ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

জিমির হ্যাটট্রিকে মোহামেডানের কাছে ধরাশায়ী ঊষা

প্রকাশিত: ০৬:৩৮, ৩০ জুন ২০১৬

জিমির হ্যাটট্রিকে মোহামেডানের কাছে ধরাশায়ী ঊষা

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বুধবার মওলানা ভাসানী হকি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এক গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ঊষা ক্রীড়া চক্রকে ৫-৩ গোলে হারিয়েছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। দলের প্রতিটি গোলই এসেছে জিমির স্টিক থেকে। করেছেন একটি হ্যাটট্রিকও। রাসেল মাহমুদ জিমি দেশের সেরা হকি ফরোয়ার্ড আবারও নতুন করে প্রমাণ করে দিলেন। চলতি লীগে প্রথম পর্বে ৯টি ও সুপার সিক্সে ৪টি হ্যাটট্রিক হয়েছে। তারমধ্যে উভয়পর্বেই দুটি করে হ্যাটট্রিক করেন জিমি। যা এখন পর্যন্ত প্রিমিয়ার লীগে একক সর্বোচ্চ হ্যাটট্রিক। গোলের দিক থেকেও ছাড়িয়ে গেলেন সবাইকে। প্রথম পর্বে ২০ গোল করা জিমি সুপার পর্বেও করলেন ১০ গোল। অর্থাৎ ৩০ গোল নিয়ে এখনও সবার ওপরে। তবে জিমির হিসেবে হ্যাটট্রিক পাঁচটি ও মোট গোল ৩১। ম্যাচ শেষে উৎফুল্ল জিমি নিজেও। তবে মনের মাঝে দলকে শিরোপা রেসে না নিতে পারার আক্ষেপ, ‘একক সাফল্য তখনই সার্থক হয় যখন দল জেতে। আমরা শিরোপা জিততেই খেলেছি। কিন্তু কেন যেন মোহামেডান পিছিয়ে গেল। বিদেশী খেলোয়াড়ও ভাল ছিল। মোহামেডান তো শিরোপা তালিকায় থাকারই দল। ভাগ্য সহায় হয়নি বলেই হয় তো এমনটি হয়েছে। বড় দল ঊষার বিপক্ষে জয় দিয়ে মোহামেডান বুঝিয়ে দিয়েছে তারাই সেরাÑ কিন্তু ভাগ্য সঙ্গে নেই বলে ছিটকে গেল। তবে আমার মনে হয় সবাই সেরাটা দিয়েই মোহামেডানকে জেতানোর চেষ্টা করেছে।’ ঊষার ম্যানেজার রফিকুল ইসলাম কামাল বলেন, ‘খেলায় হারজিত থাকবে। তাই বলে এত গোল! আমার খেলোয়াড়রা অতি আত্মতুষ্টিতে ভুগেছে। যার ফল হাতেনাতে পেয়েছে। তারা ভেবেই নিয়েছে চ্যাম্পিয়ন হয়ে গিয়েছে। ভাবেনি প্রতিপক্ষ ঐতিহ্যবাহী দলটিকে নিয়ে। এতদিন মেরিনার্সকে ডমিনেট করেছি। এখন তারা ডমিনেট করবে।’ এক জিমির কাছেই ধরাশায়ী হয়ে ব্যাকফুটে চলে গেল ঊষা। গ্রীন ডেল্টা প্রিমিয়ার লীগে এটা তাদের প্রথম পরাজয়। এ হারের ফলে ১৫ ম্যাচে ঊষার পয়েন্ট দাঁড়াল ৩৮, প্রথমবারের মতো পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে ৪০ পয়েন্ট নিয়ে এককভাবে অবস্থান নিল মেরিনার্স। মোহামেডানের পয়েন্ট ১৫ ম্যাচে ৩২। তারা শিরোপার রেস থেকে ছিটকে পড়েছে আগেই। তারপরও ঊষার বিপক্ষে দুর্দান্ত এ জয় তাদের হৃদয়ের যন্ত্রণা কিছুটা হলেও লাঘব করবে। অপর ম্যাচে আবাহনী লিমিটেড ৬-২ গোলে হারায় বাংলাদেশ স্পোর্টিং ক্লাবকে (বিএসসি)। খেলায় প্রথমার্ধে বিজয়ী দল এগিয়ে ছিল ৫-১ গোলে। আবাহনীর শেখ মোঃ নান্নু করেন জোড়া গোল। এছাড়া ১টি করে গোল করেন কাশিফ আলী, শাকিল আব্বাসী, রাজিব দাস ও অসীম গোপ। বিজিত দলের বেলাল ও প্রিন্স ১টি করে গোল করেন। মজার বিষয় হচ্ছে আবাহনীর গোলরক্ষক অসীম গোপ দলের শেষ গোলটি করেন! লীগের ‘সুপার সিক্স’ পর্বে ১৫ ম্যাচে ৩৩ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের তৃতীয় স্থানে আবাহনী। সমান ম্যাচে বিএসসির সংগ্রহ ১৬ পয়েন্ট। অবস্থান ছয় দলের মধ্যে তলানিতে। শুক্রবার লীগের শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হবে মেরিনার্স ও ঊষা। ড্র হলে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হবে মেরিনার্স। জিতলে তো কথাই নেই। আর শিরোপা জিততে হলে জয় ছাড়া আর কোন পথ খোলা নেই ঊষার।
×