ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

দিল্লীতে মা-বাবার কাছে ফিরে গেল সনু, পরিবারে আনন্দের বন্যা

প্রকাশিত: ০৬:০৮, ১ জুলাই ২০১৬

দিল্লীতে মা-বাবার কাছে ফিরে গেল সনু, পরিবারে আনন্দের বন্যা

নিজস্ব সংবাদদাতা, বরগুনা, ৩০ জুন ॥ দেশের আলোচিত শিশু সনুকে ভারতের দিল্লী থেকে পাচার করে বরগুনার বেতাগীতে আনা হয়েছিল। বরগুনার আদালতের নির্দেশে মঙ্গলবার সনুকে জিম্মায় নিয়েছে ভারতীয় হাইকমিশন। বৃহস্পতিবার সনু নয়াদিল্লী পৌঁছেছে বলে জানা গেছে। অবশেষে সনু তার বাবা-মায়ের কাছে ফিরে গেছে। সনুকে ফিরে পেয়ে তার পরিবারে বইছে আনন্দের বন্যা। আদালত সূত্র থেকে জানাগেছে, শিশু সনুকে ভারতীয় হাইকমিশনের প্রথম সচিব রমাকান্ত গুপ্তর জিম্মায় নিয়ে তার বাবা-মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেয়ার জন্য সোমবার বরগুনার শিশু আদালতে আবেদন করেন তার আইনজীবী। এ আবেদনে আদালতের বিচারক এবং বরগুনার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আবু তাহের প্রথমে পাঁচ লাখ এবং পরে এক লাখ টাকা জামানত দেয়ার শর্ত জুড়ে দেন। এতে রমাকান্ত গুপ্ত সম্মত হননি। ফলে বাবা-মায়ের কাছে সনুর ফিরে যাওয়ার বিষয়টি ঝুলে যায়। মঙ্গলবার ভারতীয় হাইকমিশনের নিযুক্ত আইনজীবী সঞ্জীব কুমার দাস আবার ওই আদালতে জামানত ছাড়াই সনুকে ফিরিয়ে দেয়ার আবেদন করেন। আদালত চলমান মামলায় সনুকে হাজির করার শর্তে তাকে ভারতীয় হাইকমিশনের ওই কর্মকর্তার জিম্মায় দেয়ার আদেশ দেন। পরে বিকেল সাড়ে চারটার দিকে বরগুনার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে সনুকে গ্রহণ করেন রমাকান্ত গুপ্ত। রমাকান্ত গুপ্ত বৃহস্পতিবার সকালে ভারতের উদ্দেশে রওয়ানা হয়ে বিকেলে পৌঁছেছেন বলেও জানা গেছে। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ এক টুইটে বলেন, ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশন সনুকে নিজেদের জিম্মায় নিয়েছে। সনুকে ফিরিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা করার জন্য বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ধন্যবাদ জানান সুষমা। মঙ্গলবার আদালতের আনুষ্ঠানিকতা শেষে সনুকে বরগুনা জেলা জজ আদালতের সামনের চত্বরে আনা হলে সেখানে সনু ও জামাল একে অপরকে জড়িয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। জামাল বলেন, ‘আমার ওপর দিয়ে অনেক ঝড় গেছে। আজ সেই কষ্ট ভুলে গেছি। ওকে আমি ওর পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিতে পেরেছি। এতে আমি মহা খুশি। সনু বলে, বাবা-মাকে ফিরে পাবার আশায় আমি সব রোজাও রেখেছি। দিল্লীতে অবস্থানরত সনুর মা মুমতাজ বেগমের সঙ্গে এ প্রতিবেদকের কথা হয়। তাঁর ছেলেকে ফিরে পাওয়ায় আনন্দে সে আত্মহারা। সনুর বাবা বলেন, অনেক বছর পর আমার হারিয়ে যাওয়া ছেলে আমার কোলে আসবে এটা স্বপ্নের মতো মনে হচ্ছে। ওকে ফিরে পেয়ে আমার সব দুঃখ কষ্ট মুছে গেছে।
×