ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

আগামী ৭ জুন জাতীয় সংসদে বাজেট উপস্থাপন

প্রকাশিত: ২৩:২৩, ১৩ মার্চ ২০১৮

আগামী ৭ জুন জাতীয় সংসদে বাজেট উপস্থাপন

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ২০১৮-১৯ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট উপস্থাপন করা হবে আগামী ৭ জুন জাতীয় সংসদে। এ বাজেটের আকার হবে ৪ লাখ ৭৫ হাজার কোটি টাকা। এবারের বাজেটে যেসব খাত গুরুত্ব পাবে, সেগুলোর মধ্যে পরিবহন, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগ গুরুত্বপূর্ণ। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরস্থ জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (এনইসি) মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত অর্থনীতিবিদদের সঙ্গে প্রাক বাজেট আলোচনায় এই তথ্য জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। সভায় অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আর্থিকখাতসহ নানা অভিযোগে অভিযুক্তদের কোনোভাবেই ছাড় দেওয়া হবে না। এ সব ক্ষেত্রে অভিযুক্তরা সব সময় পার পেয়ে যায় বলে যে অভিয়োগ রয়েছে তা সঠিক নয়।’ তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ওয়ান স্টপ সার্ভিস শুরু করেছে। এর মাধ্যমে আমদানি রফতানিসহ ব্যবসায়িক কার্যক্রমের সব ধরনের জটিলতার অবসান ঘটবে।’ সাবেক অর্থমন্ত্রী এম সাইদুজ্জামান বলেন, ‘ব্যাংকিং খাতের অরাজকতা দীর্ঘদিনের। যদি ব্যাংকে লুটপাটকারীদের শাস্তি নিশ্চিত করা না যায়, তাহলে সরকারের অনেক সফলতা ম্লান হয়ে যাবে।’ বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গর্ভনর ফরাস উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের অর্থনীতির বড় সমস্যা বেকারত্ব। একটি গবেষণায় দেখা গেছে, এখনও দেশের ৩৮ শতাংশেরও বেশি লোকজন আন্ডার এমপ্লয়মেন্ট, যা সমস্যা সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।’ সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের সম্মানীত ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘আগে যেভাবে বিদেশ থেকে সাহায্য আসতো, এখন আর সেভাবে সাহায্য আসবে না। যা আসছে তা চলে যাচ্ছে রোহিঙ্গা পুনর্বাসনে। বর্তমানে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধান আমাদের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ।’ সাবেক অর্থ সচিব মতিউল ইসলাম বলেন, ‘দেশে যে ব্যাপক উন্নয়ন চলছে, সেখানকার ব্যবস্থাপনায় ত্রুটি রয়েছে। এ সব উন্নয়ন বাস্তবায়নে ব্যয় বাড়লে সুফল আসবে না।’ অর্থনীতিবিদ রেহমান সোবহান বলেন, ‘যথাযথ নজরদারির অভাবে দেশের ব্যাংকিং খাতে দুরবস্থা বিরাজ করছে। বেপরোয়া ঋণ দেওয়ায় ক্ষেত্রে অনেক ব্যাংকই সীমা অতিক্রম করে ফেলেছে। এতে মূলধন সংকট বাড়ছে। এ সব সমস্যা সমাধানে সর্বাধিক গুরুত্ব দিতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘সময়ের কাজ সময়ে শেষ করতে না পারায় মেগা প্রকল্পে যেমন ব্যয় বাড়ছে, তেমনি ভোগান্তিরও সৃষ্টি হচ্ছে। সময়ের কাজ সময়ে শেষ করতে না পারলে মেগা প্রকল্পের সুফল আসবে না। দেশের পুজি বাজারে বিশৃঙ্খলা বিরাজ করছে। এই বিশৃঙ্খলা ঠিক করতে না পারলে পুঁজিবাজার থেকে কাঙ্ক্ষিত ফল আসবে না।’
×