ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

নজরুল সঙ্গীতের এ্যালবাম করছি ॥ সাবিরা সুলতানা

প্রকাশিত: ০৩:৪৬, ১৮ মার্চ ২০১৮

নজরুল সঙ্গীতের এ্যালবাম করছি ॥ সাবিরা সুলতানা

দেশের মেধাবী নজরুল সঙ্গীতশিল্পী সাবিরা সুলতানা। তিনি হারানো দিনের গানও করেন। এ পর্যন্ত তার দুটি একক এ্যালবাম বাজারে এসেছে। এর মধ্যে ২০০৪ সালে ফাহিম মিউজিকের ব্যানারে ‘নীল পাহাড়ের মেয়ে’ এবং ২০১৬ সালে ইমপ্রেস অডিও ভিশনের ব্যানারে ‘মেঘের দেশে ভেসে ভেসে’ এ্যালবাম প্রকাশ হয়। বাংলাদেশ বেতার এবং বিটিভির নিয়মিত শিল্পী সাবিরা সুলতানা সঙ্গীতচর্চার পাশাপাশি সাহিত্যচর্চা ও ডিজাইনও করেন। এ পর্যন্ত তার রচিত ১২টি ও ইংরেজীতে অনূদিত একটিসহ মোট ১৩টি গ্রন্থ প্রকাশ হয়েছে। অচিরেই আসছে তার একক তৃতীয় নজরুল সঙ্গীতের এ্যালবাম। নতুন এ্যালবাম এবং অন্যান্য বিষয় নিয়ে তার সঙ্গে কথা হয়। আপনার গাওয়া নজরুল সঙ্গীতের এ্যালবাম আসবে কবে? সাবিরা সুলতানা : দেখুন বিশ্ব সঙ্গীত অঙ্গনে নজরুল সঙ্গীত অনন্য একটি সম্পদ। সবাই এ সঙ্গীত গাইতে পারে না গাইতেও চায় না। যারা গায় তারা অনেক সাহসী এবং চর্চা করে বলে পারে বলে আমি মনে করি। এক্ষেত্রে আমি অনেকটাই নবীন একজন শিক্ষার্থী। বলতে পারেন নজরুল সঙ্গীত চর্চায় আমি কিশোরী কালে আছি। আমি প্রতিনিয়ত শিখছি। প্রাণের টানেই সঙ্গীতচর্চা করি। সেক্ষেত্রে নজরুল সঙ্গীত আমার প্রাণের স্পন্দন। অতি সম্প্রতি আমি আমার একক নজরুল সঙ্গীতের এ্যালবামের কাজ শুরু করে দিয়েছি। এ্যালবামে ৮টি গান থাকবে। গানগুলোর মধ্যে রোমান্টিক, প্রেম, প্রকৃতি পর্যায়ের গান থাকবে। আশা করছি এ্যালবামের গানগুলোও শ্রোতারা পছন্দ করবেন। বাংলাদেশ বেতার বা বিটিভিতে তালিকাভুক্তি ও শিল্পী সম্মানী নিয়ে অভিযোগ শোনা যায়? এ বিষয়ে আপনার অভিমত কি? সাবিরা সুলতানা : দেখুন যে কোন বিষয়ে সমালোচনা থাকবেই। না থাকাটাই আমার কাছে অস্বাভাবিক মনে হয়। বিশেষ করে ভাল কোন কাজের ক্ষেত্রে তো বটেই। বিটিভির কথা ততটা বলতে পারব না তবে বেতারে আমি তো কোন অনিয়ম বা অভিযোগের কোন ভিত্তি পাই না। সব কিছু ভালভাবে এবং নিয়ম-কানুন মেনেই চলতে দেখি। তালিকাভুক্তি থেকে শুরু করে শিল্পীদের পারফর্ম সর্বক্ষেত্রেই কোয়ালিটিকেই প্রাধান্য দিতে দেখেছি। তাছাড়া পারিশ্রমিক নিয়েও শিল্পীরা যে অভিযোগ করেন তা সত্য নয় বলে আমি মনে করি। বিশেষ করে বাংলাদেশ বেতার কর্তৃপক্ষের শিল্পীদের সঙ্গে যোগাযোগ এবং তাদের পারফর্ম ও পারিশ্রমিক মিটিয়ে