ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

চোখের জলে ফাইনাল শেষ রোনালদোর

প্রকাশিত: ১৯:৩৪, ১১ জুলাই ২০১৬

চোখের জলে ফাইনাল শেষ রোনালদোর

অনলাইন ডেস্ক॥ ৯ মিনিটে পায়েত ট্যাকল করলেন ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোকে। পড়ে গেলেন রোনালদো। পায়েত কি ইচ্ছে করেই এমন ট্যাকল করেছিলেন? এটাই প্রশ্ন এখন। দেখতে নিরীহ ওই ট্যাকলে রোনালদোর ইউরো ফাইনাল শেষ হয়ে গেছে ২৪ মিনিট খেলেই। হাঁটুর ইনজুরিতে মাঠের বাইরে গিয়ে চিকিৎসা নিয়ে ফিরলেও রোনালদো খেলতে পারেননি। চোখের জলে বিদায় নিয়েছেন স্ট্রেচারের করে। মাঠে না থেকেও অবশ্য চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন রোনালদো। প্যারিসের স্তাদ দি ফ্রান্সে স্বাগতি ফ্রান্সকে অতিরিক্ত সময়ের খেলায় ১-০ গোলে হারিয়ে শিরোপা জিতেছে পর্তুগাল। বদলী এদারের ১০৯ মিনিটের গোলে প্রথমবারের মতো ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়ন হয়েছে পর্তুগিজরা। তখন মাত্র খেলা শুরু হয়েছে। রোনালদো পর্তুগালের মূল ভরসা। কিন্তু পায়েতের ট্যাকলে তিনবারের বিশ্ব সেরা ফুটবলার ব্যথা পেলেন হাঁটুতে। তীব্র ব্যথা। তবু উঠে দাঁড়িয়েছিলেন রোনালদো। কিন্তু ১৭ মিনিটে আবার ব্যর্থায় চোখে জল তার। চিকিৎসার জন্য মাঠ ছাড়লেন এবার। মিনিট তিনেক বাইরে থাকলেন। তারপর মাঠে ফিরলেন। কিন্তু আর পারলেন না। কিছুক্ষণ পর মাঠে বসে পড়লেন রোনালদো। কষ্টে-হতাশায় আর্মব্যান্ড ছুড়ে মারলেন। মাঠে বসেই শিশুর মতো কাঁদতে শুরু করলেন রোনালদো। হতবিহ্বল। সময় নষ্ট করা চলে না আবেগের কাছে হেরে। নানিকে আর্মব্যান্ড পরিয়ে দিলেন। তারপর স্ট্রেচারে করে বিদায় নিলেন রোনালদো দুই হাতে মুখ ঢেকে। কান্না সঙ্গী তার। রিকার্দো কারেসমা এলেন তার বদলী হয়ে। ২০০৪ এ দেশ পর্তুগালের হয়ে ইউরোর ফাইনালে খেলেছিলেন রোনালদো। হেরেছিলেন গ্রীসের কাছে। কান্নায় ভেঙেছিলেন ১৯ বছরের রোনালদো। ৩১ বছরের রোনালদো সেই আসরের পর আবার কোনো বড় আসরের ফাইনালে উঠলেন। বলেছিলেন, এই ফাইনালের পর আনন্দ্রাশ্রু নিয়ে মাঠ ছাড়বেন। ফুটবল দেবতা তা হতে দিলেন না। কাঁদলেন রোনালদো আবার। হয়তো দেশের পক্ষে শিরোপা জেতার শেষ সুযোগটা এভাবে শেষ হয়ে গেলো বলেই বেশি। এই ইউরোতে খেলে একাধিক রেকর্ড করেছেন রোনালদো। চারটি ইউরোতে গোল করার ইতিহাস গড়েছেন। ২০০৪, ২০০৮, ২০১২ ও ২০১৬ তে খেললেন। এরপর মিশেল প্লাতিনির ইউরোতে সর্বোচ্চ ৯ গোলের রেকর্ড স্পর্শ করেছেন। তিনটি উইরোর সেমিফাইনালে খেলা ইতিহাসের একমাত্র খেলোয়াড়ও হয়েছেন। হাঙ্গেরির বিপক্ষে প্রথম রাউন্ডে ম্যাচটি ছিল ইউরোতে রোনালদোর ১৭তম ম্যাচ। ইউরোতে সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলার রেকর্ডটি আরো দীর্ঘ করেছিলেন তিনি। ফাইনাল ছিল রোনালদোর ২১তম ম্যাচ। কিন্তু কিভাবেই না ইউরোটা শেষ হলো!
×