স্টাফ রিপোর্টার, বাগেরহাট।। বাগেরহাট সদর উপজেলার গুরুত্বপূর্ন প্রবাহমান অর্ধশতাধিক খালে মাছ চাষের নামে বছরের পর বছর প্রভাবশালীরা প্রায় দেড় হাজার বাঁধ দিয়ে রেখেছে। উচ্চ আদালতের নির্দেশে অবৈধ এ বাধ অবশেষে চিহিৃত করে উপজেলা প্রশাসন দখল মুক্ত করতে শুরু করেছে। রবিবার সকালে বাগেরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শরীফ নজরুর ইসলামের নেতৃতে¦ বহুল আলোচিত খানজাহান আলী মাজার সংলগ্ন এলাকায় একমাত্র পানি নিষ্কাশনের খাল ও খুলনা-বাগেরহাট মহাসড়কের পাশে লেকটি দখল মুক্ত করেছে স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন। এসময় স্থানীয় শত শত মানুষ স্বেচ্ছাশ্রম দিয়েছেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শরীফ নজরুল ইসলাম বলেন, অবৈধ ভাবে সরকারী খালে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করছে কতিপয় প্রভাবশালী। বাঁধ অপসারন করতে গেলে বাধা দেওয়ার কারনে ষাটগুম্বজ ইউপি সদস্য আফছার উদ্দীন চাকলাদার, মাজার এলাকায় জলাবদ্বতা সৃষ্টিকারী রেজা ফকির, হুমায়ুন ফকির ও সুইটকে গ্রেফতার করে থানায় পাঠানো হয়েছে। সদর উপজেলার গুরুত্বপূর্ন প্রবাহমান ৬০টি খালের ১হাজার ৫শতটি অবৈধ বাঁধ চিন্হিত করা হয়েছে, যা পর্যায়ক্রমে অপসারণ করা হচ্ছে। তবে এসব বাঁধ অপসারণ করতে যে পরিমান অর্থ ও জনবল দরকার তার কোনটিই এই মূহুর্তে না থাকায় যথাযথ কাজ করতে অসুবিধা হচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: