ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

চীনের অনির্দিষ্টকালের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং

প্রকাশিত: ২৩:৪৯, ১১ মার্চ ২০১৮

চীনের অনির্দিষ্টকালের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং

অনলাইন ডেস্ক ॥ সংবিধান সংশোধন করে সর্বোচ্চ দুই মেয়াদ প্রেসিডেন্ট থাকার বিধান তুলে দিয়েছে চীনের ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেস, যার মধ্যে দিয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য চীনের নেতৃত্বে থাকার সুযোগ তৈরি হল শি জিনপিংয়ের সামনে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়, আগের আইন বহাল থাকলে ২০২৩ সাল পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে পারতেন শি। কিন্তু প্রেসিডেন্টের মেয়াদের বিধান তুলে নেওয়ায় আর কোনো আইনি বাধা থাকল না। রবিবার চীনের গ্রেট হল অব দ্য পিপলে পার্লামেন্টের বার্ষিক অধিবেশনে সংবিধান সংশোধনের প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটি হয়। পিপলস কংগ্রেসের প্রায় তিন হাজার প্রতিনিধির মধ্যে দুই হাজার ৯৬৪ জন প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেন। দুই জন প্রস্তাবের বিপক্ষে এবং তিন জন ভোট দানে বিরত থাকেন। রয়টার্স লিখেছে, গত মাসে চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টি সংবিধান সংশোধনের ওই প্রস্তাব আনার পর তা যে পাস হবে, তা নিয়ে কোনো সন্দেহেই ছিল না। ১৯৯০ এর দশকে চীন প্রেসিডেন্ট পদে থাকার সীমা বেঁধে দেয়। সংবিধান অনুযায়ী কংগ্রেস চীনের সর্বোচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন আইন পরিষদ। ইতিহাসবিদ ও রাজনীতি বিশ্লেষক ঝ্যাং লিফানের মতে, শি’কে ক্ষমতা রাখতে সংবিধান সংশোধনের এই উদ্যোগ পূর্ব অনুমেয়। কিন্তু তাকে ঠিক কত বছর ক্ষমতায় রাখার কথা চিন্তা করা হচ্ছে তা নিয়ে পূর্বাভাস দেওয়া কঠিন। তিনি বলেন, “থিওরি অনুযায়ী তিনি জিম্বাবুয়ের সাবেক প্রেসিডেন্ট রবার্ট মুগাবের চাইতেও বেশি সময় রাজত্ব করতে পারেন। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, ভবিষ্যতে ঠিক কী হবে তা কেউই বলতে পারে না।” জিম্বাবুয়েকে ৩৭ বছর ধরে শাসন করা মুগাবে গণবিক্ষোভ ও সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপের পর শেষ পর্যন্ত গতবছর দলের চাপে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। চীনের অনেক নাগরিক অনির্দিষ্টকালের জন্য এক ব্যক্তির হাতে ক্ষমতা চলে যাওয়া পছন্দ করেননি। সংবিধান সংশোধনের প্রস্তাব ওঠার পর দেশটির সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম উইবোতে এক জন লেখেন, “যদি দুই মেয়াদ যথেষ্ট না হয় তবে তারা তিন মেয়াদের কথা লিখতে পারে, কিন্তু সেখানে অবশ্যই একটা সীমা থাকতে হবে। একেবারে মুক্ত করে দেওয়া ভাল হবে না।”
×