ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

তিন জনের কেউই শঙ্কামুক্ত নয় ॥ ড. সামন্ত লাল সেন

প্রকাশিত: ০২:১০, ১৬ মার্চ ২০১৮

তিন জনের কেউই শঙ্কামুক্ত নয় ॥ ড. সামন্ত লাল সেন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নেপালে বিমান দূর্ঘটনায় বেঁচে যাওয়া একই পরিবারের স্বর্না, মেহেদি ও অ্যানি তিনজনের কেউই শঙ্কামুক্ত নয়। তাদের পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। শনিবার বিভিন্ন পরীক্ষা নিরিক্ষ করা হবে। যখন তাদের হাসপাতাল থেকে সুস্থ করে ছেড়ে দিতে পারবো, তখন বলবো শঙ্কামুক্ত। শুক্রবার বিকেলে তিনজনকে ঢামেকে আনার পর এমনটাই বললেন বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন। নেপালে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় আহত একই পরিবারের তিনজনকে শুক্রবার বিকেল পৌনে ৫ টার দিকে হজরত শাহজালাল (র.) বিমানবন্দর থেকে অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢামেক হাসপাতালে আনা হয়। তাদের চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের কেবিনে নেওয়া হয়েছে। সামন্ত লাল বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী তাদের চিকিৎসার ব্যাপারে সার্বক্ষণিক খোঁজ খবর রাখছেন। কোন সহযোগিতার প্রয়োজন হলে যেকোন সময়ে তাকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে যেতে বলেছেন। তিনি বলেন, ‘নেপাল থেকে জানানো হয়েছে, আরো তিনজন পাঠানো প্রক্রিয়া শুরু করেছে। আগামী রোববার আরো তিনজনকে ঢাকায় আনা হবে। ওই দিন মেডিক্যাল বোর্ড বসবে। এছাড়া নেপালে আরো দুই জন থাকবে। তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা অশংকা জন। অন্য আরেকজনকে তাদের স্বজনরা সিঙ্গাপুরে নেওয়ার চিন্তা ভাবনা করছেন। তিনি জনের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘তিনজনের কেউই পুড়ে যায় নি। এদের বিভিন্ন স্থানে আঘাত লেগেছে। এদের মধ্যে এ্যানির পায়ে আঘাত আছে। সে মানসিক ভাবেই একটু অসুস্থ। এ্যানির বুকে কালো ধোয়া প্রবেশ করেছে। কাশিতে কালো কফ আসতেছে। তার মানসিক চিকিৎসার জন্য একজন মানসিক বিশেষজ্ঞ ডাকা হবে। স্বর্ণার এফডোমিনে আঘাত পেয়েছে। মেহেদির হাতে ও পায়ে আঘাত লেগেছে। তিনি বলেন, তাদেরকে দেখে মনে হয়েছে, তারা খুব আতঙ্কের মধ্যে আছে। এদের সুস্থ হতে সময় লাগলেও একসময় ঠিক হয়ে যাবে। তাতে সুস্থ ৬ থেকে ৭ সপ্তাহের মত সময় লাগতে পারে। এ্যানির স্বামীর বন্ধু ইজাজ আহমেদ। তিনি দুর্ঘটনার পর নেপালে যান। তাদের সাথে আবার আসেন। এই দুর্ঘটনায় এ্যানির মেয়ে ও স্বামী মারা গেছে। এজাজ জানান, বার বার এ্যানি তার স্বামী আর মেয়ের কথা জানতে চাইছে। তাকে বলা হয়েছে, তাদের চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়েছে। তারা যে মারা গেছেন তা তাকে জানানো হয় নি।
×