ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছেন বেশ কয়েক বিদেশী শিক্ষার্থী। তাদের অনেকেই এবার ঈদ উদযাপন করবেন ক্যাম্পাসে। তাদের কথা জানাচ্ছেন- শাহীন আলম

বিদেশী শিক্ষার্থীদের ঈদ

প্রকাশিত: ০৬:৫৮, ৩ জুলাই ২০১৬

বিদেশী শিক্ষার্থীদের ঈদ

ঈদ মানেই আনন্দ, ঈদ মানেই খুশী। ঈদে পরিবার ও আত্মীয়দের সঙ্গে জমে ওঠে আড্ডা রাশি রাশি। এমন অনুভূতিগুলোই ব্যক্ত করলো জিবুতি থেকে আসা বিদেশী মাস্টার্স শিক্ষার্থী মো. বারকাত হাসান। দেশের বাহিরে পরিবার ছেড়ে তৃতীয় বারের মতো ঈদ পালন করছি। প্রথমবার ভারতে ও দ্বিতীয়বার বাংলাদেশে ঈদ করেছি। কিন্তু এবার প্রথমবারের মতো ক্যাম্পাসে ঈদ করতে চলেছি। খুবই রোমাঞ্চকর লাগছে। মিস করছি পরিবারকে। দেশের ঈদ সংস্কৃতিকে। আর সুস্বাদু খাবার। তবে এটি বলার মতো, হাবিপ্রবি ক্যাম্পাস আমাকে যে যোগ্যতা ও দৃঢ়তায় গড়ে তুলছে তা বলার ভাষা নেই। এ যোগ্যতা আমাকে দেশের মানুষের কাছে অনেক বেশি সম্মানিত করবে। তাই বিদেশে ঈদ উদযাপন করলেও মন খারাপ হচ্ছে না। বাংলাদেশ ও প্রিয় ক্যাম্পাস হাবিপ্রবিকে ধন্যবাদ জানাই বাংলার সংস্কৃতিতে ঈদ উদযাপনের সুযোগ করে দেবার জন্য। আরেক মাস্টার্স শিক্ষার্থী উসমান হাসান। এসেছেন সোমালিয়া থেকে। এবার ক্যাম্পাসেই ঈদ করবেন। ইয়েমেনের পর এবার বাংলাদেশে ঈদ উদযাপন এক ভিন্ন মাত্রা যোগ করবে। বাংলাদেশের মানুষ বন্ধুবৎসল। বিশেষ করে এ ক্যাম্পাসের মানুষগুলো। তবে পরিবারের সদস্যদের খুব মিস করব। দিনাজপুর শহরে গিয়ে ইতোমধ্যে পাঞ্জাবি, ট্রাউজার, জুতা কিনেছি। প্রিয় ক্যাম্পাসে বিদেশী বন্ধুদের নিয়ে আনন্দঘন সময় কাটাব বলে। নাইজেরিয়ার মাহমুদ আবু বক্কর বশির। কৃষি বনায়ন ও পরিবেশ বিজ্ঞানে স্নাতকোত্তরে অধ্যয়নরত। আধো আধো বাংলা ও স্বতস্ফূর্ত ইংরেজী ভাষায় দেশের বাহিরে প্রথম ঈদ উদ্যাপনের অনুভূতি ব্যক্ত করলেন। বললেন, বাংলাদেশে অনেক বন্ধু হয়েছে। প্রায় সবাই গ্রামে চলে গেছে ঈদের ছুটিতে। আমি খুবই উচ্ছ্বসিত এবারের ঈদ নিয়ে। আমার স্ত্রী ও ৮ মাস বয়সের একমাত্র পুত্রকে খুব বেশি মিস করব। দেশীয় সংস্কৃতি ছেড়ে বিদেশী কৃষ্টি-কালচারের ঈদ অনেক উপভোগ্য হবে বলে মনে করছি। বিশেষ করে এদেশের পোশাক ও খাদ্যাভাস। দেশে যা করতাম এখানে তা হবে না ঠিকই, কিন্তু ভিন্ন কিছু অপেক্ষা করছে আশা করছি। সত্যিই এক রোমাঞ্চের অপেক্ষা। একই বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ ওমর মাহমুদ। সোমালিয়া ছেড়ে এবার দ্বিতীয় ঈদ বাংলাদেশে। তবে ক্যাম্পাসে এবারেই প্রথম। সে খুব খুশি প্রিয় ক্যাম্পাসে ঈদ করতে পেরে। শহর থেকে পাঞ্জাবি, শার্ট, জুতোও কিনে ফেলেছেন। জামাত শেষে পার্টি দিতে রান্না করতে চান ফ্রাইড রাসই, চিকেন কারি, মাটনসহ বিভিন্ন সুস্বাদু খাবার। বেড়াতে যেতে চান রামসাগর, স্বপ্নপুরী, কান্তজিউ মন্দির, শহরের পুরনো হলে।
×