দেয়া এসব বিষয়ে তাদেরকে আমি খুব সিনসিয়ারলি মেইনটেইন করতেই দেখি। একটি জাতীয় প্রতিষ্ঠান সেখানে নানা ধরনের কাজ থাকে, আয়োজনের বিশালতা এবং ব্যাপ্তিকেও মাথায় রাখতে হবে। শুধু অভিযোগ করলেই হবে না। সর্বোপরি বাংলাদেশ বেতার এবং বিটিভির কার্যক্রম আমার কাছে বেশ ভালই মনে হয়। সম্প্রতি আপনি একক সঙ্গীতানুষ্ঠানে পারফর্ম করেছেন... সাবিরা সুলতানা : জাতীয় কবি সংগঠন ‘অনুপ্রাস’ এর তিন দশক পূর্তি উপলক্ষে বিশেষ কর্মসূচী হাতে নেয় সংগঠনটি। এ উপলক্ষে রাজধানীর পাবলিক লাইব্রেরির শওকত ওসমান মিলনায়তনে আলোচনা সভা, কবিতা পাঠ, সম্মাননা প্রদান এবং আমার একক সঙ্গীতানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে আমি নজরুল সঙ্গীত এবং আমার দুটি এ্যালবামের গানও করি। মাদার তেরেসা সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন, অনুভূতি কেমন? সাবিরা সুলতানা : বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রে উদীয়মান বাংলাদেশের উদ্যোগে গত বছর মহান মে দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে শিল্পীকে এ সম্মননা দেয়া হয়। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সাবেক তথ্য সচিব সৈয়দ মারগুব মোর্শেদের হাত থেকে এ পদক গ্রহণ করি। সম্মাননা পাওয়ায় আমি অভিভূত। আমি কৃতজ্ঞতা জানাই উদীয়মান বাংলাদেশ সংগঠনকে। বিশেষ করে সংগঠনের সভাপতি মোঃ আতিকুর রহমান খোকন ভাইয়ের প্রতি আমার অনেক কৃতজ্ঞতা। যে কোন পুরস্কারই আনন্দের। বিশেষ করে মাদার তেরেসার মতো মহান গুণী ব্যক্তিত্বের নামে সম্মাননা দেয়ায় আমি যারপরনাই উচ্ছ্বসিত। এ পুরস্কার পাওয়ায় সঙ্গীত ও সাহিত্য চর্চার ক্ষেত্রে আমার দায়িত্ব আরও বেড়ে গেছে। এই সম্মাননার গুরুভার কাঁধে নিয়ে সামনে আরও বেশি বেশি সংস্কৃতি চর্চায় নিজেকে নিয়োজিত রাখতে চেষ্টা করছি। আমি সবার কাছে দোয়া চাই। আপনি তো সাহিত্য চর্চাও করেন? সাবিরা সুলতানা : ইংরেজীতে অনূদিত একটিসহ আমার রচিত মোট ১৩টি গ্রন্থ প্রকাশ হয়েছে। এগুলো হলো কাব্যগ্রন্থ ‘আটলান্টিকের ওপার’, ‘রোদের দিকে’ ও ‘প্রকৃতি তোমার কাছে’, ভ্রমণ বৃত্তান্ত ‘হাইওয়ে ডটকম’, উপন্যাস ‘মিসেস কাদরি’ এবং বায়োগ্রাফি ‘তেরো বছর পর’, ‘হুমায়ূন আহমেদ ও তার নূহাশ পল্লী’, প্রবন্ধ ‘শেকড়ের সন্ধানে’, কমেডি রচনা ‘চিয়ার্স, অটোবায়োগ্রাফি ‘বাবাকে মনে পড়ে’, ‘কবিতার ছায়াপথ’, ‘গুমর ভর লিখতা রাহা’ এবং অনূদিত গ্রন্থ তারেক মাহমুুদের ‘ডোরা’ প্রভৃতি। -সাজু আহমেদ
×