ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছে আদিবাসী ফোরাম

প্রকাশিত: ০৪:০৭, ৩০ জুন ২০১৬

শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছে আদিবাসী ফোরাম

এইচএম এরশাদ, কক্সবাজার ॥ উখিয়ার জালিয়াপালং চেংচুরি গ্রামের ঝরে পড়া শতাধিক আদিবাসী শিক্ষার্থীর মধ্যে আলো ছড়িয়ে দিচ্ছে আদিবাসী প্রাক প্রাথমিক বিদ্যালয়। বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম কক্সবাজার জেলা শাখার অর্থায়নে পরিচালিত এ স্কুলে চাকমা, তঞ্চঙ্গা আদিবাসী জনগোষ্ঠীর ঝরে পড়া শিশুরা পড়ছে। শিক্ষা গ্রহণ করছে আদিবাসী কোমলমতি শিশুরা। এর কয়েকদিন আগেও চিন্তা করতে পারেনি তারা আদৌ শিক্ষার আলো পাবে কি না। অনেক গরিব আদিবাসী পিতামাতাও চিন্তা করতে পারেননি, তাদের সন্তানদের স্কুলে পাঠানোর কথা। অকল্পনীয় হলেও আদিবাসী ফোরাম অর্থায়নে পরিচালিত প্রাক প্রাথমিক বিদ্যালয়টি অনেক পিতামাতার স্বপ্ন বাস্তবায়িত হচ্ছে। তাদের ছেলেমেয়েরা এখন স্কুলে যায় প্রতিদিন। উখিয়া উপজেলার জালিয়াপালং চেংচরি পাড়া ওপর তলা পাড়ায় এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু করে এক স্কুলে ৫৫ শিক্ষার্থী ভর্তি করিয়ে বিনামূল্যে বই খাতা, কলমসহ শিক্ষা সামগ্রী সহযোগিতা প্রদান করে আদিবাসী ফোরাম। এ গ্রামের অনেকেই প্রাইমারি পর্যন্ত পড়াশোনা করতে পারেনি, এমন অনেকে আছে। এই ঝরে পড়া শিশুদের আলোর পথ দেখাতে এবং সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তোলার প্রয়াসে এ গ্রামে এ স্কুলটি গড়ে তোলা হয়েছে বলে জানান আদিবাসী ফোরাম জেলা আঞ্চলিক শাখা ও আদিবাসী ছাত্র পরিষদের নেতারা। তারা জানায়, শুধু চেংচরি গ্রামে নয়, টেকনাফ ও উখিয়ার ১৭টি আদিবাসী গ্রাম-পাড়ায় মাধ্যমিক পর্যায় পর্যন্ত পৌঁছতে পারেনি এমন অনেক আদিবাসী ছেলেমেয়ে রয়েছে। তাদের এ অবস্থা দেখে আদিবাসীদের শিক্ষায় শিক্ষিত এবং নিজেদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন করার লক্ষ্যে আদিবাসী প্রাক প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। সংগঠনের পক্ষ থেকে এটি পরিচালনা করা হলেও নানা সমস্যা থেকে যাচ্ছে এখানে। এসব গ্রামে শিক্ষার আলো পৌঁছাতে সরকারী উদ্যোগ নেয়া দরকার বলে মনে করেন আদিবাসী নেতারা।
×