ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

নতুনত্ব নিয়েই ফিরতে চান অশ্বিন

প্রকাশিত: ০৫:৩৫, ১৭ মার্চ ২০১৮

নতুনত্ব নিয়েই ফিরতে চান  অশ্বিন

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ রবিচন্দ্রন আশ্বিন-রবীন্দ্র জাদেজা কিন্তু ফর্মের জন্য ওয়ানডে বা টি২০ থেকে বাদ পড়েননি। মূলত পাইপলাইনে থাকা স্পিনারদের পরখ করে নিতেই গত বছর শ্রীলঙ্কা সফরে দুই তারকাকে বিশ্রাম দেয়া হয়েছিল। কুলদীপ যাদব, যুবেন্দ্র চাহাল, অক্ষর প্যাটেলরা পাওয়া সুযোগে এতটাই জ্বলে ওঠেন যে, অশ্বিন-জাদেজা এখন সাইড লাইনে! শ্রীলঙ্কায় চলমান ত্রিদেশীয় নিদাহাস টি২০ সিরিজে আবার যুক্ত হয়েছেন ওয়াশিংটন সুন্দর। সবমিলিয়ে আধুনিক ভারতের অন্যতম সেরা স্পিনারদেরই এখন রঙিন পোশাকের ভবিষ্যত অনিশ্চিত। আইপিএলকে যদিও মঞ্চ ভাবছেন না, তবে রিস্ট স্পিনারদের দাপটের এই যুগে বোলিংয়ে নতুন অস্ত্র যুক্ত করে ফিরতে চান অশ্বিন। ‘আমি নতুন কিছু করতে চাই। এটা আমার বরাবরের প্রবণতা। সময়ের চাহিদা পূরণ করতেই হয় সবাইকে। সেজন্য নিজেদের পাল্টাতেও হয় কখনও কখনও।’ অশ্বিন অবশ্য পরিষ্কার করেননি ঠিক কি ধরনের নতুন অস্ত্র নিয়ে ফিরতে চান। তবে সর্বশেষ দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে ডানহাতি অফস্পিনারকে মিডিয়াম পেস এমনকি লেগস্পিন ডেলিভারির চেষ্টা করতে দেখা গেছে। তিনি আরও যোগ করেন, ‘ফিঙ্গার স্পিনারদের ভবিষ্যত কি, তা সবার চিন্তা-ভাবনার ওপর নির্ভর করছে। আমার তো মনে হয় দিন বদলাবে। একটা সময়ে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে লেগস্পিনারদের জায়গা হতো না। এখন হয়। এখন হয়তো ফিঙ্গার-স্পিনারদের গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে না। কিন্তু পরিস্থিতি নিশ্চয়ই পাল্টাবে।’ টি২০ ক্রিকেটে ‘রিস্ট-স্পিনার’দের জয়জয়কার চলছে, তা এই ফরমেটের বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংয়ের দিকে তাকালেই বোঝা যায়। প্রথম তিনেই রয়েছেন তিন কব্জির শিল্পী আফগানিস্তানের রশিদ খান, নিউজিল্যান্ডের ইশ সোধি এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্যামুয়েল বদ্রি। কিন্তু সুযোগ ও সবার সমর্থন পেলে যে অফস্পিনাররাও ওদের মতোই কেরামতি দেখাতে পারে সেই দাবিই করছেন অশ্বিন। তিনি বলেছেন, ‘একজন লেগস্পিনার দশ ওভারে ৬৪ রান দিয়ে ২ উইকেট নেয়ার পরও লোকে তাকে সমর্থন করছে। সেই একই সমর্থন পেলে কিন্তু একজন অফ-স্পিনারও তা করে দেখাতে পারে। আসলে যখন যে ধারণাটা চলে, তখন সেটাই চলতে থাকে। এখন রিস্ট-স্পিনারদের ধারণাটাই চলছে বেশি, তাই ওদের রমরমা।’ গত মাসে বিজয় হাজারে ট্রফি থেকেই বৈচিত্র্যের প্রস্তুতিটা শুরু করেন। প্রিয় স্পিনার অনীল কুম্বলের মতো এ্যাকশনে তাকে লেগস্পিন করতে দেখে অনেকে অবাক হয়েছিলেন, যাদের মধ্যে ছিলেন সাবেক ভারতীয় স্পিনার লক্ষ্মণ শিবরামকৃষ্ণণও। টিভিতে বক্সে বসে তিনি অশ্বিনের কব্জির অবস্থান নিয়ে প্রশ্নও তুলেছিলেন। নাগপুরের পাটা উইকেটে অবশ্য নতুন অশ্বিনের প্রভাব তেমন দেখা যায়নি। টেস্টে ৩০০’র ওপর শিকারি স্পিনার দু’দিনে ৪৩ ওভার বল করে একটি মাত্র উইকেট পেয়েছেন ১২৩ রান দিয়ে। অনেকের আশঙ্কা, অশ্বিনের এই নতুন কিছু করার নেশা না আদতে তার ক্ষতি করে বসে। কিন্তু অশ্বিন যে ঝুঁকি নিতেই ভালবাসেন, ‘আমার ক্রিকেটে আসাটাই তো একটা বড় ঝুঁকি। নিজেকে দাঁড় করাতে পারব কি না সেটাই তো জানা ছিল না। জীবনে অনেক কিছুই করেছি ঝুঁকি নিয়ে। ঝুঁকি নিতে আমার ভালই লাগে। নিজেকে এমন জায়গায় নিয়ে যেতে চাই, যেখানে টি২০তে ৪ ওভার হোক বা ওয়ানডেতে ১০ ওভার, প্রতি ওভারেই অশ্বিনকে সামলানোটা ব্যাটসম্যানদের জন্য কঠিন হবে। এটাই আমার মোটিভেশন।’
×