মুন্সীগঞ্জে সিনিয়র এএসপির গাড়িতে ছাত্রলীগের হামলা, পরিবারের সদস্যরা লাঞ্ছিত

স্টাফ রিপোর্টার, মুন্সীগঞ্জ ॥ মুন্সীগঞ্জে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপারের (সদর) দেহরক্ষীর সঙ্গে ছাত্রলীগের মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় লাঞ্ছিত হয়েছেন সহকারী পুলিশ সুপারের পরিবারের সদস্যগণ। শনিবার সন্ধ্যার কিছু আগে লৌজংয়ের হলদিয়ায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হলদিয়া বাজারের নির্মাণাধীন ব্রিজের কারণে এখানে যানজট লেগেছিল। সহকারী পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান লৌহজংয়ে একটি অনুষ্ঠান শেষে পিতা-মাতা ও স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে মাওয়া যাচ্ছিলেন। এ সময় তার গাড়িটি হলদিয়ার যানজটে আটকা পড়ে। যানজট এড়িয়ে অন্যান্য গাড়ি ওভারটেক করে তার প্রাইভেট কারটি আগে যেতে চাইলে বাধা দেয় যানজট নিরসনে স্বেচ্ছাসেবক কিছু এলাকাবাসী। এ সময় এএসপির দেহরক্ষী গাড়ি থেকে নেমে স্বেচ্ছাসেবক রাজু আহমেদকে মারধর করে। পরে রাজু ছাত্রলীগের লৌহজং উপজেলা সভাপতি রাজিব বাছারকে ফোনে জানালে রাজিব ও ছাত্রলীগের কিছু নেতাকর্মী সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। এ সময় তারা সহকারী পুলিশ সুপারসহ তার স্ত্রী-সন্তানকে নাজেহাল করে ও দেহরক্ষীকে মারধর করে। পরে পরিচয় জানতে পেরে ছাত্রলীগ নেতা কর্মীরা সটকে পড়ে। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ পুলিশের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাসহ র‌্যাবের একাধিক টিম ঘটানস্থলে ছুটে আসে। পরে হলদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে বিষয়টি মীমাংসার জন্য বসে জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ঢালী মোয়াজ্জেম হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ সিকদার, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস আলম খান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান,সহকারী পুলিশ সুপার (শ্রীনগর সার্কেল) মোঃ সামসুজ্জামান বাবু, লৌহজং থানার ওসি মোঃ আনিসসহ পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ। রাতে সাড়ে আটটা পর্যন্ত বৈঠক হলেও কোন প্রকার মীমাংসা ছাড়াই বৈঠকটি শেষ হয়। সহকারী পুলিশ সুপার (শ্রীনগর সার্কেল) মোঃ সামসুজ্জামান বাবু জানিয়েছেন, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান লৌহজং উপজেলা সদর থেকে মাওয়ায় যাবার পথে হলদিয়া বাজারের কাছে যানজটে আটকা পড়েন। এ সময় স্থানীয় কিছু লোকজনের সঙ্গে এএসপির দেহরক্ষীর কথাকাটা কাটি হয়। পরে তারা একত্রিত হয়ে এএসপির গাড়িতে হামলা করে তার দেহরক্ষীকে মারধর করে ও পরিবারের সদস্যদের নাজেহাল করে। এ ব্যাপারে এখনও কোন মামলা হয়নি।