ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ব্রিটেনে প্রধানমন্ত্রীর দৌড় থেকে সরে দাঁড়ালেন বরিস জনসন

প্রকাশিত: ০৮:০২, ১ জুলাই ২০১৬

ব্রিটেনে প্রধানমন্ত্রীর দৌড় থেকে সরে দাঁড়ালেন বরিস জনসন

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ ব্রিটেনে ২৩ জুনের গণভোটে ইইউ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পক্ষে রায় হওয়ার পর ধরেই নেয়া হচ্ছিল লন্ডনের সাবেক মেয়র বরিস জনসনই হচ্ছেন পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী। ভোটের পরদিন প্রধানমন্ত্রী ক্যামেরন পদত্যাগের পর সেই ধারণা আরও জোরালো হয়েছিল। কারণ ইইউ ছাড়ার পক্ষের প্রচারে বরিস জনসনই নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। গণভোটে অপ্রত্যাশিত ফলের কৃতিত্ব তাকেই দিচ্ছিলেন অধিকাংশ বিশ্লেষক। কিন্তু বৃহস্পতিবার প্রার্থী হওয়ার সময়সীমা শেষের কয়েক মুহূর্ত আগে দুই বার নির্বাচিত লন্ডনের সাবেক মেয়র অপ্রত্যাশিতভাবে লড়াইয়ে না নামার সিদ্ধান্ত জানান। তার এই ঘোষণাকে নাটকীয় বললে কম বলা হবে, ব্রিটেনের বিশ্লেষকরা একে একটা রাজনৈতিক বোমা ফাটানোর সঙ্গে তুলনা করছেন। কেন তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তা এখনও পরিষ্কার করেননি। তার এই সিদ্ধান্ত অনেককেই হতবাক করেছে। তবে এই নাটকীয়তার আগে বৃহস্পতিবার আরও নাটকীয় ঘটনা ঘটেছে, ব্রিটেনের রাজনীতিতে। ইইউ ছাড়ার পক্ষে বরিস জনসনের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন যিনি, কনজারভেটিভ পার্টির আরেক নেতা, মাইকেল গোভ, তিনি হঠাৎ বৃহস্পতিবার দলের নেতা হওয়ার জন্য প্রার্থী হয়েছেন। অথচ আশা করা হচ্ছিল, মাইকেল গোভ বরিস জনসনকেই সমর্থন দেবেন এবং তার অন্যতম সহযোগী হিসেবে পাশে থাকবেন। খবর বিবিসি অনলাইনের। বিশ্লেষকরা বলছেন, বরিস জনসন হয়ত আশঙ্কা করছেন যে জেতার জন্য যত এমপির সমর্থন দরকার হবে, তার হয়ত সেই সমর্থন নেই। বরিস জনসনের এ ঘোষণার পর ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির পরবর্তী নেতা এবং পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী কে হচ্ছেনÑ সেটাই এখন বড় প্রশ্ন। এখন পর্যন্ত যারা কনজারভেটিভ পার্টির নেতার হওয়ার জন্য প্রার্থী হয়েছেন, তাদের মধ্যে এখন সবচেয়ে সুবিধাজনক অবস্থানে চলে এসেছেন টেরেসা মে, যিনি এখন সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ইউরোপীয় ইউনিয়ন প্রশ্নে গণভোটে তিনি সরাসরি কোন পক্ষ নেননি, ফলে দলের উভয় অংশের দিক থেকে তিনি সমর্থন পাবেন বলে মনে করা হচ্ছে। ধরে নেয়া হচ্ছে টেরেসা মের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হবেন ব্রেক্সিটপন্থী বিচারমন্ত্রী মাইকেল গোভ। বিরোধী লেবার পার্টিতেও নেতৃত্ব নিয়ে বড় ধরনের বিরোধ তৈরি হয়েছে। লেবার পার্টি ছিল ইইউতে থাকার পক্ষে, কিন্তু গণভোটে হেরে যাওয়ার পর অনেকেই দলের নেতা জেরেমি করবিনের নেতৃত্বের সমালোচনা করে রীতিমতো বিদ্রোহ করেছেন। তার ছায়া মন্ত্রিসভার বেশিরভাগ সদস্য পদত্যাগ করেছেন। দলের পার্লামেন্টারি পার্টির বেশিরভাগ সদস্য তার বিরুদ্ধে অনাস্থা এনে তার পদত্যাগ দাবি করেছেন। ইইউ থেকে বেরিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেয়ার পর ব্রিটেনের বড় দুটি দলেই এখন কার্যত নেতৃত্বশূন্যতা দেখা যাচ্ছে।
×