ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সাত হাজার বন্দীকে ২২ ও ২৩ জুলাই কেরানীগঞ্জ কারাগারে স্থানান্তর

প্রকাশিত: ০৬:১২, ৫ জুলাই ২০১৬

সাত হাজার বন্দীকে ২২ ও ২৩ জুলাই কেরানীগঞ্জ কারাগারে স্থানান্তর

মশিউর রহমান খান ॥ অবশেষে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আটক সাত হাজারের অধিক বন্দীকে ঢাকার কেরানীগঞ্জ উপজেলার রাজেন্দ্রপুরে নবনির্মিত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ। আগামী ২২ ও ২৩ জুলাই দুই দিন পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দীন রোডে অবস্থিত দেশের সবচেয়ে পুরাতন কারাগার থেকে ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত নবনির্মিত কেরানীগঞ্জ কারাগারে বন্দীদের স্থানান্তর করা হবে বলে জনকণ্ঠকে নিশ্চিত করেছেন কারা মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজন্স) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দীন। বন্দী স্থানান্তরের মধ্য দিয়ে ব্রিটিশ আমল থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত নানা ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী এ কারাগারটি বন্দীশূন্য হবে। এ কারাগারটি শুধু বিচারাধীন পুরুষ বন্দীদের রাখার জন্য তৈরি করা হয়েছে। ফলে বর্তমানে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আটক নারী বন্দীদের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগারে পাঠানো হবে। সূত্র জানায়, ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ইতোমধ্যে দুই-তৃতীয়াংশ নারী বন্দীকে কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তর করা হয়েছে। বাকি শতাধিক বন্দীকেও অতি দ্রুত স্থানান্তর শুরু করা হবে বলে প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। নির্মাণাধীন কারাগারটিতে নিরাপত্তা ত্রুটিজনিত বিশেষ কারণে উদ্বোধনের প্রায় ৪ মাস পর এ বন্দী স্থানান্তর করা হচ্ছে। কারাসূত্রে জানা গেছে, এ নির্দিষ্ট তারিখে বন্দী স্থানান্তর করা সম্ভব নাও হতে পারে। কারণ হিসেবে জানা গেছে, বন্দী স্থানান্তরে এর আগে কয়েক দফা তারিখ পরিবর্তন করা হয়। এছাড়া নির্মাণ কজেরও নিরাপত্তাজনিত বিভিন্ন ত্রুটি রয়েছে, যা এ নির্দিষ্ট সময়ে পুরোপুরি সংস্কার করা সম্ভব হবে না। এর আগে কারা কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে এপ্রিল মাসের শেষেই যে কোন ছুটির দিনে বন্দী স্থানান্তর করা হবে বলে জানানো হয়। উল্লেখ্য, চলতি বছরের ১০ এপ্রিল ঢাকার কেরানীগঞ্জ থানার তেঘরিয়া মৌজায় অবস্থিত দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ ও বিশেষ সুবিধাসংবলিত কারাগারটির জাঁকজমকপূর্ণ শুভ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।কারা সূত্র জানায়, দেশের ইতিহাসে এর আগে এত সংখ্যক বন্দীকে এক কারাগার থেকে অন্য কারাগারে স্থানান্তর করা হয়নি। ফলে কারা অধিদফতর বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বন্দী স্থানান্তর প্রক্রিয়ার কাজটি সম্পন্ন করতে কারা মহাপরিদর্শকের পক্ষ থেকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার কর্তৃপক্ষকে মৌখিক ও লিখিত নির্দেশ প্রদান করেছে। সকল বন্দী একদিনে স্থানান্তর করা সম্ভব নয় এবং