ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

স্ত্রী ও শিশুসন্তানকে গলা কেটে হত্যা

প্রকাশিত: ০৬:১৬, ৫ জুলাই ২০১৬

স্ত্রী ও শিশুসন্তানকে গলা কেটে হত্যা

স্টাফ রিপোর্টার, দিনাজপুর ॥ নেশাগ্রস্ত অবস্থায় রবিবার রাতে নিজ স্ত্রী ও শিশু সন্তানকে জবাই করে হত্যা করেছে এক পাষ- স্বামী। এ ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘাতক স্বামীকে আটক করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে সদর উপজেলার দক্ষিণ জয়দেবপুর গ্রামে। এ ব্যাপারে কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। নিহতরা হলেন সদর উপজেলার দক্ষিণ জয়দেবপুর গ্রামের আক্কাস আলীর কন্যা ও ঘাতক সোহরাব আলী ভুট্টুর স্ত্রী বকুল আক্তার (২৭) এবং তার শিশু সন্তান বিজন বাবু (৪)। জানা যায়, সদর উপজেলার দক্ষিণ জয়দেবপুর গ্রামের মৃত হেদায়েতুল্লাহ সরকারের ছেলে সোহরাব আলী ভুট্টুর সঙ্গে ৫ বছর আগে প্রেম করে বিয়ে হয় একই এলাকার আক্কাস আলীর কন্যা বকুল আক্তারের। তাদের ঘর আলো করে আসে এক পুত্র সন্তান বিজন বাবু। যার বয়স এখন ৪ বছর। বিয়ের কিছুদিন পরই সোহরাব আলী নেশায় আসক্ত হয়ে পড়ে। প্রায়ই সে নেশা করে বাড়িতে ফিরত। এ নিয়ে সংসারে বিবাদ-কলহ লেগেই ছিল। রবিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে সোহরাব আলী ভুট্টু নেশা করে বাড়িতে ফেরে। বিষয়টি নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে সোহরাব আলী ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার স্ত্রী বকুল আক্তারকে জবাই করে হত্যা করে। এ সময় সন্তান বিজন বাবু বিষয়টি দেখে চিৎকার শুরু করলে, তাকেও জবাই করে হত্যা করে। ঘাতকের বড় ভাই আহসান হাবিব সরকার ও মা শরিফা বেওয়া জানান, প্রথমে ঘটনাটি আঁচ করতে পারেননি তারা। বগুড়ায় কাজী স্টাফ রিপোর্টার,বগুড়া অফিস থেকে জানান, রবিবার রাতে ধুনট উপজেলায় দুর্বৃত্তদের হাতে মতিউর রহমান (৪৭) নামে এক ম্যারেজ রেজিস্ট্রার (কাজী) খুন হয়েছে। মাথায় হাতুড়ি দিয়ে আঘাত ও শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যা করা হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে। তিনি উপজেলার গোপালনগর ইউনিয়নের বিবাহ নিবন্ধক ছিলেন। পুলিশ জানায়, রবিবার রাত ১০টার দিকে মতিয়ার বানিয়াগাতি বাজার মসজিদ থেকে বাসায় ফিরছিলেন। পথে দুর্বৃত্তরা তার ওপর হামলা চালায় এবং হাতুড়ি দিয়ে মাথায় আঘাত ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করে ফেলে রেখে যায়। পুলিশ রাত সাড়ে ১১টার দিকে লাশ উদ্ধার করে। ময়নাতদন্তের লাশ বগুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠান হয়েছে। দামুড়হুদায় গৃহবধূ সংবাদদাতা দামুড়হুদা, চুয়াডাঙ্গা থেকে জানান, দামুড়হুদা উপজেলার পীরপুরকুল্লা গ্রামে এক পাষ- স্বামী যৌতুকের জন্য শাবানা (২২) নামের স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখে পালিয়ে গেছে। রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে । পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, উপজেলার পীরপুরকুল্লা গ্রামের শামসুল আলমের কন্যা শাবানার ১ বছর আগে একই উপজেলার সদাবরী গ্রামের সোহেলের সঙ্গে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে সে বিভিন্ন সময় যৌতুক দাবি করে আসছিল। শনিবার ৬০ হাজার টাকা যৌতুক দাবি করে শ্বশুরবাড়ি পীরপুরকুল্লা গ্রামে আসে। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে রবিবার বিকেল ৩টার দিকে শাবানাকে তার স্বামী শাসরোধ করে হত্যা করে ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখে পালিয়ে যায়। তিন ভাইকে চিঠি ও কাফনের কাপড় পাঠিয়ে হুমকি স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা ॥ সদর উপজেলার ব্রহ্মরাজপুরে এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে হাতে লেখা চিঠি ও কাফনের কাপড় পাঠিয়ে ৩ ভাইকে মৃত্যুর হুমকি দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। সোমবার সকালে এই চিঠি তাদের হাতে পৌঁছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, পৌঁছে দিব শেষ ঠিকানায় সময় তোর শেষ, নাস্তিকের বাচ্চা, নাস্তিকের দল, পুলিশের দালালি করিস। ২০০৮ সালে ৩০ ডিসেম্বর তুই পতাকা উড়ায়ে বলেছিলি, আজ সাতক্ষীরা স্বাধীন হয়েছে, ৫ জানুয়ারি তোরা সবাই ভোট দিছিস উপজেলা নির্বাচনে বাবুর পক্ষে, ঘর দিছিস (নির্বাচনী প্রচারণা করার জন্য), মানুষের নামে মামলা দিছিস। তোদের দিন শেষ, তোদের মৃত্যু ঘোষণা করলাম। চিঠির শেষাংশে তুহিন, মিঠু ও বাবুর (তিন ভাই) নামের উপর ক্রস চিহ্ন দেয়া হয়েছে। চিঠিপ্রাপ্ত তুহিন সাতক্ষীরা শহরের এবি ব্যাংকের নিচে অন্তর মাল্টিমিডিয়া এ্যান্ড কম্পিউটারের পরিচালক। ব্রহ্মরাজপুর বড়খামার গ্রামের মৃত আব্দুর রশিদ গাজীর ছেলে মনিরুজ্জামান তুহিন ব্রহ্মরাজপুর বাজারের গাজী মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় বসবাস করেন। এই বাড়িতেই রবিবার রাতের কোন এক সময়ে দরজার গ্রীলের মুখে দুর্বৃত্তরা একটি সাদা খামের মধ্যে এক টুকরা সাদা কাপড় ও হাতে লেখা একটি চিঠি রেখে যায়। সকালে তুহিনের স্ত্রী সেলিনা আক্তার মিষ্টি ঘরের দরজা খুলেই এটি দেখতে পায়। এদিকে, এই চিঠি পাওয়ার পর থেকে তাদের পরিবারে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। ইতোমধ্যে তারা বিষয়টি প্রশাসনকে অবহিত করেছেন। জঙ্গী হামলার প্রতিবাদে শেরপুরে মোমবাতি প্রজ্বলন নিজস্ব সংবাদদাতা, শেরপুর, ৪ জুলাই ॥ গুলশানে জঙ্গী হামলার প্রতিবাদে শেরপুরে মোমবাতি প্রজ্বলন করেছে স্বেচ্ছাসেবী যুব সংগঠন আর্তনাদ। রবিবার রাতে শহরের চকবাজারস্থ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার অঙ্গনে মোমবাতি প্রজ্বলন কর্মসূচীতে একাত্মতা ঘোষণা করে শরিক হন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, হুইপ আতিউর রহমান আতিক এমপি। অন্যান্য নেতৃবৃন্দের মধ্যে শরিক হন জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাসরিন রহমান, সদর উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কোহিনুর বেগম বিদ্যুৎ, শহর মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী আঞ্জুমান লিপি, জেলা যুব মহিলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক এ্যাডভোকেট ফারহানা পারভীন মুন্নী, জন উদ্যোগ সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, আঁচড়ের পরিচালক সাইফুল ইসলাম শাহীন, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জুনায়েদ নুরানী মনি প্রমুখ। দৌলতপুরে এ্যানথ্রাক্সে আক্রান্ত ৪ নিজস্ব সংবাদদাতা, দৌলতপুর, কুষ্টিয়া, ৪ জুলাই ॥ কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে এ্যানথ্রাক্স রোগে আক্রান্ত হয়ে ৪ জন অসুস্থ হয়ে পড়েছে। উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের কেডিআই ইসলামনগর গ্রামে অসুস্থ গরুর মাংস খেয়ে তারা এ রোগে আক্রান্ত হয়। স্থানীয়রা জানায়, শুক্রবার রাতে ওই গ্রামের লালু তার অসুস্থ গরু জবাই করে এলাকাবাসীর মাঝে মাংস বিক্রয় করে। আর এ মাংস খেয়ে একই গ্রামের মহসিন আলী (৪৫) ও তার ছেলে ইমরান (১০), প্রতিবেশী শাহীন (৫৫) এবং গরুর মালিক লালু (৩২) অসুস্থ হয়ে পড়ে। এ সময় তাদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষত বা ঘা দেখা দেয়। পরে তারা সোমবার সকালে দৌলতপুর হাসপাতালে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক এ্যানথ্রাক্স রোগ হয়েছে বলে চিহ্নিত করে তার চিকিৎসা দেয়। এ বিষয়ে দৌলতপুর প্রাণী সম্পদদ কর্মকর্তা ডাঃ কাজী নজরুল ইসলাম জানান, এ ধরনের খবর পেয়ে আমাদের টিম সেখানে গিয়ে রোগীদের শনাক্ত করেছে। ওই অঞ্চলের পশুদের ভ্যাকসিন কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। তবে তিনি এ নিয়ে আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য সকলকে অনুরোধে জানিয়েছেন। ৫ কারখানার শ্রমিকের ঈদে বাড়ি ফেরা অনিশ্চিত নিজস্ব সংবাদদাতা, সাভার, ৪ জুলাই ॥ বকেয়া বেতন-ভাতা ও ঈদ বোনাসের দাবিতে সাভারে পাঁচটি পোশাক কারখানার ভিতরে অবস্থান নিয়েছে শ্রমিকরা। বেতন ও ঈদ বোনাস না পাওয়ায় ওই শ্রমিকদের ঈদে বাড়ি ফেরা অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে। পাঁচ পোশাক কারখানা হলো- সাভারের উলাইল এলাকার ‘প্রতীক এ্যাপারেলস’, রাজাশন এলাকার ‘মারহাবা টেক্সটাইল’, ছায়াবিথী এলাকার ‘পিয়াসা গার্মেন্টস’, কলমা-জিনজিরা এলাকায় ‘সিপিএম’ এবং ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক সংলগ্ন ডগরমোড়া এলাকার ‘জালাল আহমেদ নিট কম্পোজিট লিমিটেড’। জানা গেছে, ওই পাঁচটি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা বকেয়া কয়েক মাসের বেতন ও ঈদ বোনাস প্রদানের দাবিতে সোমবার সকালে কারখানায় ঢুকে কাজে যোগ না দিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করে এবং কারখানার ভিতরেই অবস্থান ধর্মঘট পালন শুরু করে। বকেয়া বেতন ও ঈদ বোনাস না পাওয়ায় ওই ৫টি পোশাক কারখানার কয়েক হাজার শ্রমিকের গ্রামের বাড়ি যাওয়া অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে। এদিকে, ডগরমোড়া এলাকায় ‘জালাল আহমেদ নিট কম্পোজিট’ কারখানার মালিক হারুন মিয়া পলাতক রয়েছেন। বিভিন্ন স্থানেও খোঁজাখুঁজি করেও পুলিশ তার সন্ধান পায়নি। যমুনার ভাঙ্গনে ভূঞাপুরের ১০ গ্রামে ঈদ আনন্দ মলিন ইফতেখারুল অনুপম, টাঙ্গাইল ॥ যমুনা নদীর তীব্র ভাঙ্গনের কবলে পড়ে ১০ গ্রামের ৮শ’ পরিবারের এবার ঈদ আনন্দ বিলীন হয়ে গেছে। বর্ষার শুরুতেই যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় ভূঞাপুরে যমুনার ভাঙ্গন ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। গত এক সপ্তাহের তীব্র ভাঙ্গনের কবলে অর্জুনা ও গাবসারা ইউনিয়নের ১০টি গ্রামের প্রায় ৮শ’ পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে গৃহহীনদের সাহায্যে এগিয়ে না আসায় অনেকেই খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবনযাপন করছে। জানা যায়, টানা বর্ষণ ও যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বিগত এক সপ্তাহে ভূঞাপুর উপজেলার অর্জুনা ও গাবসারা ইউনিয়নের ১০টি গ্রামে ভাঙন ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। আর এ ভাঙনে অর্জুনা ইউনিয়নের চর অর্জুনা, রামাইল, গোবিন্দপুর, বাসুদেবকোল, জগৎপুড়া গ্রামের ৪৩৯টি পরিবার এবং গাবসারা ইউনিয়নের রাজাপুর, চন্দনী, বিহারী, ফলদাপাড়া, ভূঞাপাড়া গ্রামের ৩৫০টি পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়েছে। গোবিন্দপুরে ভাঙ্গন মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। ইতোমধ্যে গোবিন্দপুর উচ্চবিদ্যালয় সরিয়ে নেয়া হয়েছে। আর বিলীন হওয়ার পথে গোবিন্দপুর হাট। সরকারীভাবে গৃহহীনদের সাহায্যে এগিয়ে না আসায় অনেকেই খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবনযাপন করছে। ভাঙনের মুখে রয়েছে রামাইল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, তালতলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ইদ্রিস আলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। যমুনা নদীর মধ্যবর্তী এসব দুর্গম এলাকায় এবার ঈদ আনন্দ বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙ্গনকবলিত ৮শ’ পরিবার এখন নতুন করে বাঁচার জন্য অন্যত্র মাথা গোঁজার ঠাঁই খুঁজছে। এ বিষয়ে টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক মাহবুব হোসেন বলেন, ভাঙ্গনকবলিত ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোর তালিকা করে সংশ্লিষ্ট ইউএনওদের বলা হয়েছে। তারা তালিকা পাঠালেই আমরা সরকারী ত্রাণ তহবিল থেকে সাহায্য করব।
×