অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ প্রায় ১২ বছর পর নতুন চারটি জেটি নির্মাণ করতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। ১৮শ’ কোটি টাকা ব্যয়ে নগরীর পতেঙ্গা এলাকায় চলতি বছরই শুরু হবে এ জেটি নির্মাণের কাজ। ২০০৭ সালে নিউমুরিং কন্টেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) নামে সর্বশেষ জেটি নির্মাণ করা হয়।
দেশের আমদানি-রফতানি বাণিজ্যের ৯২ শতাংশ চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে সম্পন্ন হলেও অবকাঠামোগতভাবে অনেকটা পিছিয়ে আছে বন্দরটি। ১৯৫৮ সালে জেনারেল কার্গো বার্থ নির্মাণের পর ১৯৯০ সালে নির্মাণ করা হয় চিটাগাং কন্টেনার টার্মিনাল (সিসিটি)। আর সর্বশেষ ২০০৭ সালে নির্মাণ করা হয় নিউমুরিং কন্টেনার টার্মিনাল (এনসিটি)। প্রতি বছরই ১৪ থেকে ১৭ শতাংশ হারে আমদানি-রফতানি প্রবৃদ্ধি বাড়লেও বাড়েনি কোন জেটি।
বাংলাদেশ শিপিং এজেন্ট এ্যাসোসিয়েশন চেয়ারম্যান আহসানুল হক চৌধুরী বলেন, প্রচুর পরিমাণ আমদানি বেড়ে গেছে। পাথর কয়লা থেকে শুরু করে লোহা পর্যন্ত আমদানি হয়। এইগুলো জাহাজগুলো এসে দীর্ঘ ধরে অপেক্ষা করছে।
চট্টগ্রাম বন্দর বার্থ অপারেটর এ্যাসোসিয়েশন চেয়ারম্যান ফজলে একরাম চৌধুরী বলেন, এখানে জট বেড়ে যাচ্ছে, জাহাজের প্রডাক্টিভিটি কম যাচ্ছে। আমদানিকারকরা বিভিন্ন কষ্ট পাচ্ছে।
সিসিটি বা এনসিটি নির্মাণের পর ৮ থেকে ১০ বছর কাজ ছাড়াই খালি ফেলে রাখতে হয়েছিল যন্ত্রপাতি স্থাপন সংক্রান্ত জটিলতার কারণে। চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, ভাল প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে এটাকে দ্রুত ব্যবহারের উপযোগী করে ছেড়ে দেয়া উচিত।
তাই এবার জেটি স্থাপনের পাশাপাশি যন্ত্রপাতিও বন্দর স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (পরিকল্পনা ও প্রশাসন) মোহাম্মদ জাফর আলম বলেন, জেটি নির্মাণের প্রাথমিক কাজগুলো নির্মাণ করবে সেনাবাহিনী। আর এই জেটি যখন চালু হবে। তখন আমাদের বন্দরের কার্যক্রমে সময় কম লাগবে।
২০১৯ সাল থেকে পুরোদমে অপারেশনে যাবে পতেঙ্গা কন্টেনার টার্মিনাল। এখানকার জেটিগুলোতে জাহাজ ভেড়ার পাশাপাশি ১০ হাজারের বেশি কন্টেনারও রাখা যাবে।