ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

লেনদেনের আধিপত্য বজায় রেখেছে সিটি ব্যাংক

প্রকাশিত: ২২:৩৩, ১০ জুলাই ২০১৬

লেনদেনের আধিপত্য বজায় রেখেছে সিটি ব্যাংক

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ গত সপ্তাহের মতো রবিবারেও লেনদেনে আধিপত্য বজায় রেখেছে সিটি ব্যাংক। দিনটিতে ব্যাংকটি সর্বোচ্চ লেনদেনের ৫ম অবস্থানে ছিল। দিনটিতে ব্যাংকটির মোট ৬ কোটি ৭১ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। পুরোদিনে মোট ২৭ লাখ ৮৯ হাজার ২০২টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে। এদিকে সিটি ব্যাংকের বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) ২৮ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের কুর্মিটোলা গলফ ক্লাবে সভাটির অয়োজন করা হয়েছে বলে জানা গেছে ডিএসই সূত্রে। ২০১৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য ২২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ সুপারিশ করেছে সিটি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ। বছর শেষে শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) দাঁড়ায় ৪ টাকা ৯ পয়সা, আগের বছর যা ছিল ২ টাকা ৫৩ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর শেয়ার প্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২৯ টাকা ১৩ পয়সা। ২০১৪ সালে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ২০ শতাংশ লভ্যাংশ দেয় ব্যাংকটি। এর মধ্যে ১৫ শতাংশ নগদ ও বাকি ৫ শতাংশ লভ্যাংশ দেয়া হয় বোনাস শেয়ার আকারে। চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে ৭৯ পয়সা ইপিএস দেখিয়েছে সিটি ব্যাংক, এক বছর আগে যা ছিল ৬০ পয়সা। পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্ত অনুসারে সম্প্রতি সিটি ব্যাংককে ২৮ টাকা ৩০ পয়সা দরে প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে বর্তমান শেয়ারহোল্ডারদের বাইরে ৮ কোটি ৬০ লাখ ৯৪ হাজার ৬৩৩টি শেয়ার ইস্যুর অনুমোদন দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন। এ প্রক্রিয়ায় বিশ্বব্যাংকের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যান্স করপোরেশনের কাছ থেকে ১৩০ কোটি ৪৪ লাখ ৭৮ হাজার ১১৪ টাকার ইক্যুইটি বিনিয়োগ পাবে ব্যাংকটি। এর বাইরে পরবর্তীতে শেয়ারের রূপান্তরযোগ্য ঋণও গ্রহণ করবে তারা। জানা যায় শেয়ারবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগসীমা পরিপালনে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনাক্রমে পুঁজিবাজার-সংশ্লিষ্ট দুই সাবসিডিয়ারিকে দেয়া ঋণ মূলধনে রূপান্তর করবে ব্যাংকটি। এছাড়া আইডিএলসি ফিন্যান্সের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শেয়ারের মালিকানাও দুই সাবসিডিয়ারির নামে হস্তান্তর করা হবে। ১৯৮৬ সালে শেয়ারবাজারে আসা ব্যাংকটির পরিশোধিত মূলধন ৮৫৭ কোটি ৭৯ লাখ ৮০ হাজার টাকা। রিজার্ভ ১ হাজার ২৪৬ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। বর্তমানে ব্যাংকের ২৮ দশমিক ৮৭ শতাংশ শেয়ার তাদের উদ্যোক্তা-পরিচালকদের কাছে, প্রতিষ্ঠান ২৩ দশমিক ৪৮, বিদেশী ৪ দশমিক ৯ ও বাকি ৪২ দশমিক ৭৬ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে।
×