ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সময় এখন এগিয়ে যাওয়ার

প্রকাশিত: ০৫:৩৮, ১৮ মার্চ ২০১৮

সময় এখন এগিয়ে যাওয়ার

কূটনৈতিক রিপোর্টার ॥ এলডিসি (স্বল্পোন্নত) দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার পথে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করেছে বাংলাদেশ। উন্নয়নশীল দেশ হতে যেসব শর্ত দরকার, তা পূরণ করায় আবেদনের যোগ্য হিসেবে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছে জাতিসংঘ। আগামী ২০২৪ সালে বাংলাদেশের আনুষ্ঠানিক উত্তরণ ঘটবে। জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসি (সিপিডি) এলডিসি ক্যাটাগরি থেকে উত্তরণের যোগ্যতা অর্জনের ঘোষণা সংক্রান্ত চিঠি গত শুক্রবার জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেনের কাছে হস্তান্তর করেছে। জাতিসংঘ জানিয়েছে, উন্নয়নশীল দেশের কাতারে ওঠার যোগ্যতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ। গত ১৫ মার্চ জাতিসংঘ এই ঘোষণা দিয়েছে। ১৯৭৫ সাল থেকে জাতিসংঘের স্বল্পোন্নত দেশের তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশ। এলডিসি থেকে উত্তরণের জন্য আয়, মানবসম্পদ সূচক ও অর্থনৈতিক ঝুঁকি সূচক (ইভিআই) এই তিন শর্ত পূরণ করতে হয়, যা বাংলাদেশের ক্ষেত্রে পূরণ হয়েছে। এলডিসি ক্যাটাগরি থেকে উত্তরণের জন্য মাথাপিছু আয়, মানবসম্পদ সূচক এবং অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা সূচক; এ তিনটির যে কোন দুটি অর্জনের শর্ত থাকলেও বাংলাদেশ এ তিনটি সূচকের মানদ-েই উন্নীত হয়েছে। জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কাউন্সিলের (ইকোসক) মানদ- অনুযায়ী এক্ষেত্রে এই বছরে একটি দেশের মাথাপিছু আয় হতে হবে কমপক্ষে ১২৩০ মার্কিন ডলার, বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় তার থেকে অনেক বেশি অর্থাৎ ১৬১০ মার্কিন ডলার। মানবসম্পদ সূচকে ৬৬ প্রয়োজন হলেও বাংলাদেশ অর্জন করেছে ৭২ দশমিক ৯। অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা সূচক হতে হবে ৩২ ভাগ বা এর কম যেখানে বাংলাদেশের রয়েছে ২৪ দশমিক ৮ ভাগ। বর্তমানে এলডিসিভুক্ত দেশ ৪৫টি। এ তালিকা থেকে বের হয়ে ৫৬টি উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় যুক্ত হবে বাংলাদেশ। এছাড়া বর্তমানে মাথাপিছু আয়ও ১৬১০ মার্কিন ডলার যা আগামী ২০১৯ সালে বাড়বে আরও ৮ শতাংশ। তবে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ ঘটার পর এ রাষ্ট্রের সামনে নতুন কিছু চ্যালেঞ্জও সৃষ্টি হবে। যার জন্য আগেভাগেই প্রস্তুতি নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন অর্থনীতিবিদরা। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতসহ সরকারের কর্তাব্যক্তিরা আশাবাদী, এভাবে চললে ২০২৪ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণে কোন সমস্যা হবে না। তবে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উঠলে নানা দর কষাকষিতে বাংলাদেশের অবস্থান মজবুত হলেও বাণিজ্যিক নানা সুবিধা হারাতে হবে। