কলাপাড়ায় ৯৫০ শিক্ষক উৎসব ভাতা পাননি

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া, ৩ জুলাই ॥ ৯৫০ শিক্ষক ঈদ-উল-ফিতরের উৎসব ভাতা পাননি। বঞ্চিতদের অভিযোগ সোনালী ব্যাংক কলাপাড়া বন্দর শাখার কর্মকর্তাদের উদাসীনতার কারণে তারা এ উৎসব ভাতা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। এ শাখায় ১৮টি মাদ্রাসা, ৩০টি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং চারটি কলেজের শিক্ষকরা এ ভাতা থেকে বঞ্চিত রয়েছেন। ফলে তাদের ঈদ উৎসব ম্লান হয়ে গেছে। পক্ষান্তরে একই উপজেলার রূপালী ব্যাংকের কলাপাড়া শাখায় ৭-৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা ঈদের উৎসব ভাতা যথাসময় পেয়েছেন। নাওভাঙ্গা সিনিয়র মাদ্রাসার অধ্যক্ষ জিয়াউল ইসলাম জানান, এমপিওভুক্ত ২২টি মাদ্রাসার মধ্যে চারটির হিসাব রূপালী ব্যাংকে। ওই চারটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সকল শিক্ষক উৎসব ভাতা পেয়েছেন। অথচ সোনালী ব্যাংকে যাদের হিসাব, তারা উৎসব ভাতা পাননি। মোজাহার উদ্দিন বিশ^াস অনার্স কলেজের অধ্যক্ষ দেলওয়ার হোসেন জানান, তাদের কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীসহ ৫৬ জনের কেউ ঈদ উৎসব ভাতা পাননি। একই দশা ধানখালী ডিগ্রী কলেজ, কলাপাড়া মহিলা কলেজ ও কুয়াকাটা খানাবাদ কলেজের। এমন দশায় পড়েছেন অন্তত ২২টি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অন্তত ৪৫০ শিক্ষক-কর্মচারী। তারাও কেউ ঈদের উৎসব ভাতা পাননি। কলাপাড়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন বিশ^াস ক্ষোভ প্রকাশ করে এ গাফিলতির জন্য সোনালী ব্যাংকের কর্মকর্তাদের দায়ী করেছেন। সোনালী ব্যাংক কলাপাড়া বন্দর শাখার ম্যানেজার মোশারফ হোসেন খান জানান, উৎসব ভাতার শীট যথাসময়ে এসে পৌঁছেনি। তাই সকল শিক্ষককে ঈদ-উল-ফিতরের উৎসব ভাতা দেয়া যায়নি। তবে বৃহস্পতিবার শেষ বিকেল পর্যন্ত উৎসব ভাতা দিয়েছেন বলে তার দাবি।