ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

নেইমার-কস্তাকে নিয়েই ব্রাজিলের অলিম্পিক দল

প্রকাশিত: ০৬:৩৫, ১ জুলাই ২০১৬

নেইমার-কস্তাকে নিয়েই ব্রাজিলের অলিম্পিক দল

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল। চারবার ফিফা কনফেডারেশন কাপ ও আটবার কোপা আমেরিকার শিরোপা জিতেছে সেলেসাওরা। কিন্তু দুর্ভাগ্য তাদের, এখন পর্যন্ত অলিম্পিকের স্বর্ণটাই জেতা হয়নি তাদের। তবে এবার ঘরের মাঠে অনুষ্ঠিতব্য রিও অলিম্পিকে সেই আক্ষেপ ঘোচানোর সুযোগ থাকছে তাদের। অলিম্পিকের জন্য বুধবার ১৮ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে ব্রাজিলের ফুটবল কনফেডারেশন। নিয়ম অনুযায়ী অলিম্পিকে খেলে মূলত অনুর্ধ ২৩ দল। এর ওপরের বয়সী সর্বোচ্চ তিন খেলোয়াড়কে দলে রাখা যায়। সেই হিসেবে ২৩ বছরের বেশি বয়সীদের মধ্যে বার্সিলোনার নেইমার, বেয়ার্ন মিউনিখের ডগলাস কস্তা ও পালমেইরাসের গোলরক্ষক ফারনান্দো প্রাসকে দলে রাখা হয়েছে। এছাড়া দলের সবাই তরুণ। সদ্যসমাপ্ত কোপা আমেরিকার শতবর্ষ উপলক্ষে বিশেষ টুর্নামেন্টে খেলেননি নেইমার। তার ক্লাব বার্সিলোনা ও ব্রাজিল ফুটবল কনফেডারেশনের (সিবিএফ) মধ্যে আলোচনার মাধ্যমেই এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল। সেই আলোচনার মাধ্যমেই ঠিক হয়েছিল যে, নেইমার ব্রাজিলের হয়ে অলিম্পিকে খেলবেন। সেই হিসেবে অলিম্পিক দলে রয়েছেন দেশটির তরুণ প্রতিভাবান এই ফুটবলার। নেইমারবিহীন ব্রাজিল দল এবারের কোপা আমেরিকার গ্রুপপর্ব থেকেই বিদায় নেয়। কোপার ১০০ বছরের ইতিহাসে তারা এমন লজ্জা পেয়েছে দ্বিতীয়বার। তবে সেই অবস্থা থেকে অলিম্পিকে ঘুরে দাঁড়াতে চায় ব্রাজিল। কোপায় ব্যর্থতার কারণে কোচ কার্লোস দুঙ্গাকেও বরখাস্ত করা হয়। তার উত্তরসূরি হিসেবে ব্রাজিলের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে আদেনর লিওনার্দো তিতেকে। তবে অলিম্পিক দলের কোচিং করাবেন ব্রাজিলের অনুর্ধ ২০ দলের কোচ রোজারিও মিকেল। রিও অলিম্পিক শুরু হবে ৫ আগস্ট থেকে। ফুটবলে ‘এ’ গ্রুপে ব্রাজিলের প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা, ইরাক ও ডেনমার্ক। কোপা আমেরিকার গ্রুপ পর্ব থেকেই ব্রাজিলের লজ্জাজনক বিদায়। সেই লজ্জা থেকে বাঁচতে অলিম্পিকে সেরাটা ঢেলে দেয়ার বিকল্প নেই ব্রাজিলিয়ানদের। তবে কোপায় না পেলেও অলিম্পিকে থাকছেন দেশটির সেরা তারকা নেইমার। আর নিজের প্রথম সংবাদ সম্মেলনেও নেইমারের প্রশংসায় পঞ্চমুখ রোজারিও মিকেল। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘নেইমার একেবারেই ভিন্ন। বিশ্বের সেরা ফুটবলারদের একজন সে। তার মতো খেলোয়াড়কে পেতে চাইবে বিশ্বের যে কোন দলই। তার মতো একজন খেলোয়াড় দলে থাকা মানে অনেক কিছুই। আমি মনে করি দলের তরুণ ফুটবলারদের সব ধরনের সহযোগিতা করতে পারবে সে। অলিম্পিকের জন্য মিকেল প্যারিস সেইন্ট জার্মেইর (পিএসজি) মারকিনহোসকে দলে নিয়েছেন মিকেল। কিন্তু জায়গা হয়নি দলের আরেক অভিজ্ঞ তারকা থিয়াগো সিলভার। ফুটবলে এখন দুঃসময় কাটছে ব্রাজিলের। ২০১৪ সালে নিজেদের মাটিতে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে জার্মানির কাছে লজ্জাজনক হেরে ছিটকে পড়েছিল সেলেসাওরা। গত বছরের কোপা আমেরিকাতেও নিষ্প্রভ ছিল কার্লোস দুঙ্গার দল। কোপার শতবার্ষিকী টুর্নামেন্টেও একই চিত্রনাট্য। গ্রুপপর্ব থেকেই লজ্জাজনক বিদায়! ব্যর্থতার এই বৃত্ত থেকে বেরিয়ে আসার জন্য নিজেদের মাটিতে শুরু হতে যাওয়া রিও অলিম্পিকই দারুণ মঞ্চ। নেইমার-কস্তারা কী এখানে তাদের নিজেদের সেরাটা ঢেলে দিতে পারবেন? ফুটবলপ্রেমীদের অপেক্ষা এখন সেটাই দেখার। অলিম্পিক স্কোয়াড গোলরক্ষক ॥ ফারনান্দো প্রাস (পালমেইরা) ও উইলসন (এ্যাটলেটিকো মিনেইরো)। ডিফেন্ডার ॥ মারকিনহোস (পিএসজি), ডগলাস সান্তোস (এ্যাটলেটিকো মিনেইরো), জেকা (সান্তোস), উইলিয়ান (ইন্টার মিলান), লুয়ান (ভাস্কো দা গামা) ও রদ্রিগো কায়ো (সাওপাওলো)। মিডফিল্ডার ॥ থিয়াগো মায়া (সান্তোস), ফেলিপে এ্যান্ডারসন (ল্যাযিও), রাফিনহা (বার্সিলোনা), রদ্রিগো দোরাদো (ইন্টার মিলান) ও ফ্রেড (শাখতার দোনেৎস্ক)। ফরোয়ার্ড ॥ নেইমার (বার্সিলোনা), ডগলাস কস্তা (বেয়ার্ন মিউনিখ) গ্যাব্রিয়েল জেসাস (পালমেইরাস), গ্যাব্রিয়েল বারবোসা (সান্তোস) ও লুয়ান (গ্রেমিও)।
×