ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

রিও অলিম্পিকের দল চূড়ান্ত অচিরেই

প্রকাশিত: ০৬:৩২, ১০ জুলাই ২০১৬

রিও অলিম্পিকের দল চূড়ান্ত অচিরেই

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ সময় আর এক মাসও বাকি নেই। আগামী ৫ থেকে ২১ আগস্ট পর্যন্ত সাম্বা নৃত্য আর ছন্দময় ফুটবলের দেশ ব্রাজিলে শুরু হতে যাচ্ছে এই ধরনীর সবচেয়ে বড় ক্রীড়া আসর ‘রিও অলিম্পিক ২০১৬। এটি আধুনিক গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকের ৩১তম আসর। প্রতিবারের মতো এবারও বাংলাদেশ থেকে কয়েকটি ডিসিপ্লিনে একাধিক এ্যাথলেট বিশেষ ‘ওয়াইল্ড কার্ড’ প্রাপ্তির মাধ্যমে রিও অলিম্পিকে খেলার সুযোগ পাবেন। এরই মধ্যে সবার আগে বাংলাদেশ থেকে ওয়াইল্ড কার্ডের মাধ্যমে এবারের অলিম্পিক গেমসে খেলার সুযোগ পান দুই সাঁতারু। এরা হলেন ৫০ মিটার ফ্রি স্টাইলে মাহফিজুর রহমান সাগর এবং একই ইভেন্টে সোনিয়া আক্তার টুম্পা। এছাড়া ওয়াইল্ড কার্ড পেয়ে রিও অলিম্পিক গেমসে খেলার সুযোগ পেয়েছেন আরচারিতে ব্যক্তিগত রিকার্ভে শ্যামলী রায়। এছাড়া শূটিংয়ে ১০ মিটার এয়ার রাইফেলে আব্দুল্লাহ হেল বাকী। এছাড়া আগামীকাল সোমবারের মধ্যে গলফার সিদ্দিকুর রহমান যদি আন্তর্জাতিক গফল র‌্যাংকিংয়ে ৬০ জনের মধ্যে থাকেন তাহলে তিনি কোয়ালিফাই করে রিও অলিম্পিকে খেলবেন। যদি তাই হয়, তাহলে তিনি হবেন বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনের ইতিহাসে প্রথম কোন খেলোয়াড়, যিনি সরাসরি অলিম্পিক গেমস আসরে অংশ নেবেন কোন ওয়াইল্ড কার্ড ছাড়াই! উল্লেখ্য, বর্তমানে তিনি র‌্যাংকিংয়ে ৫৫তম স্থানে রয়েছেন। ফলে সরাসরি অলিম্পিকে অংশ নেয়ার ক্ষেত্রে তার সম্ভাবনা অনেক উজ্জ্বল। এছাড়া ওয়াইল্ড কার্ড প্রাপ্তির উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে আরও দুজনের। এরা হলেন এ্যাথলেটিক্সের দুই স্প্রিন্টার। এরা হলেন ১০০ মিটার স্প্রিন্টে মেজবাহ উদ্দিন ও শিরিন আক্তার। এ দুজনও যদি কার্ড পান, তাহলে এবারই সবচেয়ে বেশিসংখ্যক খেলোয়াড় বাংলাদেশ থেকে অংশ নেবেন বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রীড়া আসর রিও অলিম্পিক গেমসে। এছাড়া ওয়াইল্ড কার্ড পাওয়ার ক্ষেত্রে শোনা গেছে আরও দুটি নাম। একজন ভারোত্তোলক মাবিয়া আক্তার সীমান্ত এবং সাঁতারু মাহফুজা খাতুন শিলা। অনুসন্ধানে জানা গেছে, এদের কার্ড পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। বিশেষ করে ওয়াইল্ড কার্ড পাবার ক্ষেত্রে নাকি শিলার নামই আইওসির কাছে জমা দেয়নি সাঁতার ফেডারেশন এবং বাংলাদেশ অলিম্পিক এ্যাসোসিয়েশন! তাছাড়া দ্বাদশ এসএ গেমসে শিলা দুটি স্বর্ণ জিতলেই তা আমলে নেয়া হয়নি আঞ্চলিক পর্যায়ের প্রতিযোগিতা বলে! তাছাড়া যারা ওয়াইল্ড কার্ড পেতে পারেন, তাদের নামগুলো আইওসির কাছে পাঠানো হয়েছিল এসএ গেমস শুরুর অনেক আগেই। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাস বিষয়ে পড়াশুনা করা পাবনার ছেলে সাগর এই নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো অলিম্পিক গেমসে খেলার সুযোগ পেলেন। এর আগে তিনি ২০১২ লন্ডন অলিম্পিক গেমসে খেলেছিলেন। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে কর্মরত। ৩০তম লন্ডন অলিম্পিক গেমসে সাগরই বাংলাদেশ দলের লাল-সবুজ পতাকা বহন করেছিলেন। থাইল্যান্ডে উন্নত প্রশিক্ষণ গ্রহণ করছেন দেশের অন্যতম সেরা এ সাঁতারু।
×