ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বাংলাদেশের উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে যোগ্যতা অর্জন

প্রকাশিত: ১৮:৩০, ১৭ মার্চ ২০১৮

বাংলাদেশের উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে যোগ্যতা অর্জন

অনলাইন ডেস্ক ॥ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছে জাতিসংঘ। এর মধ্য দিয়ে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশের স্বীকৃতি আদায়ের পথে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হল। আগামী ২০২৪ সালে বাংলাদেশের আনুষ্ঠানিক উত্তরণ ঘটবে। জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে বাংলাদশের প্রোফাইলে এখন বলা আছে, উন্নয়নশীল দেশের কাতারে ওঠার যোগ্যতা এই মার্চেই অর্জন করেছে বাংলাদেশ। ১৯৭৫ সাল থেকে জাতিসংঘের স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশ। এলডিসি থেকে উত্তরণের জন্য আয়, মানব সম্পদ সূচক ও অর্থনৈতিক ঝুঁকি সূচক (ইভিআই) এই তিন শর্ত পূরণ করতে হয়, যা বাংলাদেশের ক্ষেত্রে পূরণ হয়েছে। মাথাপিছু জাতীয় আয় ১ হাজার ২৫ ডলারের নিচে থাকলে সে দেশ এলডিসিভুক্ত হয়, এই আয় ১২৩০ ডলার অতিক্রম করলে ধাপ উন্নয়নের যোগ্যতা অর্জন হয়। বাংলাদেশের এখন ১ হাজার ২৭৪ ডলার। মানব সম্পদ সূচকে বাংলাদেশের পয়েন্ট এখন ৭২। এক্ষেত্রে ৬২ পর্যন্ত দেশগুলো এলডিসিভুক্ত, ৬৪ ছাড়ালে উন্নয়নশীল দেশ হওয়ার যোগ্যতা অর্জিত হয়। অর্থনৈতিক ঝুঁকির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের পয়েন্ট এখন ২৫ দশমিক ২। এই পয়েন্ট ৩৬ এর বেশি হলে এলডিসিভুক্ত হয়, ৩২ এ আনার পর উন্নয়নশীল দেশে যোগ্যতা অর্জন হয়। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতসহ সরকারের কর্তাব্যক্তিরা আশাবাদী, এভাবে চললে ২০২৪ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণে কোনো সমস্যা হবে না। উন্নয়ন দেশের কাতারে উঠলে নানা দরকষাকষিতে বাংলাদেশের অবস্থান মজবুত হলেও এখন পাওয়ার বাণিজ্যিক নানা সুবিধা হারাতে হবে। বাংলাদেশ ২০১৫ সালের জুলাই মাসে নিম্ন আয়ের দেশ থেকে নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়। মাথাপিছু আয়ের বিবেচনায় এ শ্রেণীকরণ করে বিশ্ব ব্যাংক। জাতিসংঘ দেশগুলোকে স্বল্পোন্নত (এলডিসি), উন্নয়নশীল এবং উন্নত- এ তিন পর্যায়ে বিবেচনা করে।
×