ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

পাঁচ বিশ্ববিখ্যাত বিলিয়নিয়রের প্রথম চাকরি

প্রকাশিত: ০১:০২, ৭ জুলাই ২০১৬

পাঁচ বিশ্ববিখ্যাত বিলিয়নিয়রের প্রথম চাকরি

অনলাইন ডেস্ক ॥ কেউই তার চাকরি জীবন একেবারে শীর্ষ থেকে শুরু করেন না। চাকরি জীবনে সাফল্য পেতে হলে কিছুটা অভিজ্ঞতা এবং সময়েরও দরকার হয়। এমনকি মেধাবী উদ্যোক্তা এবং উদ্ভাবক স্টিভ জবসও কর্মজীবনের শুরুতে কিছুটা সময় এলোমেলো ছিলেন। ভিডিও গেমস ডিজাইনারের চাকরি ছেড়ে দিয়ে দীর্ঘদিন তিনি ভারতে ঘুরে বেড়িয়েছেন। কর্মজীবনে খুবই সফল মানুষদের অনেকেরই প্রথম জীবন এবং চাকরি নিয়ে ভাবতে গেলে হয়তো আমাদের হাঁসি পাবে। তথাপি তাদের কাছ থেকে নিজেরা কীভাবে চলবো সে সম্পর্কিত কিছু শিক্ষাও গ্রহণ করতে পারি আমরা। আসুন দেখে নেওয়া যাক আজকের দিনের বিশ্ববিখ্যাত বিলিয়নিয়রদের কর্মজীবনের প্রথমদিকটা কেমন ছিল… ১. কম্পিউটার প্রোগ্রামার বিল গেটস ৭৫ বিলিয়ন ডলারের মালিক বিল গেটস ২০১৬ সালে ফোবর্সের বিশ্বের শীর্ষ ধনীদের তালিকার শীর্ষে ছিলেন। উচ্চবিদ্যালয়ে পড়ার সময় থেকেই বিল গেটস কম্পিউটার নিয়ে মোহগ্রস্ত ছিলেন। স্কুলে থাকা অবস্থায়ই বিল গেটস কম্পিউটার প্রোগ্রামার হিসেবে কাজ শুরু করেন। নিজের স্কুলের জন্য একটি শিডিউলিং প্রোগ্রাম ডিজাইন করে এবং তিনি যে কোম্পানির কম্পিউটার হ্যাক করেছিলেন সে কোম্পানির জন্য একটা পে রোল প্রোগ্রাম তৈরি করে দিয়ে বিল গেটস তার কর্মজীবন শুরু করেন। এটি অবশ্য তার কোনো অফিসিয়াল চাকরি ছিল না। তিনি শুধু ভালো লাগা থেকেই কম্পিউটার প্রোগ্রাম তৈরি বা ডিজাইন করতেন। ২. পত্রিকা সরবরাহকরী ওয়ারেন বাফেট ব্যবসা-বাণিজ্যে ব্যাপক সফল ব্যক্তিত্ব ওয়ারেন বাফেট তার কর্মজীবন শুরু করেছিলেন পত্রিকা সরবরাহকারী হিসেবে তা বললে একটু অবিচারই হয়ে যাবে। প্রথম জীবনেই অসাধারণ কিছু সাফল্য দেখান ওয়ারেন বাফেট। গণিতে তার অসাধারণ দক্ষতা ছিল। আর ছোটবেলা থেকেই উচ্চাভিলাষী ছিলেন তিনি। মাত্র ১১ বছর বয়সেই তিনি শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করেন। তার বাবা ছিলেন শেয়ার বাজারের একজন দালাল। মাত্র ১৩ বছর বয়সে আয়কর দাতার খাতায় নাম লেখান বাফেট। বর্তমানে তিনি ৬০ বিলিয়ন ডলারের মালিক। ৩. ক্যাম্প পরিচালক/ক্যাম্প পরামর্শক জেফ বেজোস ৪৫ বিলিয়ন ডলারের মালিক জেফ বেজোস একজন সফল উদ্যোক্তা, বিনিয়োগকারী; যিনি অ্যামাজোনের প্রতিষ্ঠাতা। এই তালিকার অন্যদের মতোই ছোটবেলা থেকেই তার উচ্চাভিলাষ ছিল নজরে পড়ার মতো। উচ্চবিদ্যালয়ে থাকার সময় থেকেই তিনি ব্যবসা শুরু করেন। তরুণ শিক্ষার্থীদের জন্য ড্রিম ইনস্টিটিউট নামের একটি শিক্ষামূলক সামার ক্যাম্প কর্মসূচীর মাধ্যমে তিনি তার প্রথম ব্যবসা শুরু করেন। এরপর আর তাকে পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। একের পর এক সাফল্য এসে হাতের মুঠোয় ধরা দিতে থাকে। ৪. পার্কিং লট অ্যাটেনডেন্ট মাইকেল ব্লুমবার্গ ৪০ বিলিয়ন ডলারের মালিক মাইকেল ব্লুমবার্গ সবসময়ই আজকের মতো বিলিয়নিয়র ব্যবসায়ী ছিলেন না। জন হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখার সময় এর খরচ যোগাতেন শিক্ষা ঋণ নিয়ে এবং পার্কিং লট অ্যাটেনডেন্ট হিসেবে কাজ করে পাওয়া আয় থেকে। ৫. সহকারী অধ্যাপক ফিল নাইট নাইকি ইনকর্পোরেশন এর সহকারী প্রতিষ্ঠাতা ফিল নাইট বর্তমানে ২৪.৪ বিলিয়ন ডলারের মালিক। কিন্তু চাকরি জীবনের প্রথমদিকে ঠিক কোন পেশায় যাবেন তা নিয়ে বিভ্রান্ত ছিলেন তিনি। যার ফলে তরুণ বয়সে তিনি বিভিন্ন পেশায় কাজ করেন। কিছুটা সময় তিনি সেনাবাহিনীতে কাজ করেন। এরপর পোর্টল্যান্ড স্টেট ইউনিভার্সিটিতে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কাজ করেন। আরো তরুণ বয়সে, কলেজে পড়ার সময় তার স্বপ্ন ছিল ক্রীড়াবিদ হওয়ার। বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি সাংবাদিকতা বিষয়ে পড়ালেখা করেন।
×