ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

নেপাল ট্রাডেডিতে আহত যাত্রীদের জন্য বিশেষ মেডিকেল বোর্ড

প্রকাশিত: ০০:২৩, ১৭ মার্চ ২০১৮

নেপাল ট্রাডেডিতে আহত যাত্রীদের জন্য বিশেষ মেডিকেল বোর্ড

অনলাইন রিপোর্টার ॥ কাঠমান্ডুতে ইউএস-বাংলার উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় আহত আরও তিনজনকে দেশে ফেরানোর পর শুক্রবার ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। কাঠমান্ডুতে ইউএস-বাংলার উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় আহত আরও তিনজনকে দেশে ফেরানোর পর শুক্রবার ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। নেপালে বিধ্বস্ত ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের আহত যাত্রীদের চিকিৎসায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়ে একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করেছে সরকার। শনিবার ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে সংবাদ সম্মেলনে ১৩ সদস্যের এই কমিটি গঠনের কথা জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তদরের মহাপরিচালক ডা. আবুল কালাম আজাদ। এই বোর্ডের নেতৃত্বে থাকবেন ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন। ডা. আজাদ বলেন, “বোর্ডের বাকি ১২ জন হলেন বিভিন্ন বিভাগের। এটি ইন্টার ডিসিপ্লিনারি। এখন থেকে যতদিন পর্যন্ত আমরা রোগীদের চিকিৎসা দেব, ততদিন পর্যন্ত তারা একসাথে পরামর্শ করে সবকিছু ঠিকঠাক করবেন।” বিধ্বস্ত বিমানের আহত ১০ যাত্রীর মধ্যে চারজন এখন ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে রয়েছেন। তারা হলেন- শাহরিন আহমেদ, মেহেদী হাসান, সাঈদা কামরুন্নাহার স্বর্ণা ও আলমুন নাহার অ্যানি। শনিবার আনা হয় রাশেদ রুবায়েতকে। আরও দুজন কবির হোসেন ও মো. শাহীন বেপারিকে রোববার ঢাকায় আনা হবে বলে ডা. আজাদ জানান। নেপালে চিকিৎসাধীন ইমরানা কবির হাসিকে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হচ্ছে ভারতে। আহত রিজওয়ানুল হককে নেপাল থেকেই সিঙ্গাপুরে নিয়ে গেছেন তার বাবা। ডা. আজাদ জানান, বর্তমানে ঢাকা মেডিকেলে যারা রয়েছেন, তারা আশঙ্কামুক্ত। “গতকালই আমরা লক্ষ্য করেছিলাম তাদের বড় ধরনের কোনো সমস্যা নেই। তবে তাদের মানসিক ট্রমা হয়েছে। তাদেরকে সাইকোলজিক্যাল সাপোর্ট দেওয়া দরকার।” তিনি বলেন, রোগীদের এখন যে ধরনের অবস্থা তাতে মেডিকেল বোর্ড গঠনের প্রয়োজনীয়তা না থাকলেও সর্বোচ্চ পর্যায়ের মনোযোগ দেওয়ার জন্য তা গঠন করা হয়েছে। নেপালে যে দুজন থেকে যাচ্ছেন, তাদের একজনকে শনিবারই তার আত্মীয়-স্বজনদের সিদ্ধান্তে দিল্লি নেওয়া হচ্ছে বলে জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের। “যাকে দিল্লি নেওয়া হবে তার শারীরিক অবস্থা তুলনামূলক খারাপ হলেও তার জীবনাশঙ্কা নেই। আমরা নেপালে ভালোভাবে কথা বলে জেনেছি।” বাকি যিনি নেপালে থাকবেন, তার পরিবারের সদস্যরা নেপালেই চিকিৎসার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন বলে জানান ডা. আজাদ। বাংলাদেশের সাতজন চিকিৎসক এখন পর্যন্ত নেপালে অবস্থান করছেন বলে জানান তিনি। “নেপালে যে একজন রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন, তার জন্য আমাদের একজন চিকিৎসক সার্বক্ষণিক সেখানে থাকবেন। বাকিদের হয়ত আমরা নিয়ে আসব।”
×