ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

জঙ্গীবাদ প্রতিরোধে পরিবারকে এগিয়ে আসতে হবে

প্রকাশিত: ০২:০০, ১০ জুলাই ২০১৬

জঙ্গীবাদ প্রতিরোধে পরিবারকে এগিয়ে আসতে হবে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ জঙ্গীবাদ প্রতিরোধে সমাজের সর্বস্তরে সচেতনতা কাম্য। তরুণরা কোথায় যাচ্ছে, ঠিক পথে না ভুল পথে তা লক্ষ রাখার দায়িত্ব পরিবারের। একই সঙ্গে রাষ্ট্র, সমাজ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠাসহ সকলকেই এই দায়িত্ব নিতে হবে। তরুণরা কেন বিপথগামী হচ্ছে; রাষ্ট্র, সমাজ তাদের কিভাবে কাজে লাগাচ্ছে, তাদের কাছে প্রত্যাশা কি সেই বিষয়গুলোর প্রতি জাতি, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্র সকলকে লক্ষ্য রাখতে হবে। জঙ্গীবাদ প্রতিরোধে যেমন এগিয়ে আসতে হবে পরিবারকে তেমনি ভূমিকা রাখতে হবে রাষ্ট্রের। রবিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ আয়োজিত ‘জঙ্গীবাদ, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জাতীয় ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলুন’ শীর্ষক মানবন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে সংগঠনের সভাপতি আয়েশা খানম এসব কথা বলেন। গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁ ও কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠে জঙ্গী হামলার প্রতিবাদে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সভায় মোমবাতি প্রজ্জ্বলন ও কালো ব্যাচ ধারণের মধ্য দিয়ে পুরোহিত, সেবায়েত, ধর্মীয় সংখ্যালঘু, ভিন্ন মতাবলম্বীদের উপর হামলার পর গুলশান ও কিশোরগঞ্জে জঙ্গী হামলার ঘটনায় উদ্বেগ ও শোক প্রকাশ করা হয়। একই সঙ্গে জঙ্গীবাদ প্রতিরোধে নারী-পুরুষ, পরিবার-সমাজ, ভিন্নমত-রাষ্ট্র সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানানো হয়। সন্তানদের মানবিকতা ও নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত করার আহ্বান জানিয়ে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি আয়েশা খানম বলেন, সন্তানকে শিক্ষা দিতে হবে সৎ থাকার। এমন শিক্ষায় সন্তানকে শিক্ষিত করতে হবে যাতে তারা ব্যক্তিগত, পারিবারিক, রাজনৈতিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনে নীতিহীন না হয়। তিনি বলেন, সন্ত্রাসীদের কোন দল, ধর্ম, জাত এবং সম্প্রদায় নেই। কাজেই এখনই সময় জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার এবং সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ঐক্যবদ্ধ হয়ে আমাদের একটি অসাম্প্রদায়িক সমাজ গড়ার কাজ করে যেতে হবে। আজকের সন্ত্রাসবাদ বন্ধ করতে হলে মুক্তিযুদ্ধের সংস্কৃতির চর্চা করতে হবে, অস্ত্রের চালান বন্ধ করতে হবে, বন্ধ করতে হবে মাদক ব্যাবসা। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ একটি অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক দেশ। এদেশে সন্ত্রাসী ও জঙ্গীদের কোন স্থান নেই। জনতা যেকোন মূল্যে তাদের রুখে দিবেই। সাম্প্রতিক ঘটনায় বিদেশী বন্ধু, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সদস্য ও যেসব নিরীহ সাধারণ জনতা প্রাণ দিয়েছেন তাদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা এবং নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর শোক প্রকাশ করে আয়েশা খানম বলেন, নারী আন্দোলন নিহতদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও তাদের পরিবারের প্রতি গভীর শোক প্রকাশ করছে। সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাখী দাশ পুরকায়স্থ সভা সঞ্চালনকালে বলেন, আজকের এই প্রতিবাদ সমাবেশের মূল উদ্দেশ্য মানবতার শত্রু জঙ্গীবাদকে ধংস করার মাধ্যমে একটি অসাম্প্রদায়িক মানবিক সমাজ গড়ে তোলা। যে কোন মূল্যে ওই অপশক্তিকে রুখে দাড়াঁতে হবে। প্রতিবাদ ও মানববন্ধন সমাবেশে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটি ও ঢাকা মহানগরের নেত্রীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
×