ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

যে কারণে টাইগার আতঙ্কে ভারত

প্রকাশিত: ০৬:২৩, ১৮ মার্চ ২০১৮

যে কারণে টাইগার আতঙ্কে ভারত

শাকিল আহমেদ মিরাজ ॥ দ্বিতীয় সারির দল নিয়েও সবার আগে নিদাহাস ট্রফির ফাইনাল নিশ্চিত করেছে ভারত। অঘোষিত সেমিফাইনাল হয়ে ওঠা শেষ ম্যাচে নাটকীয় জয়ে আজ শিরোপার লড়াইয়ে তাদের প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ। টাইগারদের সমীহ করলেও আতঙ্কের ভিন্ন এক কারণের কথা জানিয়েছেন উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান দীনেশ কার্তিক, বলেছেন হারলেই দুঃখ আছে তাদের কপালে। কার্তিক বলেন, ‘বাংলাদেশের বিপক্ষে যে কোন ম্যাচই কঠিন। আসলে ভারত একটা ক্রিকেট পাগল জাতি। আমরা প্রথম সারির দল খেলাই অথবা দ্বিতীয় সারির, বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচ মানেই জিতলে, ওহ, তোমরা বাংলাদেশের বিপক্ষে জিতেছ। কিন্তু হারলেই বলবে, তোমরা বাংলাদেশের কাছে হেরেছ। কী লজ্জা, কী করেছ তোমরা? আমি নিশ্চিত এবারও তাই ঘটবে।’ ভারতীয় দর্শকদের পাগলামির কথা ক্রিকেটবিশ্বের সবারই জানা। দল হারলে ক্রিকেটারদের বাসে ঢিল, বাড়িঘরে হামলা, টিভি ভাংচুর, ক্রিকেটারদের কুশপুত্তলিকা পোড়ানোর মতো উন্মাদনায় মাতে তারা। এমন চাপ থাকা সত্ত্বেও দীনেশ কার্তিক বললেন তাদের আত্মবিশ্বাসের কথা, ‘এখন পর্যন্ত টুর্নামেন্টে আমরা সফল। আমরা আরেকটা ম্যাচের অপেক্ষায়। আমি নিশ্চিত জমজমাট ফাইনালই হবে। আমরা সব ম্যাচ জিততে চাই। ট্রফি নিয়েই ফিরতে চাই।’ ধারাবাহিকতার অভাবের কারণেই বাংলদেশকে ক্রিকেট শক্তি হিসেবে এখনও পাত্তা দিতে চায় না ভারত। সম্প্রতি দেশের মাটিতে তিনটি সিরিজ জিতে যাওয়ার পর শ্রীলঙ্কাও তেমন পাত্তা দেয়নি বাংলাদেশকে। তাই ‘শ্রীলঙ্কা-ভারত’ লিখে ফাইনালের কার পাস তৈরি করে ফেলেছিল তারা। সেই টাইগাররাই লঙ্কানদের বিদায় করে ফাইনালে । আর এতেই চিন্তা বেড়ে গেছে রোহিত শর্মাদের। গত ২০১৫ বিশ্বকাপ থেকেই বাংলাদেশ-ভারত লড়াই মানে দুই দলের সমর্থকদের মধ্যে যুদ্ধাবস্থা। কারণ সেই বিতর্তিক ‘নো’ বল। শনিবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অঘোষিত সেমিতেও সেই ‘নো’ বল নিয়ে অনেক কা হয়েছে। নিদাহাস ট্রফিতে অবশ্য ভারতের বিপক্ষে দুটি ম্যাচই হেরেছে বাংলাদেশের। কিন্তু শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুটি ম্যাচের পারফর্মেন্স দেখে বেশ চিন্তায় আছে ভারতীয়রা। অভিজ্ঞ উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান দীনেশ কার্তিকের কথায় ফুটে উঠেছে সেই শঙ্কার কথা। রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে মাত্র এক বল আগে ছক্কা হাঁকিয়ে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের ম্যাচ জয়কে ‘বিশেষ’ বলে উল্লেখ করেন তিনি। কার্তিক বলেন, ‘ওই পরিস্থিতিতে ম্যাচ জেতানো সহজ কথা নয়। অনেক বড় দলের বড় ব্যাটসম্যানও অনেক সময় সেটি পারে না। মাহমুদুল্লাহ অভিজ্ঞতা দিয়ে ম্যাচটা বের করে নিয়েছে। আগের ম্যাচে শ্রীলঙ্কার ২১৪ রান টপকে যে কাজটা করে মুশফিকুর রহীম।’ ইনফর্ম এই দুই অভিজ্ঞ টাইগার ব্যাটসম্যানকে নিয়ে বাড়তি সতর্কতার কথা জানিয়েছেন কার্তিক। যোগ করেছেন তামিম ইকবাল আর মুস্তাফিজুরের নামও।
×