘাটতি বাড়ছে। অবসর সুবিধার জমাকৃত আবেদন নিষ্পত্তির জন্য প্রয়োজন প্রতিমাসে প্রায় ৩৬ কোটি টাকা। প্রস্তাবিত বাজেটে অর্থ বরাদ্দের প্রস্তাব থাকায় অবস্থার পরিবর্তন হবে। সোমবার জাতীয় সংসদে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে ইয়াসিন আলীর প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। তিনি জানান, শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিও থেকে চার শতাংশ হারে চাঁদার ওপর ভিত্তি করে অবসর সুবিধা দেয়া হচ্ছে। চাঁদা কর্তন করা হচ্ছে ২০০৫ সাল থেকে, কিন্তু অবসর সুবিধা দেয়া হচ্ছে ১৯৮০ সাল থেকে।
×