শুক্র ও শনিবার ছুটির দিন বলে কোন আসামিকে আদালতে হাজিরার জন্য নেয়ার প্রয়োজন হবে না বিধায় নির্বিঘেœ বন্দী স্থানান্তরের জন্য এ দিন দুটি ঠিক করা হয়েছে বলে কারাসূত্রে জানা গেছে। তাছাড়া বন্দী স্থানান্তরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে এ দুই দিন সুবিধাজনক হবে বলে নিশ্চিত করেছে। বন্দী স্থানান্তরের সময় র‌্যাব, পুলিশ, বিজিবি, আনসারসহ সকল গোয়েন্দা সংস্থার সাহায্য নেয়া হবে। বন্দী স্থানান্তরের সকল কর্মকা-ই এসব গোয়েন্দা সংস্থার কঠোর নজরদারিতে রাখা হবে বলে জানা গেছে। ভোর ৬টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত সকল বন্দীকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বিশেষ ব্যবস্থায় পুলিশের প্রিজন ভ্যানে করে কেরানীগঞ্জে স্থানান্তর করা হবে। এজন্য ঢাকা ও তার আশপাশের কারাগার থেকে আদালতে বন্দী আনা-নেয়ার জন্য ব্যবহারিত সকল প্রিজন ভ্যানগুলোকে ঢাকায় আনা হবে। এছাড়া এর বাইরে বন্দী আনা-নেয়ার সুবিধার্থে কারাগারের যানবাহনগুলোকে ব্যবহার করা হবে। প্রতিটি প্রিজন ভ্যানে সর্বোচ্চ ৪০ বন্দীকে নেয়া হবে। কারাসূত্র জানায়, এ দুই দিন পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দীন রোড থেকে কেরানীগঞ্জে যেতে বন্দী নেয়ার সমস্ত রাস্তাটিতে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হবে। প্রতিটি মোড়ে মোড়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন। এ রাস্তায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বিভিন্ন বাহিনীর কয়েক হাজার সদস্য মোতায়েন করা হবে। জানা গেছে, বর্তমান পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারটি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অন্তর্গত এলাকায় অবস্থিত কিন্তু নতুন কারাগারটি ঢাকা জেলা পুলিশের এলাকায় অবস্থিত। এমতাবস্থায় ঢাকা জেলার পুলিশ ও ডিএমপির সমন্বয় করে বন্দী স্থানান্তরের বিষয়টি সমাধানের জন্য কারা কর্তৃপক্ষ পুলিশের কাছে সহায়তা কামনা করেছেন। স্থানান্তরকালীন কোন বন্দী যাতে কোনক্রমেই পালানোর চেষ্টা করার কোনরকমের সুযোগ না পায়, তা দেখতে সর্বোচ্চ মহল থেকে বিভিন্ন বন্দীর প্রকার ভেদ সম্পর্কে র‌্যাব পুলিশসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা মাধ্যমকে জানাতে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। কারাসূত্র জানায়, কেরানীগঞ্জের কারাগারের ভেতর বন্দী রাখার জন্য তৈরি ওয়ার্ড ও সেলগুলোর নাম ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতরের বর্তমান ওয়ার্ডগুলোর নামে মিল রেখে রাখা হয়েছে। ফলে বর্তমানে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আটক যেসব বন্দী যেসব ওয়ার্ড বা সেলে অবস্থান করছেন, কেরানীগঞ্জ কারাগারেও একই ওয়ার্ড ও সেলে তাদের রাখা হবে। এছাড়া বন্দী স্থানান্তরের সুবিধা অনুযায়ী ও বন্দীর হিসাব ঠিক রাখতে ঢাকা কারাগারের ভেতরে প্রিজন ভ্যান নিয়ে বন্দী তুলে নিয়ে কেরানীগঞ্জের নির্দিষ্ট সেল বা ওয়ার্ডের সামনে গিয়ে বন্দী গণনা শেষে তাদের রাখা হবে। কারা সূত্র জানায়, ইতোমধ্যেই বন্দী স্থানান্তরের অংশ হিসেবে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বন্দীর নিত্য ব্যবহার্য থালা-বাটি কম্বল