ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

পরমাণু বোমা তৈরির হুমকি সৌদি যুবরাজের

প্রকাশিত: ০৫:২৪, ১৭ মার্চ ২০১৮

পরমাণু বোমা তৈরির হুমকি সৌদি যুবরাজের

আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী দেশ ইরান পরমাণু বোমা বানানোর সক্ষমতা অর্জন করলে সৌদি আরবও পিছিয়ে থাকবে না বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির উচ্চাভিলাষী যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। তেহরানের হুমকি মোকাবেলায় নিজস্ব পরমাণু অস্ত্র কর্মসূচী গড়ে তোলার সক্ষমতা রিয়াদের আছে তিনি দাবি করে। মার্কিন টেলিভিশন নেটওয়ার্ক সিবিএস নিউজকে দেয়া সাক্ষাতকারে তিনি এ কথা বলেন। বিবিসি, সিএনএন ও সিবিএস। সৌদি সিংহাসনের পরবর্তী উত্তরাধিকারী বিন সালমান বলেন, তার দেশ পরমাণু অস্ত্র অর্জনে আগ্রহী নয়। কিন্তু ইরান যদি একটি পরমাণু বোমাও তৈরি করে সৌদি আরব দ্রুত সেটি তৈরি করে জবাব দেবে। ২০১৫ সালে ছয় দেশের সঙ্গে চুক্তির সূত্র ধরে ইরান পরমাণু কর্মসূচী সীমিত করে আনার ঘোষণা দিয়েছিল। চুক্তিটি সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার পররাষ্ট্রনীতির একটি সাফল্য হিসেবে দেখানো হয়ে থাকে। শুরু থেকেই এ চুক্তির বিরোধিতা করে এসেছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি এ চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসারও ক্রমাগত হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন। গত সপ্তাহে বরখাস্ত হওয়া মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসনকে অবশ্য চুক্তি নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলেন। তার স্থলাভিষিক্ত হতে যাওয়া মাইক পম্পেও ওই চুক্তির ঘোর বিরোধী। মধ্যপ্রাচ্যে প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে সৌদি আরব ও ইরানের দ্বন্দ্ব দীর্ঘদিনের। মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্র সৌদি আরব ১৯৮৮ সালেই পরমাণু অস্ত্রের বিস্তার রোধ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে। ২০১৩ সালে ইসরাইলের সামরিক গোয়েন্দা বিভাগের সাবেক প্রধান আমোস ইয়াদলিন সুইডেনে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, ইরান যদি পরমাণু বোমা বানিয়েই ফেলে, তাহলে সৌদি আরব এক মাসও অপেক্ষা করবে না। তারা এর মধ্যেই দাম চুকিয়ে দিয়েছে; তারা শুধু পাকিস্তানে যাবে, আর যা তাদের প্রয়োজন তা নিয়ে আসবে। ওই চুক্তিতে ইরানও স্বাক্ষর করেছে যদিও সৌদি আরব ও যুক্তরাষ্ট্রের আশঙ্কা, গোপনে পারমাণবিক বোমা নির্মাণের পথেই হাঁটছে তেহরান। ইরান বলছে, তাদের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ ও প্লুটোনিয়াম উৎপাদনের লক্ষ্য শান্তিপূর্ণ। ট্রাম্প ২০১৫ সালের চুক্তি থেকে সরে যেতে চাইলেও ইউরোপীয় মিত্ররা তাতে আপত্তি জানিয়ে আসছে। মধ্যপ্রাচ্যে একমাত্র ইসরাইলকেই পরমাণবিক অস্ত্রধারী দেশ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। যদিও দেশটি এ বিষয়ে কখনও মুখ খোলেনি।
×