সাতক্ষীরায় পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে বিএনপি নেতা নিহত

স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা ॥ সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার কাশিমারি ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অলিউল্লাহ মোল্লা পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন। নিহত অলিউল্লাহ কাশিমারি গ্রামের একরামুল হক মোল্লার ছেলে। শনিবার রাতে ঢাকায় যাওয়ার পথে দেবহাটা উপজেলার পারুলিয়া থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয় বলে তার পরিবার দাবি করে। কিন্তু পুলিশের দাবি, বহু মামলার পলাতক আসামি অলিউল্লাহ পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন। জেলা পুলিশের তথ্য কর্মকর্তা কামাল হোসেন জানান, শ্যামনগর থানার উপ-পরিদর্শক সুধাংশু শেখরের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল রাত সাড়ে তিনটার দিকে কাশিমারি ইউনিয়নের গাংহাটি চোরাখাল কালভার্টের ওপর টহল দেয়ার সময় একদল লোক মোটরসাইকেলে দ্রুতবেগে চলে যেতে থাকে। পুলিশ তাদের থামতে সঙ্কেত দিলেও তারা উল্টো পুলিশের ওপর বোমা নিক্ষেপ ও গুলি ছোড়ে। পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। এতে একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে মোটরসাইকেলসহ পড়ে যায়। অন্যরা মোটরসাইকেল ঘুরিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। গুলিবিদ্ধ ব্যক্তিকে শ্যামনগর হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে তাকে শ্যামনগরের কাশিমারি গ্রামের নাশকতার বহু মামলার পলাতক আসামি অলিউল্লাহ মোল্লা হিসেবে শনাক্ত করা হয়। তার বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, মাদারীপুর ও গোপালগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় ১৩ মামলা রয়েছে বলে জানান তিনি। তিনি একটি সন্ত্রাসী বাহিনীর নেতা ছিলেন বলেও জানায় পুলিশ। নিহত বিএনপি নেতা অলিউল্লাহর চাচা শাহজাহান আলি জানান, অলিউল্লাহ দীর্ঘদিন যাবত ঢাকায় শ্রমিক সরদারের কাজ করেন। তিনি শনিবার রাতে একটি পরিবহনে বাড়ি থেকে ঢাকায় যাচ্ছিলেন। এ সময় পুলিশ তাকে দেবহাটার পারুলিয়া এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। রাতে শ্যামনগর থানার সেকেন্ড অফিসার নিখিল চন্দ্র তাকে গ্রেফতারের কথা স্বীকার করেন। তবে কালীগঞ্জ সার্কেলের এএসপি মির্জা সালাহউদ্দিন আহমেদ তাকে গ্রেফতারের বিষয়টি অস্বীকার করেন। শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল হক জানান, বন্দুকযুদ্ধের সময় দুই পুলিশ সদস্য আহত হন। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি মোটরসাইকেল, একটি শাটারগান ও বিস্ফোরিত বোমার কিছু অংশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে অস্ত্র আইন ও সরকারী কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগে দুটি মামলা দায়ের করেছে।