ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

ভিসির সঙ্গে আলোচনার পর ছাত্রলীগের কর্মসূচী প্রত্যাহার

প্রকাশিত: ০৫:৫০, ২ জুলাই ২০১৬

ভিসির সঙ্গে আলোচনার পর ছাত্রলীগের কর্মসূচী প্রত্যাহার

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের স্মরণিকায় বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমানকে বাংলাদেশের ‘প্রথম রাষ্ট্রপতি’ লেখায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন থেকে সরে এসেছে ছাত্রলীগ। শুক্রবার রাতে উপাচার্যের বাসভবনে আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সঙ্গে একঘণ্টা বৈঠক শেষে আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন ছাত্রলীগের নেতারা। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ সাংবাদিকদের বলেন, স্মরণিকায় ইতিহাস বিকৃতির ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আমাদের আন্দোলন ছিল। এ ঘটনায় একজনকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। তাই আমরা আন্দোলন প্রত্যাহার করেছি। ভিসির পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন হলেও বৈঠক শেষে তিনি বলেন, ‘আমাদের আন্দোলন ভিসির বিরুদ্ধে ছিল না।’ এ সময় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন, ছাত্রলীগ ঢাবি শাখার সভাপতি আবিদ আল হাসান, সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন প্রিন্স প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের স্মরণিকায় বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমানকে বাংলাদেশের ‘প্রথম রাষ্ট্রপতি’ লেখায় অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়ে। ইতিহাস বিকৃতির প্রতিবাদে প্রকাশনার দায়িত্বে থাকা ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার সৈয়দ রেজাউর রহমানকে অবরুদ্ধ করা ছাড়াও উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের গাড়ি ভাংচুর করে বিক্ষুব্ধ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। ছাত্রলীগের প্রতিবাদ, বিক্ষোভের মুখে স্মরণিকার লেখক ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার সৈয়দ রেজাউর রহমানকে অব্যাহতি দিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের ঘোষণা দেন উপাচার্য। কর্মসূচী একবার স্থগিতের ঘোষণা দিলেও সন্ধ্যায় রেজাউর রহমানের বিচার ও উপাচার্যের পদত্যাগের দাবি তোলে ছাত্রলীগ। উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক তদন্ত করে ঘটনার মূল রহস্য উন্মোচনের আশ্বাস দিয়ে বলেছেন, আমরা ভালভাবেই বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন করছিলাম। কিন্তু স্মরণিকায় ইতিহাস বিকৃতির যে ভুলটা ছিল তা মারাত্মক। এর সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। স্মরণিকায় লেখাটি রেজাউর রহমানের নিজের লেখা। যেহেতু এটা ভারপ্রাপ্ত রেজাউর রহমানের ‘বাইলাইন লেখা’ তাই এর দায়দায়িত্ব লেখককে বহন করতে হবে। এ কারণে রেজাউর রহমানকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। প্রবন্ধের যে ভুল হয়েছে তা ইচ্ছাকৃত নাকি অনিচ্ছাকৃত তা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে উল্লেখ করে উপাচার্য বলেন, গাড়ি ভাংচুরের বিষয়েও তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। জানা গেছে, ১ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে একটি স্মরণিকা প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এ স্মরণিকায় ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ৯৫ বছর উদ্যাপন কমিটির সদস্যসচিব রেজাউর রহমানের লেখা ‘স্মৃতি অম্লান’ শিরোনামে নিবন্ধে মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের পরিচিতি তুলে ধরতে গিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি, সাবেক সেনাপ্রধান ও একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা।’ আরও লেখা হয়, ‘মুক্তিযুদ্ধের পর জিয়াউর রহমান ১৯৭৭ সালে ২১ এপ্রিল বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হন এবং ১৯৮১ সালের ৩০ মে এক সামরিক অভ্যুত্থানে নিহত হন।’ বঙ্গবন্ধু হল ও বঙ্গবন্ধু টাওয়ারের ইতিহাস তুলে ধরতে গিয়ে স্মরণিকার অষ্টাদশ পৃষ্ঠায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সম্পর্কে লেখা হয়েছে, তিনি ‘বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক নেতা, যিনি পূর্ব পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে অন্যতম পুরোধা ব্যক্তিত্ব এবং বাংলাদেশের জাতির জনক হিসেবে বিবেচিত।’ জিয়াউর রহমানকে দেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি লেখার মাধ্যমে ইতিহাস বিকৃতির খবর ছড়িয়ে পড়লে প্রতিবাদে জুমার নামাজের পর মধুর ক্যান্টিন থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। তারা উপাচার্যের বাসভবনের সামনে তার পদত্যাগ দাবি করে বিক্ষোভও করেন। টিএসসিতে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের আলোচনা সভা চলাকালেও রেজাউর রহমানের লেখাটি ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতার দৃষ্টিতে আসে। এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, ছাত্রলীগ নেতা ও শিক্ষকরা প্রতিবাদ জানান। আলোচনাসভায় বিষয়টির প্রতিবাদ জানান বিশ্ববিদ্যালয় এ্যালামনাই সদস্য সুভাষ সিংহ রায়। ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ জানান, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের মধ্যে থাকা জামায়াত-বিএনপির লোকজন ইতিহাস বিকৃতির কাজটি করেছে। এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ওই স্মরণিকা বাজেয়াফত করার ঘোষণা দেন এবং তদন্ত কমিটি গঠন করে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেন। পরে বিক্ষুব্ধ ছাত্রলীগ কর্মীরা দুপুরে প্রায় এক ঘণ্টা ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারকে তার কার্যালয়ে তালাবদ্ধ করে রাখে। এক পর্যায়ে ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আমজাদ আলী ঘটনাস্থলে শিক্ষার্থীদের শান্ত করেন এবং রেজাউর রহমানকে বের করে আনেন। বেলা তিনটার দিকে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা উপাচার্যের বাংলোর সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে। তারা উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের গাড়ি ভাংচুর করে। এ সময় উপাচার্য গাড়িতে থাকলেও তিনি আহত হননি। পুলিশ তাকে নিরাপদে বাসায় পৌঁছে দেয়। প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থীরা জানায়, বিকেলে আরেফিন সিদ্দিক বাসভবনে প্রবেশের সময় অর্ধশতাধিক তরুণ জয়বাংলা সেøাগান দিয়ে তার গাড়িতে হামলা চালায়। এতে গাড়িটির ডান পাশের গ্লাস সম্পূর্ণ ভেঙ্গে যায়। খবর পেয়ে শাহবাগ থানার পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা ঘটনাস্থলে যান এবং তাকে উদ্ধার করে নিরাপদে বাসায় পৌঁছে দেন। এ সময় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতারাও সেখানে উপস্থিত হয়ে পরিবেশ শান্ত করার চেষ্টা করেন। শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক তখন জানান, আরেফিন স্যারকে বাসায় পৌঁছে দেয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও আমরা কথা বলেছি। এদিকে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার সৈয়দ রেজাউর রহমান দাবি করেছেন, ‘ওটা ছাপার ভুল।’ কিন্তু এত বড় ভুল কিভাবে হয় তার কোন সঠিক ব্যাখ্যা তিনি এখন পর্যন্ত দেননি। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের মধ্যে থাকা জামায়াত-বিএনপির লোকজন ইতিহাস বিকৃতির কাজটি করেছে। শিক্ষকদেরও একটা বড় অংশ মনে করছেন, পরিকল্পিতভাবেই এটা করা হয়েছে। পরিস্থিতি ক্রমেই জটিল আকার ধারণ করলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার রেজাউর রহমানকে অব্যাহতি দেয়া হয়। উপাচার্যের কার্যালয়ে নিযুক্ত উপ-রেজিস্ট্রার মুনসী শামস উদ্দিন আহম্মদ স্বাক্ষরিত এক আদেশে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক অব্যাহতির এই আদেশ দিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) সৈয়দ রেজাউর রহমানকে তার পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হলো। আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আখতারুজ্জামান জনকণ্ঠকে বলেন, তথ্য বিকৃতি ঘটেছে। এ কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে অব্যাহতি দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। তদন্ত করে সে অনুসারে ববস্থা নেয়া হবে। ইতিহাস বিকৃতির পেছনের কারণ কি হতে পারে? এমন প্রশ্নে এখন বলা কঠিন মন্তব্য করে এ শিক্ষাবিদ বলেন, অনেকেই তো চায় প্রতিষ্ঠানটিকে অস্থির করতে। দেখা যাক। ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এদিকে সৈয়দ রেজাউর রহমানকে অব্যাহতি দেয়ার পরপরই আন্দোলন স্থগিত করার ঘোষণা দেয় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা। ছাত্রলীগ নেতারা বলেছেন, আগামী ১৭ জুলাইয়ের মধ্যে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত বাকিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া না হলে তারা আবারও আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন প্রিন্স বলেন, ইতিহাস বিকৃতির চেষ্টা কেউ করলে আন্দোলন থেমে থাকবে না। গাড়ি ভাংচুর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটি বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা করেছে। তবে আন্দোলন স্থগিত করার ঘোষণার আধাঘণ্টা পরই অবস্থান পাল্টে নতুন করে রেজাউর রহমানের বিচার ও উপাচার্যের পদত্যাগের দাবি তুলে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন ছাত্র লীগের নেতাকর্মীরা। দায় ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার রেজাউর রহমানের- উপাচার্য ॥ স্মরণিকার ‘ইতিহাস বিকৃতির’ জন্য ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার সৈয়দ রেজাউর রহমানকে দায়ী করেছেন উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। ‘যার নামে প্রকাশনা, দায় প্রাথমিকভাবে তার’- এমন মন্তব্য করে তিনি বলেছেন, সেটি ইচ্ছাকৃত, না অনিচ্ছাকৃত এবং কার কারণে হয়েছে- সে বিষয়গুলো তদন্তের মাধ্যমে দেখা হবে। ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ-ভাংচুরের পর উপাচার্যের পদত্যাগের দাবির মধ্যেই বিকেলে নিজের বাসভবনে সংবাদ সম্মেলন করেন উপাচার্য। স্মরণিকার একটি প্রবন্ধে ‘মারাত্মক ভুল’ লক্ষ্য করার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, এটা বাইলাইন পাবলিকেশন ছিল। সেই প্রবন্ধের রচয়িতার ওপর দায় বর্তাবে। তাকে তাৎক্ষণিক অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। অধ্যাপক ড. আরেফিন সিদ্দিক বলেন, আজকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ছিল। এ উপলক্ষে নানা আয়োজন চলছে। এ উপলক্ষে একটি আলোচনা সভায় একটা স্মরণিকা প্রকাশ করা হয়। সেখানে তাৎক্ষণিকভাবে আমরা প্রত্যক্ষ করি, ... ভুল আছে। সেই কারণে আলোচনা অনুষ্ঠানেই সেটা প্রত্যাহার এবং বাজেয়াফত করা হয়েছে। ঘটনাটি ইচ্ছাকৃত, না অনিচ্ছাকৃত এবং কার কারণে ঘটেছে সে বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তদন্ত করে দেখবে। তবে এতটুকু স্বীকৃত পন্থা যে, যার নামে কোন কিছু প্রকাশিত হয়, তাকেই দায়ী করা হয়। সে কারণে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিষয়টিকে দেখবে। সংবাদ সম্মেলনে গাড়ি ভাংচুরের প্রসঙ্গে উপাচার্য বলেন, আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে ছিলাম। আমি যখন বাংলোতে প্রবেশ করছিলাম, সেই সময় আমার গাড়িতে হামলা করা হয়েছে। আপনারা সেটা অবগত আছেন। রেজাউর রহমানের পাশে বিএনপি ॥ ইতিহাস বিকৃতির ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটে যাওয়া কর্মকা-ে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন বিএনপি নেতারা। রেজাউর রহমানের বিষয়ে কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থা গ্রহণের পর একে বাক-স্বাধীনতার ওপর চরম আক্রমণ চলছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ। রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার সৈয়দ রেজাউর রহমানের পদত্যাগ দাবিতে ভিসির বাসভবন ঘেরাও এবং তার গাড়ি ভাংচুর করার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানান রিজভী। কোন নাগরিক তার মতপ্রকাশ করতে পারছে না উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, দেশে বাক-স্বাধীনতার ওপর চরম আক্রমণ চলছে। নিজস্ব মতামত প্রকাশের কোন সুযোগ নেই।
×