ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

নাড়ির টানে বাড়ির পানে

প্রকাশিত: ০৩:৪১, ৩০ জুন ২০১৬

নাড়ির টানে বাড়ির পানে

মোঃ রিদওয়ানুর রহমান প্রতিবছর ঈদের আগে রেলস্টেশন, বাস টার্মিনাল এবং লঞ্চ ঘাটে টিকিটের জন্য এক ধরনের যুদ্ধাবস্থা বিরাজ করে। এ বছর সরকারী ছুটি একটু আগে থেকে শুরু হওয়ায় স্বভাবতই এবারের ঈদে টিকিট প্রাপ্তির অনিশ্চয়তা কিছুটা হলেও কমে আসবে। এমনটাই আশা করছিলেন যাত্রীরা। কিন্তু বিধিবাম। খুব ভোরে সেহরি খেয়ে লাইনে দাঁড়িয়েও মিলছে না টিকিট। নিজ গন্তব্যের চেয়েও অধিক দূরের কোন শহরের টিকেট নিতে বাধ্য করা হচ্ছে বলে পরিবহন মালিক ও কাউন্টারদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। বাংলাদেশের পরিবহন ব্যবস্থা দেশের অর্থনৈতিক একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর এদেশের অবকাঠামোগত উন্নয়ন চোখে পড়ার মতো নয়। পরিসংখ্যান বলছে- শুধু বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থায় রাস্তাঘাটের অবনতি, চালকদের প্রশিক্ষণের অভাব, দুর্নীতি এবং পর্যাপ্ত নিরাপত্তাহীনতার কারণে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। প্রতিবছরের ন্যায় এ বছরও হাজার হাজার মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাড়ি ফিরছে। নিজ পরিবার, আত্মীয়স্বজন ও প্রিয় মানুষগুলোর সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে অনেকেই নিরাপদ ও সাশ্রয়ী পরিবহন ব্যবস্থার মাধ্যম হিসেবে ট্রেনকে বেছে নেন। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, যাত্রীদের রেহাই নেই এই ট্রেন বিড়ম্বনা থেকেও। ১১ টার ট্রেন ২ টায় আর ৮ টার ট্রেন এগারোটায়; এসব চিত্র এখন ট্রেনের নিয়মিত বৈশিষ্ট্যে পরিণত হয়েছে। সঙ্গে টিকেট কালোবাজারি তো আছেই। এবার নতুন ট্রেন উদ্বোধনসহ টিকিট বিক্রিতে এখন পর্যন্ত সুশৃঙ্খলতার কথা শোনা যায়। শেষ পর্যন্ত এই ধারাবাহিকতা থাকবে এই প্রত্যাশা করছি। পথের এসব শত বিড়ম্বনা আর ঝক্কি ঝামেলা মেনে নিয়েই স্বজনদের সান্নিধ্যে ছুটছেন ঘরমুখো মানুষ। এই বিড়ম্বনার মধ্যেই যেন আলাদা আনন্দ খুঁজে পাচ্ছে যাত্রীরা। নাড়ির টানে বাড়ির পানে দিন দিন ছুটে চলছেন কর্মব্যস্ত রাজধানীবাসী। সারা বছরের কর্মব্যস্ত দিনগুলোর মধ্যে ঈদের দিনগুলো কেমন জানি একটু বেশিই আনন্দময় ও উৎসবমুখর হয়। সেই আনন্দ, উৎসক আর ভালবাসা ছাড়িয়ে যায় সব ব্যথা-বেদনাকে। ফুটে ওঠে সবার উপরে মানুষ সত্য তার উপরে নাই। সবার মুখে মুখে উচ্চারিত হয় ‘রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ...। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে
×