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, যথাযথ পরিকল্পনা প্রণয়ন ও তার কার্যকর বাস্তবায়ন হলে এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করা সম্ভব। উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশ পরিণত হলে আন্তর্জাতিক ফোরামে বাংলাদেশকে আলাদাভাবে দেখতে হবে। বাংলাদেশের দর কষাকষির ক্ষমতাও বাড়বে। বিদেশী বিনিয়োগ বৃদ্ধিরও সম্ভাবনা রয়েছে। তবে, উন্নয়নশীল দেশ হওয়ার পর বাংলাদেশ এলডিসি হিসেবে বাণিজ্যে যে অগ্রাধিকার পায় তার সবটুকু পাবে না। আবার বৈদেশিক ঋণে সুদের হারও বাড়বে। ফলে এসব চ্যালেঞ্জও মোকাবেলা করতে হবে। বাংলাদেশ ২০১৫ সালের জুলাই মাসে নিম্ন আয়ের দেশ থেকে নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়। মাথাপিছু আয়ের বিবেচনায় এই শ্রেণীকরণ করে বিশ্বব্যাংক। জাতিসংঘ দেশগুলোকে স্বল্পোন্নত (এলডিসি), উন্নয়নশীল এবং উন্নত এ তিন পর্যায়ে বিবেচনা করে। নিউইয়র্কে বাংলাদেশের জাতিসংঘ স্থায়ী মিশন থেকে শনিবার পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, প্রথমবারের মতো এলডিসি ক্যাটাগরি থেকে উত্তরণের যোগ্যতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ। শুক্রবার জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসি (সিপিডি) এই ঘোষণা সংক্রান্ত চিঠি জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেনের কাছে হস্তান্তর করে। বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে শুক্রবার আয়োজিত এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত মাসুদের কাছে এই চিঠি হস্তান্তর করেন সিপিডি সেক্রেটারিয়েটের প্রধান রোলান্ড মোলেরাস। উল্লেখ্য, গত ১৫ মার্চ সিপিডি জাতিসংঘ সদর দফতরে এলডিসি ক্যাটাগরি থেকে বাংলাদেশের উত্তরণের যোগ্যতা অর্জন সংক্রান্ত ঘোষণা প্রদান করে। সে অনুযায়ী শুক্রবার এই চিঠি হস্তান্তর করা হলো। স্থায়ী মিশনে আয়োজিত অনাড়ম্বর এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সিপিডি এক্সপার্ট গ্রুপের চেয়ার প্রফেসর হোসে এ্যান্তোনিও ওকাম্পো, জাতিসংঘের এলডিসি, এলএলডিসি (ভূ-বেষ্টিত উন্নয়নশীল দেশ) ও সিডস (উন্নয়নশীল ক্ষুদ্র দ্বীপরাষ্ট্রসমূহ) সংক্রান্ত কার্যালয়ের উচ্চতম প্রতিনিধি আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল ফেকিতামইলোয়া কাতোয়া উটইকামানু, জাতিসংঘে নিযুক্ত বেলজিয়ামের স্থায়ী প্রতিনিধি মার্ক পিস্টিন, তুরস্কের স্থায়ী প্রতিনিধি ফেরিদূন হাদী সিনিরলিওলু, ইউএনডিপির এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলের আঞ্চলিক ব্যুরোর পরিচালক ও জাতিসংঘের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হাওলিয়াং ঝু এবং ইউএনডিপির মানবিক উন্নয়ন রিপোর্ট অফিসের পরিচালক ড. সেলিম জাহান। এছাড়া বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন ও নিউইয়র্কের বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলের কর্মকর্তাগণ এবং জাতিসংঘ সদর দফতরে কর্মরত বাংলাদেশের কর্মকর্তাগণও এসময় উপস্থিত ছিলেন। কতিপয় এলডিসি দেশের প্রতিনিধিগণ এবং জাতিসংঘের বিভিন্ন এজেন্সির কর্মকর্তারা এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রার ওপর একটি ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করা হয়। ভিডিও চিত্রে উঠে আসে জন্মের ৫০ বছরেরও কম সময়ের মধ্যে কীভাবে বাংলাদেশ দ্রুতগতিসম্পন্ন বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণের মতো সফলতা দেখাতে যাচ্ছে। উঠে আসে জাতির পিতা কীভাবে সমগ্র জাতিকে স্বাধীনতার জন্য একতাবদ্ধ করেছিলেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত একটি দেশ থেকে কীভাবে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলায় পরিণত হতে যাচ্ছে- সে সকল উন্নয়ন পরিক্রমা। একে একে তুলে ধরা হয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্ব, দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা, এমডিজি অর্জন, এসডিজি বাস্তবায়নসহ শিক্ষা, স্বাস্থ্য, লিঙ্গ সমতা, কৃষি, দারিদ্র্যসীমা হ্রাস, গড় আয়ু বৃদ্ধি, রফতানিমুখী শিল্পায়ন, ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল, পোশাক শিল্প, ওষুধ শিল্প, রফতানি আয় বৃদ্ধিসহ নানা অর্থনৈতিক সূচক। তুলে ধরা হয় পদ্মা সেতু, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুত কেন্দ্র, পায়রা গভীর সমুদ্র বন্দর, ঢাকা মেট্রোরেলসহ দেশের মেগা প্রকল্পসমূহ। এতে প্রদর্শন করা হয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদাত্ত আহ্বান, ‘আসুন, দলমত নির্বিশেষে সকলে ঐক্যবদ্ধভাবে আগামী প্রজন্মের জন্য একটি উন্নত, সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলি’। উপস্থিত সুধীজনের উদ্দেশে প্রদত্ত বক্তৃতায় স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন বলেন, আমাদের সকলের জন্য আজ এক ঐতিহাসিক দিন। অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে আপনাদের জানাচ্ছি যে বাংলাদেশ এই প্রথম এলডিসি ক্যাটাগরি থেকে উত্তরণের সকল নির্ণায়ক পূর্ণ করেছে। ‘যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ থেকে আজকের এই উত্তরণ; যেখানে রয়েছে এক বন্ধুর পথ পাড়ি দেয়ার ইতিহাস’ উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, এটি সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশের সাহসী এবং অগ্রগতিশীল উন্নয়ন কৌশল গ্রহণের ফলে যা সামগ্রিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, কাঠামোগত রূপান্তর ও উল্লেখযোগ্য সামাজিক অগ্রগতির মাধ্যমে আমাদের দ্রুত উন্নয়নের পথে নিয়ে এসেছে। স্বল্পোন্নত দেশসমূহের জন্য ইস্তানবুল ঘোষণার কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, ২০২০ সালের মধ্যে স্বল্পোন্নত দেশসমূহের অর্ধেক এই ক্যাটাগরি থেকে উত্তীর্ণ হবে এটিই ছিল ইস্তানবুল ঘোষণার একটি প্রধানতম উদ্দেশ্য যা এজেন্ডা ২০৩০ বাস্তবায়ন অর্থাৎ দীর্ঘস্থায়ী শান্তি ও সমৃদ্ধি বিনির্মাণের পরিপূরকও বটে। রাষ্ট্রদূত তার বক্তৃতায় উল্লেখ করেন, কেউ পেছনে পড়ে থাকবে না; এই প্রতিশ্রুতি ধারণ করে আমরা শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাচ্ছি। ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ আমাদের জন্য শুধু একটি সেøাগানই নয়, সারা দেশের মানুষ আজ এর সুবিধা পাচ্ছেন। প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনা ও জাতীয় উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আজ আমাদের হাতিয়ার। বাংলাদেশ ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে মর্মে রাষ্ট্রদূত মাসুদ উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, আমরা আমাদের দেশকে উন্নয়নের ক্ষেত্রে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে চাই যা আমাদের দীর্ঘদিনের লালিত আকাক্সক্ষা। আজ বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ৭ দশমিক ২৮ শতাংশ। আমরা এসডিজির সঙ্গে আমাদের জাতীয় উন্নয়ন পরিকল্পনাকে একীভূত করেছি। এসডিজি বাস্তবায়নেও আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমাদের এলডিসি থেকে উত্তরণ এসকল দর্শনের সঙ্গে একইসূত্রে গাঁথা। এলডিসি ক্যাটাগরির দেশসমূহের এই উত্তরণ প্রক্রিয়া জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সম্মিলিত সাফল্যের স্বাক্ষর বহন করছে মর্মে তিনি উল্লেখ করেন। বাংলাদেশকে উত্তরণের প্রক্রিয়ায় সহযোগিতার জন্য তিনি জাতিসংঘসহ বাংলাদেশের সকল উন্নয়নসহযোগীকে ধন্যবাদ জানান। তিনি আশা প্রকাশ করেন, উত্তরণকে টেকসই করতে এবং এজেন্ডা ২০৩০ বাস্তবায়নে এই সহযোগিতার ধারা অব্যাহত থাকবে। উত্তরণ প্রক্রিয়ায় থাকা স্বল্পোন্নত দেশসমূহের সঙ্গে বাংলাদেশ তার অভিজ্ঞতা ও সর্বোত্তম কর্মপন্থা ভাগ করে নিতে সদাপ্রস্তুত মর্মে স্থায়ী প্রতিনিধি জানান। চিঠি হস্তান্তরের পর সিপিডি সেক্রেটারিয়েটের প্রধান রোলান্ড মোলেরাস তার বক্তব্যে বাংলাদেশের জাতীয় আয়ের কাক্সিক্ষত বৃদ্ধি এবং স্বাস্থ্য ও শিক্ষাসহ সামাজিক খাতের ব্যাপক উন্নয়ন এই উত্তরণের ক্ষেত্রে কমিটির সুপারিশ প্রদানকে সহজতর করেছে মর্মে উল্লেখ করেন। সিপিডি এক্সপার্ট গ্রুপের চেয়ার প্রফেসর হোসে এ্যান্তোনিও ওকাম্পো বাংলাদেশের সাফল্যম-িত উন্নয়নের ইতিহাস রয়েছে বলে অভিমত প্রকাশ করেন। তিনি বাংলাদেশের গতিশীল রফতানি খাত, মানবিক সম্পদ এবং স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতের ব্যাপক উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন। জাতিসংঘের এলডিসি, এলএলডিসি ও সিডস সংক্রান্ত কার্যালয়ের উচ্চতম প্রতিনিধি আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল উটইকামানু বলেন, দারিদ্র্য হ্রাস ও উন্নয়নের অগ্রগতির জন্য বাংলাদেশে একটি শক্তিশালী ভিত্তি তৈরি হয়েছে। ১৪ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে অতিদারিদ্র্য সীমা। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অনেক বছর ধরে স্থিতিশীল রয়েছে। রূপকল্প ২০২১ নিরবচ্ছিন্নভাবে বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রাধিকারসমূহকে পরিচালিত করে যাচ্ছে। এছাড়া বক্তব্য রাখেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বেলজিয়ামের স্থায়ী প্রতিনিধি মার্ক পিস্টিন, তুরস্কের স্থায়ী প্রতিনিধি সিনিরলিওলু, ইউএনডিপির এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলের আঞ্চলিক ব্যুরোর পরিচালক ও জাসিংঘের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হাওলিয়াং ঝু। সকল বক্তাই এই অর্জনে বাংলাদেশের জনগণ ও সরকারকে অভিনন্দন জানান এবং এই অর্জনের পেছনে বাংলাদেশের বলিষ্ঠ ও দূরদর্শী নেতৃত্ব এবং অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে ধারাবাহিক অগ্রগতির কথা উল্লেখ করেন। বক্তাগণ এলডিসি ক্যাটাগরি থেকে সদ্য উত্তীর্ণ দেশগুলোকে তাদের টেকসই উত্তরণ টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান।
×