ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

সব সময় বেছে কাজ করি ॥ ন্যান্সি

প্রকাশিত: ০৬:৪১, ১৫ মার্চ ২০১৮

সব সময় বেছে কাজ করি ॥ ন্যান্সি

একজন সঙ্গীতশিল্পী যার প্রধান প্রতিভা কণ্ঠের কারুকাজ। তেমনি একজন প্রতিভাবান নাজমুন মুনীরা ন্যান্সি দেশের বর্তমান প্রজন্মের জনপ্রিয় গায়িকা। তার গান মানেই হৃদয় দোলা দেয়া সব অনুভূতিদের নাচন। শ্রোতাপ্রিয় এই গায়িকা চলচ্চিত্র এবং অডিও; দুই ভুবনেই সমানতালে জনপ্রিয়তা নিয়ে গান গেয়ে চলছেন। সমসাময়িক ব্যস্ততা নিয়ে কথা বলেন আনন্দকণ্ঠের সঙ্গে। সাক্ষাতকার নিয়েছেন- রুহুল আমিন ভূঁইয়া আনন্দকণ্ঠ : চলতি সময়টা কেমন কাটছে? ন্যান্সি: এই তো খুব ভাল আছি। সংসার ও গান এই মিলিয়েই সময় চলে যাচ্ছে। মেয়েদের পড়াশোনা নিয়ে বেশি ব্যস্ত থাকতে হচ্ছে। আনন্দকণ্ঠ : চলতি সময়ে গানের ব্যস্ততা সম্পর্কে বলুন। ন্যান্সি : এখন স্টেজ শোয়ের সময়। আর আমি আসলে সবধরনের শো করতে পারি না। তাই একটু বেছে কাজ করি। এই বিষয়টি আমি সব সময় মেনটেন করে আসছি। সেদিক থেকে এখন শোর ব্যস্ততা রয়েছে। আনন্দকণ্ঠ : নতুন এ্যালবাম কি করা হবে? ন্যান্সি : নতুন এ্যালবাম করার কথা অনেকদিন থেকেই চলছে। আনন্দকণ্ঠ : চলচ্চিত্রের কাজের কি খবর? ন্যান্সি : চলচ্চিত্রে কাজ করছি। তবে আগের থেকে কাজ এখন কম। কি কারণে কম সেটা বলতে পারি না। তবে গত ছয় মাসে কাজ তুলনামূলক কম হয়েছে। হয়ত সামনে ঠিক হয়ে যাবে। দেখা যাক কি হয়। আনন্দকণ্ঠ : ডিজিটালি গান প্রকাশ হচ্ছে এখন। সিডি নেই বললেই চলে। এ বিষয়টিকে কিভাবে দেখছেন? ন্যান্সি : সময়ের পরিবর্তনে প্রযুক্তি ভর করেছে। এর ফলে অনক কিছু সহজ হয়েছে। তারই মধ্যে আমি বলব গান শোনাটাও সহজ হয়েছে। এখন বিশ্বের যে কোন জায়গায় বসে যে কোন গান শোনা যাচ্ছে। ইউটিউবে চাইলেই পছন্দমতো গান শোনা যায়। এটা একটা ইতিবাচক দিক। অপর দিকে এর কিছু নেতিবাচক দিকও রয়েছে। যেমন সিডি প্রকাশ না হওয়ায় পূর্ণ এ্যালবাম আর হচ্ছে না। সিঙ্গেল নির্ভর হয়ে গেছে সবাই। শিল্পী হিসেবে আমি এ্যালবামে বিশ্বাসী। কারণ, পূর্ণ এ্যালবামে বেশকিছু গান থাকে বলে একজন শিল্পী নিজেকে বিভিন্নভাবে প্রকাশ করতে পারেন। আবার অর্থনৈতিক দিক থেকেও এ্যালবামটা ভাল সিঙ্গেল থেকে। আর ডিজিটালি গান প্রকাশ বিষয়টি এখনও সবাই বুঝে উঠতে পারেনি। এখানকার লাভ-ক্ষতির হিসাবটা মেলাতে শিল্পীদের আরও সময় লাগবে। আনন্দকণ্ঠ : গানের ভুবনে একযুগ অতিক্রম করেছেন। বিষয়টি ভাবতে কেমন লাগছে? ন্যান্সি : খুবই ভাল। বারটা বছর অনেকটা সময়। কিন্তু মনে হয়, ওই দিন মাত্র গান তুলে নিয়েছিলাম আমার গলায়। আমি এখনও আগের মতোই আছি। নিজের মতো করে গান গাই। ভাললাগা, মন্দলাগাগুলো এখনও আমায় আগের মতো কাটায়। আনন্দকণ্ঠ : এখন অডিও ইন্ডাস্ট্রি কেমন মনে হয় আপনার কাছে? ন্যান্সি : এখন তো অনেক কোম্পানি বিনিয়োগ করতে এগিয়ে আসছে। আবার কেউ কেউ নিজের কাছে স্বত্ব রেখেও গান প্রকাশ করতে পারছেন। এখন মানুষ ডিজিটালই গান শুনছে। ইউটিউব জনপ্রিয় হয়েছে। ডিজিটালি একটা ব্যাপার চলে আসছে। যদিও আমি চাই ডিজিটালের পাশাপাশি গানের সিডিও বের হোক। আমরা যেহেতু ডিজিটাল ধারায় অভ্যস্ত নই, তাই আরও সময় লাগবে। এই ধারাটায় যত আমরা অভ্যস্ত হব তত ভাল সময় আসবে বলেও মনে হয়।
×