ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ডয়েচ ভেলে

নতুন স্বাদের ভিডিও গেম

প্রকাশিত: ০৪:০৮, ২ জুলাই ২০১৬

নতুন স্বাদের ভিডিও গেম

একদল তরুণ বিজ্ঞানী নিখোঁজ। তাদের খোঁজাটাই হলো খেলা। ‘অল্টমাইন্ডস’ ভিডিও গেমটি অ্যানিমেশন, টেক্সট আর ভিডিওর সংমিশ্রণ, বাস্তব আর কল্পনার মিশ্রণ। গোলাগুলি, মারামারির বদলে মাথা খাটানো। গেমটির নির্মাতাদের খুঁজতে হবে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের কাছে। যেমন জামিল কেমাল বললেন, ‘সাধারণত ভিডিও গেম মানেই সুপার শক্তিধারী সুপারহিরো আর তার সব সুপার অস্ত্রশস্ত্র। আমাদের খেলায় গেমার নিজেই একজন সুপারহিরো। তার অস্ত্র হলো তার নিজের মগজ, সেই সঙ্গে গুগল, ফেসবুক আর গুগল ম্যাপস। ‘বিশ বছরের বেশি সময় ধরে লেক্সিস নুমেরিক ভিডিও গেমস তৈরি করে আসছে, বেচেছেও লাখে লাখে। তাদের লক্ষ্য নতুন আইডিয়া আর এ ধরনের খেলার জন্য নতুন গ্রাহক। জামিল কেমাল জানালেন, ‘আমাদের অন্যান্য ভিডিও গেম আছে। আমাদের সাফল্যের ইতিহাস হলো, আমরা যে সব গেম তৈরি করেছি, তা আগে ছিল না। যেমন ছোটদের জন্য গেম। আমাদের প্রথম ছোটদের গেমটা ছিল ছোট মেয়েদের জন্য।’ আজও লেক্সিস ছোটদের গেম তৈরি করে থাকে। গোটা ফ্রান্সে প্রায় শতিনেক ভিডিও গেম তৈরির সংস্থা আছে। তারা সরকারী সাহায্যও পায়, কেননা ভিডিও গেম আজ ফরাসী সংস্কৃতির অঙ্গ। জামিল কামাল-ও তা থেকে উপকৃত, ‘ইউরোপীয় পর্যায়ে মিডিয়া ইউরোপ নামের একটি তহবিল সারা ইউরোপে ভিডিও গেমস ইন্ডাস্ট্রিকে সাহায্য করে। কিন্তু ফ্রান্সে জাতীয় ফিল্ম তহবিলও আমাদের সাহায্য করে থাকে : তারা ইন্টারএ্যাক্টিভ ভিডিও গেম তৈরিতে উৎসাহ দেয়, ডেভেলপারদের ভর্তুকি দেয়।’ ফ্রান্সে ভিডিও গেম ইন্ডাস্ট্রি বহুদিন আগেই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিকে ছাড়িয়ে গেছে, দ্বিগুণ বিক্রি করছে। লেক্সিস নুমেরিকের পরবর্তী প্রকল্প হলো ‘ট্যাক্সি জার্নি’, একটা এ্যাডভেঞ্চার গেম, যা কিনা লেক্সিসের পক্ষেও নতুন। কিন্তু গেমটির নতুনত্ব এবার খেলায় নয়। গেম ডেভেলপ করার খরচের একাংশ আসবে গেমারদের কাছ থেকে, সেটাই হলো আশা। জামিল কেমাল এই অভিনবত্বের জন্য গর্বিত, ‘আমরা সেপ্টেম্বরে কিকস্টার্টার প্ল্যাটফর্মে গেমটি পেশ করব, এ যাবত ফ্রান্সে খুব কম স্টুডিও-ই যা করেছে। আমরা বোধহয় দ্বিতীয় সংস্থা, যারা গেম ডেভেলপ করার পুঁজি সংগ্রহ করতে কিকস্টার্টার ব্যবহার করছে।’ লেক্সিস নুমেরিকের মতো সফল একটি স্টুডিও-কেও নতুনের খোঁজে থাকতে হয়, বিশেষ করে পুঁজি যোগাড় করার নতুন পন্থার খোঁজে? একটা গেম ডেভেলপ করার খরচই যে হলো পাঁচ লাখ ইউরো!
×