ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

তিস্তার বন্যায় অর্ধকোটি টাকার মাছ ভেসে গেছে

প্রকাশিত: ১৯:২০, ৩০ জুন ২০১৬

তিস্তার বন্যায়  অর্ধকোটি টাকার মাছ ভেসে গেছে

স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী॥ বাড়ির ভিটা খাইলো, ফসলি জমি খাইলো, আয় রোজগারের মাছ চাষের পুকুর জলাশয়ের সব মাছও ভাইসা লইয়া গেল। এইবার হামাক নিঃস্ব কইরা ছাড়িল বাহে তিস্তা। হামার গ্রামতো আর গ্রাম নাই তিস্তা হামার গ্রামটাক নদী বাইয়া ফেলাইছে। কথা গুলো বলছিলেন নীলফামারীর ডিমলা উপজেলা ডিমলা উপজেলা টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের চরখড়িবাড়ি, মধ্য চড়খড়িবাড়ি পূর্বখড়িবাড়ি,টাপুরচর,ঝিঞ্জিরপাড়া মেহেরটারী ও পুরান টাপুরচরের মাছচাষীরা। ওই সব এলাকার প্রায় আড়ই শত পুকুরে চাষ করা প্রায় অর্ধকোটি টাকার মাছ ভেসে গেছে বলে তাদের দাবি। তারা এখন চোখে মুখে অন্ধকার দেখছে। আজ বৃহস্পতিবার ওই সব এলাকা দিয়ে তিস্তা নদীর পানি প্রবাহ হচ্ছে। ওই এলাকার এক হাজার পরিবার এখন ছিন্নমুলে পরিনত হয়েছে। যে, যে ভাবে পারছে কোন রকমে মাথা গুজার ঠাই করে নিয়েছে ফাকা কোন উঁচুস্থানে। দুই দফার বন্যায় ওই সব এলাকার যে হাল তাতে তৃতীয় দফার বন্যা হলে ওই এলাকার কোন চিহৃ থাকবে কিনা তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে এলাকাবাসী। ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোডের বন্যা পূর্বাভাস সর্তকীকরন কেন্দ্র সুত্র জানায় সকাল ৬ টা থেকে তিস্তার পানি ডালিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ৩৩ সেন্টিমিটার নিজ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এখানে বিপদসীমা ৫২ দশমিক ৪০ মিটার। সুত্র মতে গত ২২ ও ২৫ জুন দুই দফায় তিস্তার পানি বিপদসীমার ২৫ ও ২০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছিল। ওই দুই দফা বন্যায় ব্যাপক ক্ষতি হয়। যার রেশ এখন কাটিয়ে উঠতে পারেনি অনেক গ্রামের মানুষজন। এমন কি চরখড়িবাড়ি, মধ্য চড়খড়িবাড়ি পূর্বখড়িবাড়ি,টাপুরচর,ঝিঞ্জিরপাড়া মেহেরটারী ও পুরাতন টাপুরচর উপর দিয়ে এখনও তিস্তার নদীর পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
×