ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সাইফ পাওয়ারটেকের ইজিএম ১৭ জুলাই

প্রকাশিত: ০৪:২০, ১০ জুলাই ২০১৬

সাইফ পাওয়ারটেকের ইজিএম ১৭ জুলাই

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ব্যাটারি প্রকল্পের জন্য প্রতি শেয়ারের বিপরীতে দুটি করে রাইট শেয়ার ইস্যুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ। এ পরিকল্পনায় শেয়ারহোল্ডারদের সম্মতি গ্রহণে ১৭ জুলাই বেলা সাড়ে ৩টায় রাজধানীর আর্মি গলফ ক্লাবে বিশেষ সাধারণ সভা (ইজিএম) আহ্বান করেছে কোম্পানিটি। ইজিএমের রেকর্ড ডেট ছিল ১৯ জুন। স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে জানা গেছে, গাজীপুরের পূবাইলে চলমান ব্যাটারি প্রকল্পের আকার ও বিনিয়োগ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সাইফ পাওয়ারটেকের পরিচালনা পর্ষদ। এজন্য কোম্পানির বিদ্যমান একটি শেয়ারের বিপরীতে দুটি করে রাইট শেয়ার ইস্যু করা হবে। শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদনের পর এজন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) অনুমোদন প্রয়োজন হবে তাদের। সংশ্লিষ্ট সবার অনুমোদন পেলে রাইট শেয়ারের জন্য নতুন রেকর্ড ডেট ঘোষণা করা হবে। ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের প্রতিটি শেয়ারের সঙ্গে ১০ টাকা প্রিমিয়াম নিতে চায় কোম্পানি। কোম্পানিটির বর্তমান পরিশোধিত মূলধন ৯১ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। এ হিসাবে রাইট শেয়ারের মাধ্যমে তারা ৩৬০ কোটি টাকার বেশি মূলধন সংগ্রহ করবে। ক্রেডিট রেটিং এজেন্সি অব বাংলাদেশের বিবেচনায়, সাইফ পাওয়ারটেকের দীর্ঘমেয়াদি ঋণমান ‘ট্রিপল বি১’। সর্বশেষ নিরীক্ষিত-অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন ও হালনাগাদ অন্যান্য উপাত্তের ভিত্তিতে সম্প্রতি এ প্রত্যয়ন করা হয়। সর্বশেষ অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে (জুলাই-মার্চ) সাইফ পাওয়ারটেকের শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩ টাকা ২৭ পয়সা, আগের বছর একই সময়ে যা ছিল ১ টাকা ৫৬ পয়সা। ৩১ মার্চ কোম্পানির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য ছিল ২২ টাকা ২৬ পয়সা, সম্পদ পুনর্মূল্যায়নজনিত উদ্বৃত্ত বিবেচনায় না নিলে যা ২১ টাকা ২১ পয়সা। ৩০ জুন সমাপ্ত ২০১৫ হিসাব বছরে কোম্পানিটি ২৯ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দেয়। সে বছর ইপিএস ছিল ৩ টাকা ৭ পয়সা। গেল হিসাব বছরে কোম্পানিটির নিট মুনাফা হয় ২১ কোটি ৪১ লাখ ৪০ হাজার টাকা, আগের বছর যা ছিল ১১ কোটি ১৫ লাখ টাকা। চলতি হিসাব বছরের প্রথম নয় মাসেই তা ২৯ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। সাইফ পাওয়ারটেক মূলত সেবা ও নির্মাণ খাতের কোম্পানি হিসেবে তালিকাভুক্ত। তবে সাম্প্রতিক সময়ে তারা জেনারেটর, বিদ্যুতের সাবস্টেশন, ইলেকট্রনিক যন্ত্রাংশ ও বিদ্যুতসামগ্রী আমদানি করে সংযোজন করছে। এ কোম্পানিটি সোলার হোম, সোলার পাওয়ার গ্রিড, সোলার সলিউশন, আইপিএস, ইউপিএসসহ বিভিন্ন ধরনের বৈদ্যুতিক সরঞ্জামাদি সংযোজন করছে। এছাড়া সাইফ প্লাস্টিক এ্যান্ড পলিমার ইন্ডাস্ট্রিজ নামে সাইফ পাওয়ারের একটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যার ৮০ শতাংশ শেয়ারের মালিক এ কোম্পানি। মূল ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য গত বছর চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, আশুগঞ্জ সার কারখানার মতো প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য বেশ কয়েকটি চুক্তি সম্পন্ন করেছে তারা। ঈদে লেনদেন ৫০ হাজার কোটি টাকা অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ যে কোন বিশেষ দিবস আর উৎসবের সঙ্গে প্রত্যক্ষ সম্পর্ক রয়েছে অর্থনীতির। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়, সব পালা পার্বণেই এ দেশের মানুষ সামর্থ্যরে সর্বোচ্চটাই ব্যয় করেন আনন্দ আয়োজনে। সঠিক কোন পরিসংখ্যান পাওয়া না গেলেও ব্যবসায়ীদের ধারণা এ বছর রমজানের এক মাসে, ইফতার, ঈদ কেনাকাটা আর পরিবহন খাতের লেনদেন ছাড়িয়েছে পঞ্চাশ হাজার কোটি টাকা। অর্থনীতিবিদরাও বলছেন, বছরজুড়ে উৎসবকেন্দ্রিক অর্থনীতির গতিশীলতা ধরে রাখতে পারলে তা ভূমিকা রাখতে পারে জিডিপি প্রবৃদ্ধিতেও। উৎসব আর অর্থনীতি, একে চলে অন্যের হাত ধরে উৎসবের অর্থনীতির আকার নিয়ে তাই অঙ্কের হিসাব ও চালু রয়েছে দেশে। অনেক ক্ষেত্রেই যার সঠিক পরিসংখ্যান পাওয়া যায় না, তবে সংখ্যা যাই হোক, ঈদকে কেন্দ্র করে অর্থনৈতিক কর্মকা- যে গতিশীল হয় তা নিয়ে দ্বিমত নেই কারও। পোশাকের বাজার এ সময় জমজমাট হয়, সাধ আর সাধ্যের মধ্যে সামঞ্জস্য রেখেই মাসজুড়ে চলে কেনাকাটা। বাণিজ্যিকভাবে ইফতার সামগ্রীর বেচাকেনা চলে শহর কিংবা গ্রাম সবখানেই। সারাদেশে ছোট বড় সব মিলে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আছে প্রায় ৪০ লাখ, রমজানে খ-কালীন ব্যবসা শুরু করেন আরও প্রায় ১০ লাখ মানুষ। এর সঙ্গে রয়েছে পরিবহন খাত, যেখানে মোট বিনিয়োগ প্রায় ৩ লাখ কোটি টাকা, কর্মসংস্থান হচ্ছে ২০ লাখ মানুষের। আর এই তিন খাতে ঈদ কেন্দ্রিক লেনদেন এ বছর ৫০ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে বছর গড়ানোর সঙ্গে ঈদ উদযাপনে আর্থিক লেনদেনের চিত্র আরও বদলাবে বলেই মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা। অর্থশাস্ত্র বলছে, টাকা যত হাত বদল হবে, অর্থনীতিও ততই গতিশীল হবে। সুতরাং উৎসব কেন্দ্রিক অর্থনীতির গতি ধরে রাখতে সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে লেনদেন কিংবা আর্থিক কর্মকা-ের পরিচালনা করাটাও জরুরী।
×