স্থানান্তর শুরু হয়েছে। গত কয়েক দিনে কমপক্ষে ১০ ট্রাক কম্বল, থালা ও বাটি পাঠানো হয়েছে। সঙ্গে বন্দীর কারাবাস সংশ্লিষ্ট সকল তথ্য ও কারাগারের প্রয়োজনীয় সকল প্রকার কাগজ পাঠানো শুরু হয়েছে। কোন কোন প্রক্রিয়ায় সকল বন্দীকে নিরাপদে স্থানান্তর করা হবে এবং নতুন কারাভ্যন্তরে কোন শ্রেণীর বন্দীকে কোথায় রাখা হবে, বা নারী বন্দীকে কোথায় রাখা হবেÑ এসব নিয়ে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার জাহাঙ্গীর কবির জেলার নেছার আলম, সকল ডেপুটি জেলারসহ কারা নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট কারা গোয়েন্দাদের নিয়ে একাধিক বৈঠক সম্পন্ন করেছেন। জানা গেছে, বন্দী স্থানান্তরে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে ও সম্ভাব্য যে কোন প্রকার দুর্ঘটনা এড়াতে কারা কর্তৃপক্ষ দফায় দফায় কারা মহাপরিদর্শক থেকে শুরু করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ সংশ্লিষ্ট সকল কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন। তাছাড়া কারাগারে বন্দীর নিরাপত্তাই প্রথম বিষয় হিসেবে বিবেচনা করা হয় বিধায় ঢাকা থেকে কেরানীগঞ্জে বন্দী নেয়ার পথে কোন বন্দী যাতে অসুবিধায় না পড়ে কিংবা অসুস্থ না হয়ে যায়, সে বিষয়ে নজর রাখতে সংশ্লিষ্টদের বিশেষ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সরেজমিন দেখা গেছে, কেরানীগঞ্জের কারাগারের ভেতর জেল সুপার ও জেলারসহ সকল কর্মকর্তাদের অফিসে চেয়ার-টেবিল ও আনুষঙ্গিক জিনিসপত্র স্থাপনের কাজ চলমান রয়েছে। কয়েকটি ভবনে ধোয়া-মোছার কাজ করা হচ্ছে। কিছু স্থানে রং করা হচ্ছে। কয়েকটি ভবনের দরজা-জানালায় ঝালাই দেয়া হচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নির্মাণ সংশ্লিষ্ট কয়েকজন কর্মচারী জানান, বর্তমান কাজের গতি অনুযায়ী কেরানীগঞ্জ কারাগারটিকে ২২ ও ২৩ জুলাই বন্দী রাখার উপযোগী করা সম্ভব হবে না। এজন্য অতিরিক্ত আরও কয়েক দিন বেশি সময় লাগতে পারে। তবে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। উল্লেখ্য, কেরানীগঞ্জে প্রায় ৪ শত ৬ কোটি ৩৪ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। প্রকল্পে মোট ১শ’ ৯৪ দশমিক ৪১ একর জমির মধ্যে প্রতিষ্ঠিত পুরুষ কারাগার-১ এর ভবনগুলো ৩১ একর জমির ওপর তৈরি করা হয়েছে। আরও নতুন ২টি পুরুষ ও মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগার ও একটি কেন্দ্রীয় কারা হাসপাতাল নির্মাণ পরিকল্পনাধীন রয়েছে। জানা গেছে, গত মে মাসে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোজাম্মেল হক খান ও কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দীনসহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ কারা বিভাগের উর্ধতন কমকর্তাগণ কেরানীগঞ্জের নতুন কারাগারটি পরিদর্শন করেন। এ সময় স্বরাষ্ট্র সচিব কারাগারটি নির্মাণে ব্যাপক অনিয়মের মাধ্যমে দুর্নীতি হওয়ার কথা বলেন ও কারাগারটিতে বন্দী রাখা হলে বর্তমান অবস্থায় নিরাপত্তা ঝুঁকিতে পড়তে পারে বলে প্রকাশ্যে মতামত দেন। এ সময় তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার কেরানীগঞ্জ নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক আব্দুল হাইকে এ নিয়ে ব্যপক ভর্ৎসনা