অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ উন্নয়নশীল দেশ হওয়ার পথে বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছে। গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ-সিপিডি জানিয়েছে, ২০২৪ সালের মধ্যে স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হতে বিদেশী বিনিয়োগ ও মানব উন্নয়নের উপর জোর দিতে হবে।
এক্ষেত্রে ক্রমবর্ধমান বৈষম্য মোকাবেলা করে সুশাসন ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে মনে করেন প্রধানমন্ত্রীর পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা গওহর রিজভী।
নিম্ন মধ্য আয়ের দেশ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে মধ্য আয়ের দেশ ও ২০২৪ সালের মধ্যে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের যাত্রায় বাংলাদেশ। এ মাসেই আনুষ্ঠানিকভাবে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে তালিকাভুক্ত হতে আবেদন করবে বাংলাদেশ। এ উপলক্ষে সিপিডি শনিবার এই সেমিনারের আয়োজন করে।
এতে জানানো হয়, স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বের হওয়ার জন্য বাংলাদেশ ইতোমধ্যে শক্তিশালী প্রবৃদ্ধি ওকর্মসংস্থানর খাত এবং বৈদেশিক সাহায্যের উপর নির্ভরতা কমার জন্য বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। ভবিষ্যতে করণীয় নিয়ে পরামর্শ দেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ রেহমান সোবহান।
সেমিনারে সরকারের প্রতিনিধি গওহর রিজভী জানান, মাথাপিছুসহ আয়সহ বেশ কিছু সুচকে অগ্রগতি উল্লখযোগ্য হলেও বৈষম্য বাড়ছে। সুশাসন ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার প্রতি মনোযোগী হতে হবে।
তবে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরনের ফলে রপ্তানিতে ৭ শতাংশ শুল্ক বেড়ে যাওয়ায় প্রায় ২৭০ কোটি ডলার রপ্তানি ক্ষতির আশংকা করেছে সিপিডি।