নিজস্ব সংবাদদাতা,হবিগঞ্জ ॥ ইউপি নির্বাচনে জয়-পরাজয় নিয়ে সৃষ্ট বিরোধের জের ধরে রবিবার দুপুরে হবিগঞ্জের উপজেলা নবীগঞ্জের পল্লী কুর্শিতে সন্ত্রাসী হামলা এবং পরবর্তীতে দু’পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংর্ঘষে নব-নির্বাচিত সংশ্লিস্ট ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার ও স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি আল-আমিন খান সহ আহত হয়েছে অন্তত ৭৫ জন। তন্মধ্যে ওই লীগ নেতা আল-আমিন ও লন্ডন প্রবাসী রানা চৌধুরী সহ অন্তত ৮ জনকে মুমুর্ষ অবস্থায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়। এছাড়া আরও বেশ কয়েকজনকে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতাল সহ স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ৫ম দফা ওই নির্বাচনে কুর্শি গ্রামের ৫নং ওয়ার্ড থেকে মেম্বার পদে বিপুল ভোটে বিজয়ী হন সংশ্লিস্ট ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি আল-আমিন। তবে তা মেনে নিতে পারেননি একই পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থী সংশ্লিস্ট ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সৈয়দ নজমুল হোসেন হারুন ও তার লোকজন। এ নিয়ে সংশ্লিস্ট গ্রামে চলছিল চাপা উত্তেজনা। শুধু তাই নয়, লন্ডন প্রবাসী বিএনপি নেতা রানা মিয়া চৌধুরীও নাকি হারুনকে ভোট না দেয়ায় তাকেও দেখে নেয়ার হুমকি দেয় হারুনের লোকজন। এমনি পরিস্থিতিতে রবিবার সকাল ১১ টার দিকে আওয়ামীলীগ নেতা আল-আমিন কুর্শি বাস স্টেন্ডেস্থ তার ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের সম্মুখে আসা মাত্র চাইনিজ কুড়াল সহ অন্যান্য দেশীয় অস্ত্র শস্ত্রে সজ্জিত থাকা হারুন ও তার লোকজন আল-আমিনের ওপর হামলা চালায়। এসময় উপর্যপুরী কুপিয়ে আল-আমিনকে ক্ষতবিক্ষত করে সন্ত্রাসীরা। এদিকে এই খবর পেয়ে আল-আমিনের পক্ষাবলম্বনকারী লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে আসলে উভয় পক্ষের মধ্যে তুমুল সংর্ঘষ বেধে যায়। প্রায় ঘন্টা ব্যাপী এই সংর্ঘষ চলাকালে দোকান পাট ও যান চলাচল বন্ধ হবার পাশাপািশ পুরো এলাকা এক রণক্ষেত্রে পরিনত হয়। এ খবর পেয়ে সংশ্লিস্ট থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। তবে উভয় পক্ষের মধ্যে আবারও বড় ধরনের রক্ষক্ষয়ী সংর্ঘষের আশংকা থাকায় ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