করেন। তিনি অতি দ্রুত কারাগারটিতে বন্দী স্থানান্তরের জন্য নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য নিয়ে ত্রুটিগুলো সংস্কার করে অতি দ্রুত বন্দী স্থানান্তরের ওপর জোর দেন। সকল ত্রুটি সম্পন্ন করতে তিনি ১৫ দিন সময়ও বেঁধে দেন। এরপরই পরিচালকের পক্ষ থেকে ত্রুটি সংস্কারে শুরু হয় ব্যাপক তোড়জোড়। স্বরাষ্ট্র সচিবের দেয়া নির্দিষ্ট সময়ের একমাস পরও প্রকল্প পরিচালক ত্রুটিগুলো সম্পূর্ণ সংস্কার করতে সক্ষম হননি বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার জনকণ্ঠকে বলেন, কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ২২ ও ২৩ জুলাই আমরা ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে কেরানীগঞ্জের নবনির্মিত কারাগারে বন্দী স্থানান্তর করব। এরই অংশ হিসেবে সকল নারী বন্দীকে কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হচ্ছে। এছাড়া বন্দীর ব্যবহার্য মালামাল, বন্দীসংশ্লিষ্ট ও অফিসিয়াল কাগজপত্র পাঠানো শুরু হয়েছে। এছাড়া প্রতিদিনই কম্বল, থালা-বাটি, অফিসিয়াল দ্রব্যাদি পাঠানো হচ্ছে। প্রকল্প পরিচালকের কাছ থেকে ভবনগুলো বুঝে পাওয়ার পর সর্বোচ্চ নিরাপত্তা যাচাইসাপেক্ষে আমরা বন্দী স্থানান্তর শুরু করব। বন্দীর সুচিকিৎসার স্বার্থে প্রাথমিকভাবে আমরা একটি ভবনকে হাসপাতাল হিসেবে ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এজন্য কার্যক্রম চলমান রয়েছে। নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দিয়েই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চসংখ্যক বন্দী দুই দিনে স্থানান্তর করা হবে। উল্লেখ্য, ১৭৮৮ সালে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দীন রোডে ব্রিটিশ সরকার একটি কারাগার প্রতিষ্ঠা করে। এরপর বন্দী সংখ্যা বাড়ায় ১৯০২ সালে এটিকে ঢাকা কেন্দ্রীয় করাগারে রূপান্তর করা হয়। মোট ৪০ একর জমির মধ্যে মূল কারাগারটি ১৭ একর জমিতে প্রতিষ্ঠিত। কেরানীগঞ্জের নতুন এ কারাগারটিতে মোট ৪ হাজার ৫শ’ ৯০ জন বন্দীকে আটক রাখার সুবিধা রয়েছে। আধুনিক সুবিধাসম্পন্ন এ কারাগারটিতে বিচারাধীন ও সাজাপ্রাপ্ত বন্দীকে রাখা হবে। এর বাইরে বিপজ্জনক বন্দী বা ডেঞ্জার প্রিজনার্স ৪০০ জনকে রাখার জন্য পৃথক সেল তৈরি করা হয়েছে। ভিআইপি বন্দী হিসেবে পরিচিতি ডিভিশনপ্রাপ্ত বন্দীদের রাখার জন্য ১৬টি কক্ষ তৈরি করা হয়েছে। যাতে কমপক্ষে ৩২ জন ও সর্বোচ্চ ৬০ জন বন্দীকে রাখা হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। এছাড়া ১০০ জন কিশোর বন্দী (যাদের বয়স ১৮ থেকে ২২ বছর) রাখা হবে। প্রাথমিকভাবে এ কিশোর ওয়ার্ডটিকে কারা হাসপাতাল হিসেবে ব্যবহার করা হবে। এছাড়া মানসিক বন্দী ৩০ জনকে আটক রাখা হবে। এর বাইরে কারা কর্মচারীদের জন্য ব্যারাক নির্মাণ, কর্মকর্তাদের আবাসনের জন্য বিভিন্ন সাইজের ফ্ল্যাট নির্মাণ, মসজিদ, বিশ্রামাগার, কারাভ্যন্তরে ওয়ার্কশেড, সেলুন, আটাকল, কেইস টেবিল, গ্রন্থাগার, ফাঁসির মঞ্চসহ বিভিন্ন স্থাপনা তৈরি করা হয়েছে। বন্দীকে বিশেষ নিরাপত্তা প্রদানের জন্য চারিদিকে ২৫ ফুট উঁচু দেয়াল নির্মাণসহ আধুনিক প্রযুক্তির বিভিন্ন সরঞ্জামাদি স্থাপন করা হয়েছে। তবে এসব স্থাপনা নির্মাণে নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
×