ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

নিপুনের ধূসর কুয়াশা

প্রকাশিত: ০৬:৩৯, ১৫ মার্চ ২০১৮

নিপুনের ধূসর কুয়াশা

গত এক দশক ধরে বাংলা চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেত্রীদের একজন নিপুন। বেশকিছু দিন ধরে রুপালি পর্দা থেকে কিছুটা দূরে থাকলেও ছোটপর্দায় তাকে দেখা গিয়েছে হরহামেশাই। তবে কিছুটা বিরতির পর ফের উত্তম আকাশের ‘ধূসর কুয়াশা’ শিরোনামের নতুন সিনেমা নিয়ে দর্শকদের সামনে আসছেন এই নায়িকা। অবশেষে সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে সেন্সর ছাড়পত্র পেয়েছে নিপুন অভিনীত সিনেমা ‘ধূসর কুয়াশা’। সিনেমাটিত নিপুনের বিপরীতে অভিনয় করেছেন নবাগত মুন্না। উত্তম আকাশ পরিচালিত এ সিনেমাটি সেন্সর বোর্ডে জমা পড়ে গত বছরের জুলাই মাসে। সে সময় বেশকিছু দৃশ্যে সেন্সর বোর্ডের আপত্তির পরিপ্রেক্ষিতে কিছু দৃশ্য কর্তন ও পরিমার্জন করে পুনরায় সেন্সর বোর্ডে জমা দেয়া হয়। সিনেমাটি দ্বিতীয় বার জমা দেয়ার পর নতুন বছরের শুরুতে পুনরায় দেখে ৩১ জানুয়ারি বিনাকর্তনে ছাড়পত্র দেয় সেন্সর বোর্ড। এবং আগামীকাল মহাসমারোহ দেশব্যাপী মুক্তি পেতে যাচ্ছে বহুল প্রতিক্ষীত ‘ধূসর কুয়াশা’ শিরোনামের সিনেমাটি। ত্রিভুজ প্রেমের গল্প নিয়ে এ সিনেমাটি নির্মিত হচ্ছে। এতে নিপুন ও পুষ্পিতা দুজন-দুজনার বান্ধবীর চরিত্রে অভিনয় করছেন। নিপুণের ক্যারিয়ারের প্রথম সিনেমা ‘রতœগর্ভা মা’। বিশেষ কারণে যা আজও মুক্তি পায়নি। ২০০৬ সালে এই সিনেমার মাধ্যমেই চলচ্চিত্র জগতে পা রাখেন তিনি। এখন পর্যন্ত প্রায় ৫০টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। ২০০৮ সালে ‘সাজঘর’ চলচ্চিত্র এবং ২০০৯ সালে ‘চাঁদের মতো বউ’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য স্বীকৃতিস্বরূপ দুইবারর জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান তিনি। চলচ্চিত্র, টিভি নাটকের অভিনয়ে পাশাপাশি অভিনয় করেছেন কলকাতার বাংলা সিনেমাতেও। চলচ্চিত্র এবং নাটক কোন মাধ্যমে নিপুন সেরা? জানতে চাইলে নিপুন আনন্দকণ্ঠকে বলেন, একজন শিল্পীর জন্য দুই মাধ্যমে কাজ করে সমান জনপ্রিয়তা পাওয়া ভাগ্যের বিষয়। দর্শকের আগ্রহেই আমি নাটকেও কাজ করছি। প্রথম ভাললাগার জায়গা অভিনয়। প্রথম প্রেম চলচ্চিত্র। চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমেই দর্শক আমাকে চিনেছে। কোন মাধ্যমেই সেরা, সেটা দর্শক ভাল বলতে পারবে। চলচ্চিত্র আর নাটক দুই মাধ্যমেই কাজ করছি। ভাললাগছে। আমাদের চলচ্চিত্রের মান সম্পর্কে একটু বলুন। এক কথায় আমাদের চলচ্চিত্রের মান এখন অনেক ভাল। দর্শক হলে যাচ্ছে। কিছু নতুন পরিচালক চেষ্টা করছেন ভাল কিছু করার জন্য। ভাল কাজ হচ্ছে। চলচ্চিত্র এখন ডিজিটাল যুগে প্রবেশ করেছে। আমাদের চলচ্চিত্রের কালার এবং আনুষঙ্গিক বিষয় দর্শকদের মন কাড়তে পারছে সেই সঙ্গে কিছু মানসম্মত সিনেমা হলও তৈরি হয়েছে। আমার বিশ্বাস চলচ্চিত্র আবার সেই স্বর্ণযুগ ফিরে পাবে। একসঙ্গে দুই মাধ্যমে কাজ করতে কেমন লাগে? জবাবে নিপুন বলেন, ‘চলচ্চিত্র কিংবা ছোটপর্দা, দুটিই কিন্তু দর্শকের মাধ্যম। দুটিরই দর্শক আলাদা আলাদা। যারা হলে গিয়ে সিনেমা দেখেন, তারা কিন্তু ঘরে বসে খুব কমই টিভিতে সিনেমা দেখেন। নাটক কিংবা টেলিফিল্ম দেখেন তারা। তাই আমার কনসেপ্টটা একটু আলাদা। আমার নাটকের যারা দর্শক রয়েছেন তাদের জন্য যেমন আমি ভাল কিছু কাজ করার চেষ্টা করি ঠিক তেমনি আমার সিনেমাপ্রেমী দর্শকদের জন্যও আমি ভাল চলচ্চিত্রে কাজ করার চেষ্টা করি। সব মিলিয়ে আমি নিজেকে দুই মাধ্যমেই পূর্ণাঙ্গ রাখতে চাই।’ এ পর্যন্ত দুবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন নিপুন। নিপুনের সঙ্গে কাজ শুরু করা অনেকেরই ভাগ্যে এখনও জোটেনি এই পুরস্কার। একজন গুণী অভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়াটা অনেক সম্মানের। সেই সম্মানের কথাই বিবেচনা করে নিপুন চেষ্টা করেন ভাল চরিত্রে ভাল স্ক্রিপ্টে সব সময় কাজ করার। ব্যবসায়ী নিপুনের ব্যস্ততা জানতে চাই? দেখুন সারা জীবন তো আর অভিনয় করতে পারব না। অন্য কিছু তো করতে হবে। ব্যবসা করছি। দেশের নারীদের আন্তর্জাতিক মানের সৌন্দর্য চর্চায় অভ্যস্ত করার লক্ষ্যে একটি পার্লার খুলেছি। রাজধানীর বনানীতে আমার পার্লার অবস্থিত। বেশ ভালই চলছে আমার এই প্রতিষ্ঠানটি।
×