ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

বিড়ম্বনার অবসান চাই

প্রকাশিত: ০৩:৪২, ৩০ জুন ২০১৬

বিড়ম্বনার অবসান চাই

হাছান তৌফিক পারভেজ ‘ঈদ’ বাঙালীর জীবনে এক অনন্য উৎসবের নাম। ব্যঙ্গার্থে বলে নিতে হয় বাঙালীর জীবনে ঈদের সঙ্গে থাকে যেন আরেকটি ‘উৎসব’ তার নাম ‘ঈদের বিড়ম্বনা।’ যা বার্ষিক ভিত্তিতে ঈদের মৌসুমেই সর্বোচ্চভাবে ভুগতে হয় বাঙালীদের। এ যেন আমাদের নিয়তি। এ নিয়তি ফি বছর যেন আমাদের ভোগ করতেই হবে। কিন্তু প্রশ্ন যদি করা হয়, কেন এই বিড়ম্বনা ভোগ করতে হবে আমাদের? তাহলে দায়িত্বশীল কোন প্রশাসনিক কর্মকর্তা কি আছেন এদেশে যিনি এ প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতে পারেন বা দেবেন। ঈদের মৌসুমে বিভিন্নভাবে বিড়ম্বনা ভোগ করতে হয় আমাদের। বিড়ম্বনার তালিকা হতে পারে এমন। ১. ঈদের বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বিক্রেতাদের ইচ্ছা মতো দাম হাঁকা। মুক্তির উপায়: বিক্রেতাদের পন্যের মূল্যের তালিকা ঝুলিয়ে রাখতে আইনগতভাবে বাধ্য করতে হবে। ৩. যানবাহন পাওয়া গেলেও অতিরিক্ত ভাড়া দাবি করা এবং অবলিলায় তা নির্দয়ভাবে আদায় করা। মুক্তির উপায়: সরকার কর্তৃক যানবাহনের ভাড়া নির্দিষ্ট করে দেয়া আছে। ভাড়ার তালিকা অবশ্যই টানাতে হবে। তা না হলে সরকার কর্তৃক কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। লোকাল পুলিশের সহায়তা গ্রহণ করা যেতে পারে। ৪. যানবাহনের অপ্রতুলতার দরুন জনগণের নিদারুণ কষ্ট ভোগকরণ। মুক্তির উপায়: সরকারের উচিত হবে পর্যাপ্ত পরিমাণে সড়কে যানবাহন চলাচলের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিতকরণ। ৫. সরকার কর্তৃক ফুটপাথে হকারদের পসরা নিয়ে বসতে না দিলে নিম্নবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত জনগণের কেনাকাটায় অসুবিধা ভোগ করতে হয়। মুক্তির উপায়: হকারদের বসার জন্য ঢাকাসহ প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় নির্দিষ্ট স্থান করে দেয়া উচিত। যেন নিম্নবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত জনগণের কেনাকাটায় কোনরূপ অসুবিধা ভোগ করতে না হয়। কেননা, তারা এদেশের আধুনিক শপিং মলে যাওয়ার যোগ্যতা রাখে না। এদেশের আর্থ-সামাজিক রাজনৈতিক সংস্কৃতিই এমন। সবকিছুই ভোগ করবে কেবল সম্পদশালীরাই। এটাই এ দেশের ‘কালচার’। রোজার প্রথম সপ্তাহে সরকারী ও বেসরকারী কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের ঈদ বোনাস প্রদান করলে তারা কেনাকাটা বাবদ ‘ঈদ বিড়ম্বনা’ থেকে অনেকখানি মুক্তি পেতেন বলে আমি মনে করছি। মিরপুর, ঢাকা থেকে
×