ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

গুলশান-বনানীর অনুমোদনহীন স্থাপনা দ্রুত উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত

প্রকাশিত: ০৫:৫৫, ১১ জুলাই ২০১৬

গুলশান-বনানীর অনুমোদনহীন স্থাপনা দ্রুত উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীর অভিজাত এলাকা হিসেবে খ্যাত গুলশান-বনানী এলাকায় যত্রতত্রভাবে অনুমোদনহীন গড়ে ওঠা হোটেল-রেস্তরাঁ-স্কুল-কলেজ-হাসপাতাল দ্রুতই উচ্ছেদ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সম্প্রতি গুলশানের এক রেস্তরাঁয় বাংলাদেশের ইতিহাসে নজিরবিহীন জঙ্গী হামলার পর রাজধানীর অভিজাত এই আবাসিক এলাকার এসব স্থাপনা নাগরিকদের নিরাপত্তার স্বার্থে উচ্ছেদের মাধ্যমে বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে। রবিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আইন-শৃঙ্খলা সম্পর্কিত মন্ত্রিসভা কমিটির এক বিশেষ বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এর আগে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমুর সভাপতিত্বে সরকারের ১২ দফতরের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে শিল্পমন্ত্রী সাংবাদিকদের কাছে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান। এ সময় মন্ত্রী বলেন, গুলশান এলাকায় অপরিকল্পিতভাবে গড়ে ওঠা এই ধরনের স্থাপনাগুলোকে তদারকির মধ্যে এনে সেগুলোর বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে দেশে দুই দফা বড় ধরনের সন্ত্রাসী হামলার প্রেক্ষাপটে মন্ত্রিসভা কমিটির এই ‘বিশেষ’ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। মন্ত্রী বলেন, গুলশানের ‘রেসিডেনসিয়াল এরিয়ায়’ যত্রতত্র গড়ে ওঠা রেস্তরাঁ, হসপিটাল, বিভিন্ন রকম স্কুল-কলেজকে তদারকির আওতায় আনা হবে। বিচ্ছিন্ন-বিক্ষিপ্তভাবে এ ধরনের স্থাপনা যাতে গড়ে উঠতে না পারে সেজন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং উইথাউট পারমিশনে যেগুলো হয়েছে, সেগুলো বন্ধ করে দেয়ার কথা বলা হয়েছে। বিশেষ এ বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, পানি সম্পদমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মোঃ মুজিবুল হক চুন্নু, পুলিশ মহাপরিদর্শক একেএম শহীদুল হকসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
×