ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

গোপনাঙ্গের স্বাস্থ্যের সুরক্ষায় উন্মুক্ত হোন নারীরা

প্রকাশিত: ২০:৪৫, ৫ জুলাই ২০১৬

গোপনাঙ্গের স্বাস্থ্যের সুরক্ষায় উন্মুক্ত হোন নারীরা

অনলাইন ডেস্ক॥ একটি বিষয় নিয়ে বহু বছর ধরে গবেষণা করে চলেছেন বিশেষজ্ঞরা। নারীদের যৌনাঙ্গের লোম পরিষ্কারের গুরুত্ব নিয়ে বহু গবেষণা পরিচালিত হয়। এনবিসি টেলিভিশন চ্যানেলের 'স্যাটারডে নাইট লাইভ' অনুষ্ঠানে এ সংক্রান্ত পরিচ্ছন্নতার বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। ওই অনুষ্ঠানে নারীদের যৌনস্বাস্থ্যের যত্নে জননেন্দ্রিয়ের লোম পরিষ্কারের কাজকে উৎসাহিত করা হয়। জামা ডার্মাটোলজি জার্নালে নতুন এক গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা ৩৩১৬ জন নারীর ওপর জরিপ চালায়। দেখা গেছে, ৬২ শতাংশ নারী এ অঙ্গের লোপ পুরোপুরি পরিষ্কারের পক্ষে। আর ৮৪ শতাংশ এগুলো ছাঁটার পক্ষে মত দিয়েছেন। অতীতের কিছু গবেষণায় বলা হয়েছে, নারীরা এ কাজটি করেন যৌনতার সুবিধার জন্য। কিন্তু জরিপে স্পষ্ট হয়েছে নারীরা আসলে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বিষয়টি মাথায় রেখেই লোম পরিষ্কার করে থাকেন। প্রধান গবেষক এবং অবস্টেট্রিসিয়ান-গাইনেকোলজিস্ট ড. টামি এস. রোয়েন বলেন, অধিকাংশ নারীরাই মনে করেন, এটি না পরিষ্কার করলে তারা নোংরা হয়ে যান। গবেষণায় দেখা যায়, জাতি-ধর্ম-গোত্র নির্বিশেষে নারীরা এই অবাঞ্ছিত লোম পরিষ্কার করেন। তবে যারা কাঁটছাঁট করতে চান তাদের অধিকাংশই তরুণী, এদের বয়স ১৮-৩৪ বছরের মধ্যে। এ অভ্যাসের সঙ্গে অর্থনৈতিক বা বৈবাহিক অবস্থার কোনো সম্পর্ক নেই। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে মাত্র ১৩ বছরের কিশোরীরাও এ ধরনের কাজ করে থাকে। অথচ তাদের সবেমাত্র বয়ঃসন্ধিকাল এসেছে। এই বয়সীদের জন্যে এ ধরনের কাজ অস্বাস্থ্যকর। কিন্তু তারা সোশাল মিডিয়া বা ইন্টারনেটের ছবি দেখে এ কাজে উৎসাহী হয়ে ওঠেন। এসব তথ্য দেন পেলভিক পেইন এবং ভুলভোভ্যাজাইনাল ডিসঅর্ডার বিষয়ক গবেষক ড. জেনিফার গান্টার। তিনি আরো জানান, পিউবিক হেয়ার প্রতিরক্ষামূলক বালিশের মতো কাজ করে। কারণ যৌনাঙ্গের ত্বক অনেক স্পর্শকাতর। পরিচ্ছন্নতা বিষয়ক কর্মকাণ্ডও রয়েছে এর। এই লোমগুলো ব্যাকটেরিয়া আঁটকে দেয়। এগুলো যোনিপথে প্রবেশ যেন না করে তার দিকে খেয়াল রাখে। ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার সান ফ্রান্সিসকো স্কুল অব মেডিসিনের অ্যাসিস্টেন্ট প্রফেসর রোয়েন জানান, স্বাস্থ্য সংক্রান্ত এ বিষয়ের সঙ্গে নারীর ব্যক্তিগত অভিরুচির বিষয়টিও জড়িত। এটি পরিষ্কার করতে গিয়ে কিছু অস্বাস্থ্যকর ঘটনাও ঘটে থাকে। অনেক সময় লোমের গোড়ায় প্রদাহ, কেটে যাওয়ার ফলে সংক্রমণ, অ্যালার্জি ইত্যাদি ঘটে থাকে। এক গবেষণায় বলা হয়, যৌনাঙ্গে লোম পরিষ্কার করতে গিয়ে ৩ শতাংশ নারী সংক্রমণের শিকার হয়ে থাকেন। বিশেষ করে লোম দূরীকরণে ওয়াক্সিং পদ্ধতি অনেক বেশি অস্বাস্থ্যকর। এতে যৌনবাহিত রোগের সম্ভাবনা বেশি থাকে। কিন্তু সৌন্দর্য বর্ধনেও অনেকে এগুলো নিয়মিত পরিষ্কার করেন। আরেক গবেষণায় বলা হয়, অনেক নারী তার সঙ্গীর কাছে সৌন্দর্য প্রকাশে এ চর্চা নিয়মিত রাখেন। বিশেষ করে অরাল সেক্সের বিষয়টি মাথায় রেখেই সাবধান থাকেন নারীরা। বিভিন্ন হেলথ কেয়ার এবং সৌন্দর্য বর্ধন বিষয়ক ক্লিনিকের মতে, নারীরা অনেক কারণে যৌনাঙ্গের লোম পরিষ্কারের বিষয়ে সচেতন থাকেন। তবে সব নারীই মনে করেন, এর কারণে তাদের যৌনাঙ্গ অনেক বেশি সুন্দর দেখায়। তারপরও ৫৯ শতাংশ মনে করেন, স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের জন্যেই তারা এ পরিচ্ছন্নতার কাজটি করে থাকেন। সূত্র : ইন্টারনেট
×