ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সিম নিবন্ধন জালিয়াত চক্রের ২২ জন আটক

প্রকাশিত: ০৫:৫৮, ৩০ জুন ২০১৬

সিম নিবন্ধন জালিয়াত চক্রের ২২ জন আটক

স্টাফ রিপোর্টার ॥ এবার প্রতারণায় যোগ হয়েছে মোবাইল সিম। সিমের নিবন্ধন জালিয়াতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে রাজধানীতে ২২ জনকে আটক করেছে পুলিশ। তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বেশ চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে পুলিশ। পুুলিশ জানায়, মঙ্গলবার আদাবর-শ্যামলী ও তেজগাঁও এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। আটক সবাই একটি সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্য। তাদের মধ্যে ওয়াহিদ নামের একজন এয়ারটেলে কাজ করেন। ওই অপারেটরের কয়েকজন ডিস্ট্রিবিউটর ও রিটেইলারও এর সঙ্গে জড়িত। তবে তারা কীভাবে ওই জালিয়াতি করছিল, কীভাবে তাদের সন্ধান মিলল, সে বিষয়ে কোন তথ্য তাৎক্ষণিকভাবে প্রকাশ করা হয়নি। তবে পুলিশের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আটক ব্যক্তিরা ‘প্রিএ্যাক্টিভেটেড’ ও আগেই বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধিত সিম বিক্রি করে আসছিলেন। আদাবর ও শ্যামলী এলাকা থেকে ওই রকম সিমসহ তাদের কয়েকজনকে আটক করা হয়। বায়োমেট্রিক নিবন্ধনের পরও দেশের বিভিন্ন স্থানেই পাওয়া যাচ্ছে আগে থেকে চালু মোবাইল সিম। উল্লেখ্য, গত ১৬ ডিসেম্বর থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত দেশে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি সিম পুনঃনিবন্ধন প্রক্রিয়া চলে। সে অনুযায়ী এখন আর আঙ্গুলের ছাপ না দিয়ে নতুন সিম কেনা যাবে না। ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, গত ৪ জুন পর্যন্ত মোট ১১ কোটি ৬০ লাখের মতো সিম বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধিত হয়েছে। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি’র হিসাবে গত এপ্রিল শেষ নাগাদ গ্রাহকের হাতে থাকা মোবাইল সিমের সংখ্যা ছিল ১৩ কোটি ২০ লাখের মতো। এ হিসাবে এখনও দেড় কোটির বেশি সিম নিবন্ধিত না হওয়ায় ঘোষণা অনুযায়ী বন্ধ রয়েছে। তবে গ্রাহকরা ইচ্ছা করলেই বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধন করে সেই সিম উত্তোলন করতে পারছেন। এর বাইরেও সম্প্রতি বিভিন্ন স্থানে কয়েকটি দোকানে জাতীয় পরিচয়পত্র ও আঙ্গুলের ছাপ ছাড়াই সিম বিক্রির তথ্য পাওয়ার পর অভিযান শুরুর কথা জানায় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি ও পুলিশ। রাজধানীতে এ ধরনের আরও প্রায় শতাধিক ব্যক্তি সিম নিবন্ধন জালিয়াতিতে সক্রিয় রয়েছে বলে পুলিশের কাছে তথ্য রয়েছে।
×