ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

তিস্তায় তৃতীয় দফায় বন্যার আভাস

প্রকাশিত: ২১:৫৯, ৫ জুলাই ২০১৬

তিস্তায় তৃতীয় দফায় বন্যার আভাস

স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী ॥ আজ মঙ্গলবার রাতের মধ্যেই তিস্তা নদীতে ফের বন্যার আশংকা করা হচ্ছে। উজানের ভারী বর্ষন ও পাহাড়ী ঢলে ভারত অংশে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বাংলাদেশ অংশে বন্যার আভাস জানানো হয়েছে। ঈদের আগে তিস্তা নদীতে ফের বন্যা দেখা দিলে তিস্তা অববাহিকার পরিবারগুলোর অবস্থা কি হতে পারে তা চিন্তায় ফেলে দিয়েছে এলাকাবাসীকে। আজ মঙ্গলবার নীলফামারীর ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোডেন বন্যা পুর্বাভাস ও সর্তকীকরন কেন্দ্র সুত্র জানায় সকাল থেকে তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপদসীমার (৫২ দশমিক ৪০ মিটার) ৩৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল দুপুর ১২ পর্যন্ত। ২৪ ঘন্টায় বৃস্টিপাত রেকড করা হয় ৫৩ মিলিমিটার। একই সুত্র জানায় দুপুর সাড়ে ১২টায় ভারতের জলপাইগুড়ির দো-মহনী বন্যা পুর্বাভাস ও সর্তকীকরন কেন্দ্র ওয়্যারলেন্স বার্তায় নীলফামারীর ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোডেন বন্যা পুর্বাভাস ও সর্তকীকরন কেন্দ্রে জানিয়েছে ভারতের দো-মহনী পয়েন্টে তিস্তার পানি ৩৬ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। পাশাপাশি পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এই পানি তিস্তা নদীর মাধ্যমে বাংলাদেশে ধাবিত হচ্ছে। সুত্র মতে নীলফামারীর ডালিয়ায় তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্ট থেকে উজানে ভারতের দো-মহনী পয়েন্টের দুরত্ব প্রায় ৬৫ কিলোমিটার। ওই পানি বাংলাদেশে প্রবেশে সময় নেবে প্রায় ৬ থেকে ৮ ঘন্টা। সে হিসাবে বাংলাদেশের অংশের তিস্তায় রাতের মধ্যেই বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে। ফলে ঈদের আগে তিস্তায় তৃতীয় দফা বন্যার আভাস ফুটে উঠেছে। প্রসঙ্গতঃ চলতি বর্ষা মৌসুমে তিস্তা প্রথম দফায় গত ২৩ জুন বিপদসীমার ২৫ সেন্টিমিটার ও দ্বিতীয় দফায় গত ২৫ জুন ২০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছিল। এতে নীলফামারী,লালমনিরহাট ও রংপুরের প্রায় ৫০ হাজার পরিবার বন্যা কবলিত হয়ে পড়ে। এ ছাড়া নদীর গতিপথ পরিবর্তনে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের চরখড়িবাড়ি সহ ৬টি গ্রামের উপর দিয়ে নদীর পানি এখনও বয়ে যাচ্ছে। ওই সব এলাকায় প্রায় ছয় শতাধিক ঘরবাড়ির ভিটা নদী গর্ভে বিলিন হয়। এ সবের পাশাপাশি ওই এলাকার প্রায় দুইশতাধিক পুকুরের অর্ধ কোটি টাকার মাছ ভেসে গেছে। এদিকে তিস্তায় আজ মঙ্গলবার রাতের মধ্যে পুনরায় বন্যা দেখা দিতে পারে এমন আশংকায় তিস্তাপাড়ের মানষজন চোখে মুখে অন্ধকার দেখছে। ডিমলার টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম শাহিন জানান তিস্তা অববাহিকার চর ও চর গ্রামে বসবাসরত মানুষজনকে সর্তক থাকতে বলা হয়েছে। ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোস্তাফিজার রহমান জানান আমরা সর্তক রয়েছি এবং তিস্তা ব্যারাজের সব কটি(৪৪টি) জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে।
×