ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

৪ লাখ ৭৫ হাজার কোটি টাকার বাজেট আসছে

প্রকাশিত: ০০:৩৬, ১১ মার্চ ২০১৮

৪ লাখ ৭৫ হাজার কোটি টাকার বাজেট আসছে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ২০১৮-১৯ অর্থবছরে সম্ভাব্য বাজেটের আকার সম্পর্কে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, এ বছর ৪ লাখ ৭৫ হাজার কোটি টাকার বাজেট দেওয়া হবে। সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সঙ্গে প্রাক-বাজেট আলোচনায় রোববার অর্থমন্ত্রী এ কথা বলেন। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘বাজেট উচ্চাভিলাষী হবে না। ২০১৮ নির্বাচনের বছর। তাই নতুন করে কোনো চ্যালেঞ্জ নেওয়া হবে না। আগের বছরগুলোর ধারাবাহিকতা বজায় রেখে এবারের বাজেট দেওয়া হবে। একই কারণে বরাদ্দের ক্ষেত্রেও কোনো চমক থাকবে না। স্বাভাবিকভাবে সর্বোচ্চ বরাদ্দ যাবে মানব সম্পদ উন্নয়নে অর্থাৎ শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পানি সরবরাহ ক্ষেত্রে। আর খাত হিসেবে বিগত বছরগুলোর ধারাবাহিকতা মেনে পরিবহন ও জ্বালানিখাত গুরুত্ব পাবে। মন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিবছর বাজেট বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) বাস্তবায়ন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। এবার আমাদের এডিপি বাস্তবায়নের হার অনেক ভালো। প্রথম ছয় মাসে ৩৫ শতাংশের বেশি বাস্তবায়ন হয়েছে। অর্থাৎ আমাদের বাস্তবায়ন সক্ষমতা বাড়ছে। এ ধারাবাহিকতা সামনের বছরেও অব্যাহত থাকবে বলে আশা করছি।’ আলোচনায় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সাবেক খাদ্যমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘শিক্ষাখাত প্রতিবছরই বাজেটে সর্বোচ্চ বরাদ্দ পাচ্ছে। এ বরাদ্দের সদ্ব্যবহার হচ্ছে কি না তা তদারক করা দরকার।’ তিনি বলেন, ‘দেশে উচ্চশিক্ষার পরিস্থিতি খুবই করুণ। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স ও মাস্টার্স শিক্ষার গুণগত দেশের অন্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর চেয়ে অনেক পিছিয়ে।’ নিজের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আমি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য থাকাকালে একটি কলেজের অর্থনীতির শিক্ষককে জিডিপি, জিএনপি, মুদ্রাস্ফীতি, সামষ্টিক অর্থনীতি বিষয়ে প্রশ্ন করেছিলাম। ওই শিক্ষক কোনো প্রশ্নেরই ঠিকঠাক উত্তর দিতে পারেননি। অর্থনীতির শিক্ষকের যদি এ অবস্থা হয়, তাহলে শিক্ষার্থীদের অবস্থা কেমন হবে তা সহজেই অনুমেয়।’ আলোচনায় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেজর জেনারেল (অব) রফিকুল ইসলাম (বীরউত্তম) বলেন, এক হাজার নোট বাতিল হওয়ার খবর বেরুচ্ছে। সত্যিই যদি এমন কিছু হয়ে থাকে তবে তা মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করবে।’ তাৎক্ষণিক জবাবে কিছুটা উত্তেজিত হয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘দিস নিউজ ইজ অ্যাবসুলেটলি বোগাস। এইটা সত্যিকার অর্থেই রাবিশ। এ ধরনের কোনো কিছুই ঘটে নাই।’ আলোচনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী আ ফ ম রুহুল হক, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু, উপাধ্যক্ষ আবদুস শহীদ এমপি। অনুষ্ঠানে অর্থসচিব মুসলিম উদ্দিন, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব কাজী শফিকুল আযমসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
×