ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১

তামাকজাত দ্রব্যের মোড়কে উৎপাদন ও মেয়াদউত্তীর্ণের তারিখ প্রদানের বিধান বাস্তবায়নের দাবি

প্রকাশিত: ০২:০৩, ১৫ মার্চ ২০১৮

তামাকজাত দ্রব্যের মোড়কে উৎপাদন ও মেয়াদউত্তীর্ণের তারিখ প্রদানের বিধান বাস্তবায়নের দাবি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ জনস্বার্থে অবিলম্বে সকল তামাকজাত দ্রব্যের মোড়কে উপাদান, উৎপাদন ও মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ প্রদানের বিধান বাস্তবায়নে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করার দাবি জানিয়েছে বিভিন্ন সংগঠন। ১৫ মার্চ বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় ধানমন্ডি আবাহনী মাঠের সামনে প্রত্যাশা মাদক বিরোধী সংগঠন, স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটি, টিসিআরসি, সিএসডাব্লিউপিডি ও ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট’র আয়োজনে অবস্থান কর্মসূচিতে আয়োজকরা এ দাবী জানান। পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা) চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোটের উপদেষ্টা আবু নাসের খান এর সভাপতিত্বে কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন প্রত্যাশা’র সাধারণ সম্পাদক হেলাল আহমেদ, ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট’র কর্মসূচি ব্যবস্থাপক সৈয়দা অনন্যা রহমান, স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটির স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার ক্লাবের উপদেষ্টা রেহানা আক্তার, বিসিএইচআরডি’র পরিচালক দিলরুবা আক্তার, নির্বাহী পরিচালক মাহবুবুল হক, ইন্সিটিউট অব ওয়েলবিং এর কর্মকর্তা মাসুম বিল্লাহ ভুইয়া, টোব্যাকো কন্ট্রোল এন্ড রিসার্স সেলের তামাক নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা রাতিকুল আলম রাতুল প্রমূখ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট’র সহকারী প্রকল্প কর্মকর্তা আবু রায়হান। হেলাল আহমেদ বলেন, ‘যে কোন পণ্য ক্রয় করার সময় পণ্যের উৎপাদন ও মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ এবং বিদ্যমান উপাদানের (ক্ষতিকর ও উপকারী) নাম জানাটা ভোক্তার জন্য অত্যন্ত জরুরী। তামাকজাত পন্যর ক্ষেত্রে এর ব্যতিক্রম হতে পারে না। সকল তামাকজাত দ্রব্যের মোড়কে উপাদান, উৎপাদন ও মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ প্রদানের কোম্পানীগুলোকে বাধ্য করা প্রয়োজন। এ বিষয়ে জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেল এবং ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের সমন্বিত ও শক্তিশালী ভূমিকা প্রয়োজন। সৈয়দা অনন্যা রহমান বলেন, তামাক কোম্পানিগুলো বিড়ি, সিগারেটসহ বিভিন্ন ধরনের তামাকজাত দ্রব্যের মোড়কে উৎপাদন ও মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ উল্লেখ করে না। উৎপাদনের তারিখ প্রদাণ, তামাকজাত দ্রব্যের মোড়কে স্বাস্থ্য সর্তকবানী প্রদানের বিষয়টি মনিটরিং করার ক্ষেত্রে সহায়ক ভুমিকা পালন করবে। জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এই পণ্যটি কখনোই আজীবন মেয়াদের ব্যবহার উপযোগী হতে পারে না। আবু নাসের খান বলেন, দেশের সকল আইন সবার জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য। ভোক্তা অধিকার সংক্ষণ আইন ২০০৯ এর (৩৭ ধারা) অনুসারে, কোন পণ্য বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে মোড়কাবদ্ধ করলে তার গায়ে খুচরা মূল্য, উপাদান, উৎপাদন, মেয়াদউত্তীর্ণের তারিখ প্রদান বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কিন্তু, বাংলাদেশে তামাক কোম্পানিগুলো ভোক্তা অধিকার আইন অমান্য করে তাদের উৎপাদিত পণ্য বিপনন করছে। ফলে ভোক্তা অর্থাৎ- সাধারণ জনগণ প্রতারিত হচ্ছে। জনস্বাস্থ্য ও মানুষের অধিকার রক্ষার ক্ষেত্রে ‘ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের’ পক্ষ থেকে জোরালো পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরী।’ কর্মসূচিতে এইড ফাউন্ডেশন, কাটনারপাড়া নারী উন্নয়ন সংস্থা, সেতুসহ বিভিন্ন তামাক বিরোধী সংস্থা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
×