ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

উত্তরাঞ্চলে নারী জঙ্গীদের সন্ধান!

প্রকাশিত: ২৩:২৪, ৭ জুলাই ২০১৬

 উত্তরাঞ্চলে নারী জঙ্গীদের সন্ধান!

স্টাফ রিপোর্টার,নীলফামারী॥ উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন গ্রামের নারীদের জঙ্গী সদস্য করা হচ্ছে এমন অভিযোগ ঘিরে গোয়েন্দারা মাঠে নেমেছে। গ্রামের সহজ সরল নারীরা কেন জঙ্গীর খাতায় নাম লিখাচ্ছে এ নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। সুত্র মতে উত্তরাঞ্চলের রংপুর বিভাগের পঞ্চগড়,নীলফামারী-লালমনিরহাট ও বগুড়া জেলার প্রত্যন্ত এলাকার নারীদের নিয়ে নারী জঙ্গী সুইসাইড স্কোয়াডের সদস্য করা হচ্ছে। গোয়েন্দা সুত্র মতে উত্তরাঞ্চলের পঞ্চগড়,গাইবান্ধা ও বগুড়ার তিন নারী জঙ্গী সদস্য টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে পুলিশের হাতে আটক হবার পর বিষয়টি নিয়ে এ অঞ্চলের নাড়া দিয়েছে। টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে আটককৃতরা হলেন, রোজিনা বেগম (৩০), সাজিদা আক্তার (২২) ও জান্নাতি ওরফে জেমি (১৮)। পুলিশ জানায়, অভিযানের সময় তাদের কাছ থেকে দুইটি চাপাতি, একটি চাকু, মোবাইল ফোন, মানুষ জবাই করার জিহাদি ভিডিওচিত্র ও বোমা তৈরির কলাকৌশল লেখা একটি খাতা উদ্ধার করা হয়। সূত্র জানায়, গ্রেফতারকৃত রোজিনা বেগমের স্বামী মোখছেদুল ইসলাম ওরফে মোজাম্মেল ওরফে হারেজ (৩৫)। তার বাড়ি গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলার পশ্চিম রাখবপুর ভূতমারা গ্রামে। সাজিদা আক্তারের স্বামী নজরুল ওরফে বাইক নজরুল ওরফে পারভেজ ওরফে হাসান (২৯)। তার বাড়ি পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলার সোনাহার গজপুরী গ্রামে। জান্নাতি ওরফে জেমির স্বামী আবু সাইদ ওরফে সবুজ (২৪)। তার বাড়ি বগুড়া জেলার শেরপুর উপজেলার বাগরা কুসুমদী গ্রামে। রোজিনার সঙ্গে তার দুই শিশু সন্তান এবং জান্নাতি ওরফে জেমির সঙ্গে এক শিশু সন্তান রয়েছে। গত সোমবার রাতে কালিহাতির জোকারচর রেলগেটের পাশের একটি বাড়ি থেকে তাদের আটক করা হয়েছিল। বুধবার বিকালে তাদের আদালতের মাধ্যমে টাঙ্গাইল কারাগারে পাঠানো হয়। ঈদের ছুটির পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই তিন নারীতে আদালতের মাধ্যমে রিমান্ড চাওয়া হবে বলে পুলিশ সুত্র জানায়। এদিকে উত্তরাঞ্চলের তিন জঙ্গী নারী আটকের ঘটনা এ অঞ্চলে ব্যাপক প্রচার হয়ে পড়ায় গ্রামগঞ্জে তোলপাড় শুরু হয়। একটি গোয়েন্দা সুত্র মতে পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ ও তেঁতুলিয়া উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের অনেক নারী এখন জঙ্গী সদস্যে নাম লিখিয়েছে। তাদের খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে। এ ছাড়া নীলফামারীর জলঢাকা ও ডিমলা উপজেলা এবং লালমনিরহাট জেলার হাতিবান্ধা, পাটগ্রাম ও কালিগঞ্জ উপজেলার অনেক নারী জঙ্গী সদস্য হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এদের কারা জঙ্গীদলের টেনে নিয়ে সুইসাইড স্কোয়াডের সদস্য তৈরী করছে তার অনুসন্ধ্যানে মাঠে কাজ করছে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা। টাঙ্গাইলে ওই তিন নারী আটকের ঘটনার পর কালিহাতী থানার এসআই কুতুব উদ্দিন বাদী হয়ে সন্ত্রাস দমন আইনে তিন নারী জেএমবি সদস্য ও তাদের স্বামীদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছে।
×