ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ভারতে ছাত্রদের নিয়ে সংগঠন গড়ার ছক আইএসের

প্রকাশিত: ১৯:১৬, ১০ জুলাই ২০১৬

ভারতে ছাত্রদের নিয়ে সংগঠন গড়ার ছক আইএসের

অনলাইন ডেস্ক ॥ ভারতের প্রতিটি রাজ্যে একটি করে ‘জুনুদ আল খলিফা–ই–হিন্দ’ সংগঠন গড়ার ছক কষছে জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট তথা আইএস। দেশটির কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সূত্রে খবর, আইএসের ভারতীয় শাখা জুনুদ আল খলিফা–ই–হিন্দের ৩ সদস্য আশিক আহমেদ ওরফে রাজা, মোহাম্মদ আবদুল আহাদ ও মোহাম্মদ আফজল আগেই এ কথা শিকার করেছিল। এবার গ্রেফতার মোহাম্মদ মুসাউদ্দিনের ল্যাপটপ থেকেও সেরকম তথ্য উঠে এসেছে বলে জানা গেছে। যাদের প্রধান টার্গেট ছাত্ররা। খবর ভারতের বাংলা দৈনিক আজকালের। ১৯ বছরের আশিক আহমেদের বাড়ি পশ্চিমবঙ্গের হুগলিতে। আর মুসার বাড়ি বীরভূমে। তবে এদের দু’জনকে দলে নেওয়ার উদ্দেশ্য এক ছিল। এই নতুন সংগঠনকে এগিয়ে নিয়ে যেতে দেশজুড়ে কম বয়সী যুবকদের ‘উদ্বুদ্ধ’ করছে আইএস। জেহাদের উদ্দেশ্যেই আইএসের সংস্পর্শে আসে মুসা। জানা গেছে, ইতিমধ্যে আইএসের সঙ্গে যোগ রয়েছে এমন ২০ জনকে ভারতের বিভিন্ন স্থান থেকে আটক করেছে দেশটির জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনআইএ। বাকিদের ওপরও নজর রয়েছে তাদের। বাংলাদেশের পর ইসলামিক স্টেট অফ ইরাক অ্যান্ড সিরিয়া (‌আইএসআইএস)–র পরবর্তী টার্গেট ভারত। আইএসের নতুন ইস্তাহারে সরাসরি ভারতের উদ্দেশে হুমকি দেওয়া হয়েছে। অনলাইনে ‘ব্ল্যাক ফ্ল্যাগস ফ্রম ইসলামিক স্টেট’–এ প্রকাশিত ইস্তাহার নিয়ে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা উদ্বেগে রয়েছেন। এ বিষয়ে বৈঠকও করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং। জুনুদ আল খলিফা–ই–হিন্দ সংগঠন গড়ার প্রধান দায়িত্বে ছিল আইএসের সফি আরমার ওরফে ইউসুফ। সফি ভারতের সব রাজ্যে আইএসের শাখা খোলার পরিকল্পনা করেছিল। ৩০ জন যুবককে আইএসে যোগও ‌করায়। তবে সফি মার্কিন ড্রোন হামলায় নিহত বলে এখন পর্যন্ত খবর। কিন্তু তার আদৌ মৃত্যু হয়েছে কি না, তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। প্রধানত ইন্টারনেটের সাহায্যেই এই যোগাযোগ গড়ে তুলে ছিল সফি। এদিকে, মালদায় নিখোঁজ যুবকদের ছবি নিয়ে সীমান্তে তল্লাশি শুরু হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, এই যুবকদের আইএসের মূল ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এদিকে, কেরলা থেকেও বেশ কয়েকজন যুবক নিখোঁজ। ভারতে এই জুনুদ আল খলিফা–ই–হিন্দ সংগঠনের বিষয়ে জেরা করা হচ্ছে হায়দারাবাদে আটক সন্দেহভাজনদের। গোয়েন্দারা মনে করছেন, সম্প্রতি ভারতে যারা ধরা পড়েছে, তাদের কাছ থেকে এ বিষয়ে তথ্য পাওয়া যাবে। এবং আইএসের প্রভাবেও কিছুটা হ্রাস টানা যাবে।‌ সূত্র: দৈনিক আজকাল
×